ইসলাম

গুনাহ করবো না, এমন ওয়াদার পর ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হবে কি?

**মোস্তফা ওয়াদদ: ‘**ওগো প্রভু ভুল হয়ে গেছে আমার, গুনাহ করবো না আর।’ ছন্দে ছন্দে এমন দোয়া-মুনাজাত অনেকেই করে। কিন্তু সবশেষে সেও করে ফেলেন সে একই অপরাধ। নিজেকে পারেন না টিকিয়ে রাখতে। পৃথিবীতে এমন মানুষের সংখ্যা একেবারেই কম নয়। আর কোনো ওয়াদা করে ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হয়। প্রশ্ন হল, গুনাহ করবো না-এমন ওয়াদা করার পর যদি ভঙ্গ হয়, তাহলে তারও কি কাফফারা দিতে হবে? কি বলছে দারুল উলুম দেওবন্দ? এ বিষয়ে জানবো আজকের মাসআলায়।

দেওবন্দের ওয়েবসাইট এমনই একটি প্রশ্ন করেছেন জনৈক ব্যক্তি। তিনি তার প্রশ্নে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি আমার দোয়া-মুনাজাতের মাঝে অন্তর থেকে বলেছিলাম, ‘হে আল্লাহ! আমি এই গুনাহ আর কখনো করবো না। এখন থেকে এই গুনাহকে একেবারেই ছেড়ে দিব।’

কথাটি আমি আমার অন্তর থেকেই অত্যন্ত শক্তপোক্তভাবে ওয়াদা করে বলেছি। কিন্তু পরিশেষে আমি আর আমার সে কথার উপর অটল থাকতে পারিনি। আমি আবারও সে একই গুনাহ করে ফেলেছি। তো এখন কি আমার সে ওয়াদার কাফফারা দিতে হবে?

জবাবে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে বলা হয়, ‘এটা হল একনিষ্ঠ ও খাঁটি তওবা। গুনাহ না করার জন্য নিজের ইচ্ছাকে পাকাপোক্ত করার শব্দ। কসম করার শব্দ এমন নয়। কেননা কসম এর ক্ষেত্রে সরাসরি আল্লাহর নাম ব্যবহার হয়। এখানে আল্লাহকে ডাকার (ইয়া আল্লাহ) অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।

অতএব যদি শারীরিক চাহিদার কারণে দ্বিতীয়বার তার থেকে গুনাহ হয়ে যায়, যার ব্যাপারে সে কঠিন তাওবা করেছিল। তাহলে সেটার কারণে কসমের কাফফারা ওয়াজিব হবে না।

অবশ্য এখন দ্বিতীয়বার খাঁটি তওবা করবে ও ভবিষ্যতে এই গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবে। এমনকি এ গুনাহ থেকে দূরে থাকার ক্ষেত্রে কোন রকমের গাফিলতি বা শীতলতা প্রদর্শন করবে না। আল্লাহ তায়ালা তৌফিক দান করুক। আর আল্লাহই ভালো জানেন।’

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *