ইসলাম

সমকামিতার অপকার ও তার ভয়াবহতাঃ

সমকামের মধ্যে এতো বেশি ক্ষতি ও অপকার নিহিত রয়েছে যার সঠিক গণনা সত্যিই দুষ্কর। যা ব্যক্তি ও সমষ্টি পর্যায়ের এবং দুনিয়া ও আখিরাত সম্পর্কীয়। যার কিয়দংশ নিম্নরূপঃ

ধর্মীয় অপকার সমূহঃ

প্রথমতঃ তা কবীরা গুনাহ্ সমূহের একটি। তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অনেক অনেক নেক আমল থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। এমনকি তা যে কারোর তাওহীদ বিনষ্টে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আর তা এভাবে যে, এ নেশায় পড়ে শ্মশ্রুবিহীন ছেলেদের সাথে ধীরে ধীরে ভালোবাসা জন্ম নেয়। আর তা একদা তাকে শিরক পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দেয়। কখনো ব্যাপারটি এমন পর্যায়ে দাঁড়ায় যে, সে ধীরে ধীরে অশ্লীলতাকে ভালোবেসে ফেলে এবং সাধুতাকে ঘৃণা করে। তখন সে হালাল মনে করেই সহজভাবে উক্ত কর্মতৎপরতা চালিয়ে যায়। তখন সে কাফির ও মুতাদ হতে বাধ্য হয়। এ কারণেই বাস্তবে দেখা যায় যে, যে যত বেশি শিরকের দিকে ধাবিত সে তত বেশি এ কাজে লিপ্ত। তাই লুত্ব সম্প্রদায়ের মুরিকরাই এ কাজে সর্ব প্রথম লিপ্ত হয়।

এ কথা সবারই জানা থাকা উচিৎ যে, শিরক ও ইশ্ক পরস্পর অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আর ব্যভিচার ও সমকামের পূর্ণ মজা তখনই অনুভূত হয় যখন এর সাথে ইশ্ট জড়িত হয়। তবে এ চরিত্রের লোকদের ভালোবাসা এক জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে না। বরং তা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবর্তনশীল। আর তা একমাত্র শিকারের পরিবর্তনের কারণেই হয়ে থাকে ৷

চারিত্রিক অপকার সমূহঃ

প্রথমতঃ সমকামই হচ্ছে চারিত্রিক এক অধঃপতন। স্বাভাবিকতা বিরুদ্ধ। এরই কারণে লজ্জা কমে যায়, মুখ হয় অশ্লীল এবং অন্তর হয় কঠিন, অন্যদের প্রতি দয়া-মায়া সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ হয়ে একেবারেই তা এককেন্দ্রিক হয়ে যায়, পুরুষত্ব ও মানবতা বিলুপ্ত হয়, সাহসিকতা, সম্মান ও আত্মমর্যাদাবোধ বিনষ্ট হয়। নির্যাতন ও অঘটন ঘটাতে তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সাহসী করে তোলে। উচ্চ মানসিকতা বিনষ্ট করে দেয় এবং তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বেকুব বানিয়ে তোলে। তার উপর থেকে মানুষের আস্থা কমে যায়। তার দিকে মানুষ খিয়ানতের সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকায়। উক্ত ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হয় এবং উত্তরোত্তর সার্বিক উন্নতি থেকে ক্রমান্বয়ে পিছে পড়ে যায় ।

মানসিক অপকার সমূহঃ

উক্ত কর্মের অনেকগুলো মানসিক অপকার রয়েছে যা নিম্নরূপঃ

১. অস্থিরতা ও ভয়-ভীতি অধিক হারে বেড়ে যায়। কারণ, আল্লাহ্তা ‘আলার আনুগত্যের মধ্যেই রয়েছে সার্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা। যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাকেই ভয় করবে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে অন্য সকল ভয় থেকে মুক্ত রাখবেন। আর যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাকে ভয় করবে না তাকে সকল ভয় এমনিতেই ঘিরে রাখবে। কারণ, শাস্তি কাজের অনুরূপ হওয়াই শ্রেয়।

২. মানসিক বিশৃঙ্খলতা ও মনের অশান্তি তার নিকট প্রকট হয়ে দেখা দেয়। এ হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে সে ব্যক্তির জন্য নগদ শাস্তি যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলা ছাড়া অন্যকে ভালোবাসবে। আর এ সম্পর্ক যতই ঘনিষ্ঠ হবে মনের অশান্তি ততই বেড়ে যাবে ।

আল্লামাহ্ ইবনু তাইমিয়্যাহ্ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এ কথা সবারই জানা উচিৎ যে, কেউ কাউকে ভালোবাসলে (যে ভালোবাসা একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলার জন্য নয়) সে প্রিয় ব্যক্তি অবশ্যই তার প্রেমিকের ক্ষতি সাধন করবে এবং এ ভালোবাসা অবশ্যই প্রেমিকের যে কোন ধরনের শাস্তির কারণ হবে।

৩. এ ছাড়াও উক্ত অবৈধ সম্পর্ক অনেক ধরনের মানসিক রোগের জন্ম দেয় যা বর্ণনাতীত। যার দরুন তাদের জীবনের স্বাদ একেবারেই নিঃশেষ হয়ে যায়।

৪. এ জাতীয় লোকেরা একাকী থাকাকেই বেশি ভালোবাসে এবং তাদের একান্ত শিকার অথবা উক্ত কাজের সহযোগী ছাড়া অন্য কারোর সাথে এরা একেবারেই মিশতে চায় না ৷

৫. স্বকীয়তা ও ব্যক্তিত্বহীনতা জন্ম নেয়। মেযাজ পরিবর্তন হয়ে যায়। যে কোন কাজে এরা স্থির সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

৬. নিজের মধ্যে পরাজয় ভাব জন্ম নেয়। নিজের উপর এরা কোন ব্যাপারেই আস্থাশীল হতে পারে না।

. নিজের মধ্যে এক জাতীয় পাপ বোধ জন্ম নেয়। যার দরুন সে মনে করে সবাই আমার ব্যাপারটা জেনে ফেলেছে। সুতরাং মানুষের ব্যাপারে তার একটা খারাপ ধারণা জন্ম নেয় ৷

৮. এ জাতীয় লোকদের মাঝে হরেক রকমের ওয়াস্ওয়াসা ও অমূলক চিন্তা জন্ম নেয়। এমনকি ধীরে ধীরে সে পাগলের রূপ ধারণ করে

৯. এ জাতীয় লোক ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণহীন যৌন তাড়নায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে ৷ সদা সর্বদা সে যৌন চেতনা নিয়েই ব্যস্ত থাকে।

১০. মানসিক টানাপড়েন ও বেপরোয়াভাব এদের মধ্যে জন্ম নেয়।

১১. বিরক্তি ভাব, নিরাশা, কুলক্ষুণে ভাব, আহাম্মকি জযবাও এদের মধ্যে জন্ম নেয় ৷

১২. এদের দেহের কোষ সমূহের উপরও এর বিরাট একটা প্রভাব রয়েছে। যার দরুন এ ধরনের লোকেরা নিজকে পুরুষ বলে মনে করে না। এ কারণেই এদের কেউ কেউকে মহিলাদের সাজ-সজ্জা গ্রহণ করতেও দেখা যায় ৷

শারীরিক অপকার সমূহঃ

শারীরিক ক্ষতির কথা তো বলাই বাহুল্য। কারণ, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান কিছু দিন পর পরই এ সংক্রান্ত নতুন নতুন রোগ আবিষ্কার করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা কোন একটি রোগের উপযুক্ত ওষুধ খুঁজতে খুঁজতেই দেখা যায় নতুন আরেকটা রোগ আবিষ্কৃত হয়ে গেছে। এই হচ্ছে রাসূল এর ভবিষ্যদ্বাণীর সত্যিকার ফলাফল। হযরত আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘উমর (রাযিয়াল্লাহু আন্হুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল এ ইরশাদ করেনঃ لَمْ تَظْهَرِ الْفَاحِشَةُ فِي قَوْمٍ قَطُّ، حَتَّى يُعْلِنُوْا بِهَا إِلَّا فَشَا فِيْهِمُ الطَّاعُوْنُ وَالأَوْجَاعُ الَّتِي لَمْ تَكُنْ مَضَتْ فِي أَسْلَافِهِمْ الَّذِيْنَ مَضَوْا

অর্থাৎ কোন সম্প্রদায়ের মাঝে ব্যভিচার তথা অশ্লীলতা প্রকাশ্যে ছড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে অবশ্যই মহামারি ও বহু প্রকারের রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে যা তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্যে ছিলো না।(ইবনু মাজাহ্, হাদীস ৪০৯১ হাকিম, হাদীস ৮৬২৩ ত্বাবারানী/আওসাত্ব, হাদীস ৪৬৭১ )

সুতরাং ব্যাধিগুলো নিম্নরূপঃ

১. নিজ স্ত্রীর প্রতি ধীরে ধীরে অনীহা জন্ম নেয় ৷

. লিঙ্গের কোষগুলো একেবারেই ঢিলে হয়ে যায়। যদ্দরুন পেশাব ও বীর্যপাতের উপর কোন নিয়ন্ত্রণই থাকে না।

. এ জাতীয় লোকেরা টাইফয়েড এবং ডিসেন্ট্রিয়া রোগেও আক্রান্ত হয় ৷

৪. এরই ফলে সিফিলিস রোগেরও বিশেষ প্রাদুর্ভাব ঘটে। লিঙ্গ অথবা রোগীর হৃপিণ্ড, আঁত, পাকস্থলী, ফুসফুস ও অণ্ডকোষের ঘা এর মাধ্যমেই এ রোগের শুরু। এমনকি পরিশেষে তা অঙ্গ বিকৃতি, অন্ধত্ব, জিহ্বা’র ক্যান্সার এবং অঙ্গহানীর বিশেষ কারণও হয়ে দাঁড়ায়। এটি ডাক্তারদের ধারণায় একটি দ্রুত সংক্রামক ব্যাধি।

. কখনো কখনো এরা গনোরিয়ায়ও আক্রান্ত হয় এবং এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা সাধারণতঃ একটু বেশি। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭৫ সালে উক্ত রোগে প্রায় পঁচিশ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়। বর্তমানে ধারণা করা হয়, এ জাতীয় রোগীর হার বছরে বিশ থেকে পঞ্চাশ কোটি। যার অধিকাংশ‍ই যুবক ৷ এ জাতীয় রোগে প্রথমত লিঙ্গে এক ধরনের জলন সৃষ্টি হয়। এরই পাশাপাশি তাতে বিশ্রী পুঁজও জন্ম নেয়। এটি বন্ধ্যত্বের একটি বিশেষ কারণও বটে। এরই কারণে ধীরে ধীরে প্রস্রাবের রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। উক্ত জ্বলনের কারণে ধীরে ধীরে লিঙ্গাগ্রের ছিদ্রের আশপাশ লাল হয়ে যায়। পরিশেষে সে জ্বলন মুত্রথলী পর্যন্ত পৌঁছোয়। তখন মাথা ব্যথা, জ্বর ইত্যাদি শুরু হয়ে যায়। এমনকি এর প্রতিক্রিয়া শরীরের রক্তে পৌঁছুলে তখন হৃদপিণ্ডে জ্বলন সৃষ্টি হয়। আরো কত্তো কী?

৬. হেরপেস রোগও এ সংক্রান্ত একটি অন্যতম ব্যাধি। এমেরিকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি রিপোর্টে বলা হয়, হেরপেসের এখনো কোন চিকিৎসা উদ্ভাবিত হয়নি এবং এটি ক্যান্সার চাইতেও মারাত্মক। শুধু এমেরিকাতেই এ রোগীর হার বছরে বিশ কোটি এবং ব্রিটিনে এক লক্ষ। এ রোগ হলে প্রথমে লিঙ্গাগ্রে চুলকানি অনুভূত হয়। অতঃপর চুলকানির জায়গায় লাল ধরনের ফোস্কা জাতীয় কিছু দেখা দেয় যা দ্রুত বড় হয়ে পুরো লিঙ্গে এবং যার সাথে সমকাম করা হয় তার গুহ্যদ্বারে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলোর ব্যথা খুবই চরম এবং এগুলো ফেটে গিয়ে পরিশেষে সেস্থানে জ্বলন ও পুঁজ সৃষ্টি হয়। কিছু দিন পর রান ও নাভির নীচের অংশও ভীষণভাবে জ্বলতে থাকে। এমনকি তা পুরো শরীরেও ছড়িয়ে পড়ে এবং তার মগজ পর্যন্তও পৌঁছোয়। এ রোগের শারীরিক ক্ষতির চাইতেও মানসিক ক্ষতি অনেক বেশি ।

৭. এইড্‌সও এ সংক্রান্ত একটি অন্যতম রোগ। এ রোগের ভয়ঙ্করতা নিম্নের ব্যাপারগুলো থেকে একেবারেই সুস্পষ্ট হয়ে যায়ঃ ক. এ রোগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। খ. এ রোগ খুবই অস্পষ্ট। যার দরুন এ সংক্রান্ত প্রশ্ন অনেক বেশি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সেগুলোর তেমন আশানুরূপ উত্তর দিতে পারছেন না। গ. এ রোগের চিকিৎসা একেবারেই নেই অথবা থাকলেও তা অতি স্বল্প মাত্রায়। ঘ. এ রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে।

এইডসের কারণে মানুষের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়ে। যার দরুন যে কোন ছোট রোগও তাকে সহজে কাবু করে ফেলে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ রোগে আক্রান্ত শতকরা ৯৫ জনই সমকামী এবং এ রোগে আক্রান্তদের শতকরা ৯০ জনই তিন বছরের মধ্যে মৃত্যু বরণ করে।

৮. এ জাতীয় লোকেরা “ভালোবাসার ভাইরাস” অথবা “ভালোবাসার রোগ নামক নতুন ব্যাধিতেও কখনো কখনো আক্রান্ত হয়। তবে এটি এইড্‌স চাইতেও অনেক ভয়ানক। এ রোগের তুলনায় এইড্‌স একটি খেলনা মাত্র। এ রোগে কেউ আক্রান্ত হলে ছয় মাস যেতে না যেতেই তার পুরো শরীর ফোস্কা ও গুঁজে ভরে যায় এবং ক্ষরণ হতে হতেই সে পরিশেষে মারা যায়।

সমকামের শাস্তি ঃ

কারোর ব্যাপারে সমকাম প্রমাণিত হয়ে গেলে তাকে ও তার সমকামী সঙ্গীকে শাস্তি স্বরূপ হত্যা করতে হয়। হযরত ‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আব্বাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল এ ইরশাদ করেনঃ مَنْ وَجَدْتُمُوْهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمٍ لُوْط فَاقْتُلُوْا الْفَاعِلَ وَ الْمَفْعُوْلَ به অর্থাৎ কাউকে সমকাম করতে দেখলে তোমরা উভয় সমকামীকেই হত্যা করবে। (আবু দাউদ, হাদীস ৪৪৬২ তিরমিযী, হাদীস ১৪৫৬ ইবনু মাজাহ, হাদীস ২৬০৯ বায়হাক্বী, হাদীস ১৬৭৯৬ হা’কিম, হাদীস ৮০৪৭, ৮০৪৯)

উক্ত হত্যার ব্যাপারে সাহাবাদের ঐকমত্য রয়েছে। তবে হত্যার ধরনের ব্যাপারে তাদের পরস্পরের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।

হযরত আবু হুরাইরাহ্ থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল ইরশাদ করেনঃ اَرْجُمُوا الأَعْلَى وَ الْأَسْفَلَ ، أَرْجُمُوْهُمَا جَمِيعاً (ইবনু মাজাহ্, হাদীস ২৬১০) অর্থাৎ উপর-নীচের উভয়কেই রজম করে হত্যা করো ৷

হযরত আবু বকর, ‘আলী, ‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ যুবাইর এবং হিশাম বিন্আ ব্দুল মালিক (রাহিমাহুল্লাহ্) সমকামীদেরকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন।

হযরত মুহাম্মাদ বিন্ মুকাদির (রাহিমাহুল্লাহ্) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ كَتَبَ حَالَدُ بْنُ الْوَلِيدِ إِلَى أَبِي بَكْرِ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَ- أَنَّهُ وَجَدَ رَجُلاً فِي بَعْضٍ ضَوَاحِي الْعَرَب يُنْكَحُ كَمَا تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ ، فَجَمَعَ لِذَلِكَ أَبُو بَكْرٍ أَصْحَابَ رَسُوْلِ اللهِ ، وَ فِيْهِمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالب له ، فَقَالَ عَلِيٌّ للهِ: إِنْ هَذَا ذَنْبٌ لَمْ تَعْمَلْ به أُمَّةٌ إلا أُمَّةً وَاحِدَةً ، فَفَعَلَ اللهُ بِهِمْ مَا قَدْ عَلِمْتُمْ ، أَرَى أَنْ تَحْرِقَهُ بِالنَّارِ، فَاجْتَمَعَ رَأْيُ أَصْحَابِ رَسُوْلِ اللَّهِ أَنْ يُحْرَقَ بِالنَّارِ ، فَأَمَرَ بِهِ أَبُو بَكْرٍ أَنْ يُحْرَقَ بِالنَّارِ

অর্থাৎ হযরত খালিদ্ বিন্ ওয়ালীদ্ হযরত আবু বকর এর নিকট এ মর্মে একটি চিঠি পাঠালেন যে, তিনি আরবের কোন এক মহল্লায় এমন এক ব্যক্তিকে পেয়েছেন যাকে দিয়ে যৌন উত্তেজনা নিবারণ করা হয় যেমনিভাবে নিবারণ করা হয় মহিলা দিয়ে। তখন হযরত আবু বকর সাহাবাদেরকে একত্রিত করে এ ব্যাপারে তাঁদের পরামর্শ চেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে হযরত ‘আলী ও ছিলেন। তিনি বলেনঃ এ এমন একটি গুনাহ্ যা বিশ্বে শুধুমাত্র একটি উম্মতই সংঘটন করেছে। আল্লাহ্ তা’আলা ওদের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন তা সম্পর্কে আপনারা অবশ্যই অবগত। অতএব আমার মত হচ্ছে, তাকে আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হবে। উপস্থিত সকল সাহাবারাও উক্ত মতের সমর্থন করেন। তখন হযরত আবু বকর তাকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার ফরমান জারি করেন ।(বায়হাক্বী/শু’আবুল ঈমান, হাদীস ৫৩৮৯)

হযরত ‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আব্বাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ يُنْظَرُ أَعْلَى بِنَاء فِي الْقَرْيَةِ ، فَيُرْمَى اللُّوْطِيُّ مِنْهَا مُنَكِّسًاً ، ثُمَّ يُتْبَعُ بِالْحِجَارَةِ

অর্থাৎ সমকামীকে মহল্লার সর্বোচ্চ প্রাসাদের ছাদ থেকে উপুড় করে নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর তার উপর পাথর মারা হবে।(ইবনু আবী শাইবাহ্, হাদীস ২৮৩২৮ বায়হাক্বী ৮/২৩২)

সমকামীর জন্য পরকালের শাস্তি হচ্ছে আল্লাহ্ তা’আলা তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে কখনো তাকাবেন না ৷ হযরত ‘আব্দুল্লাহ্ বিন্ ‘আব্বাস্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুমা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূল এ ইরশাদ করেনঃ لَا يَنْظُرُ اللَّهُ إِلَى رَجُلٍ أَتَى رَجُلاً أَوِ امْرَأَةٌ فِي الدُّبُرِ অর্থাৎ আল্লাহ্ তা’আলা এমন ব্যক্তির প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে কখনো তাকাবেন না যে সমকামে লিপ্ত হয় অথবা কোন মহিলার মলদ্বারে গমন করে।(ইবনু আবী শায়বাহ্, হাদীস ১৬৮০৩ তিরমিযী, হাদীস ১১৬৫)

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *