সরকারি মালামাল ও অফিসের আসবাবপত্র ও আমানত
অফিসের আসবাবপত্র ও আমানত
আপনি যেই অফিসে কাজ করছেন, সেখানে যত আসবাবপত্র আছে তার প্রতিটিই আপনার কাছে আমানত। সেগুলো কেবল দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের জন্যই সেখানে রাখা হয়েছে। কাজেই তার কোনওটি আপনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারেন না। তা করলে আমানতের খেয়ানত হবে। লোকে মনে করে অফিসের ছোট-খাট জিনিস নিজ কাজে ব্যবহার করলে এমন কি ক্ষতি হবে ? মনে রাখতে হবে খেয়ানত ছোট জিনিসে হোক বা বড় জিনিসে সর্বাবস্থায়ই তা হারাম। হারামে লিপ্ত হওয়া কবীরা গুনাহ। উভয় অবস্থায়ই আল্লাহ তা’আলার নাফরমানী হয়। তাই ছোট-বড় সব রকম খেয়ানতই পরিহার করতে হবে।
সরকারি মালামাল আমানত
পূর্বেই বলা হয়েছে, আমানতের প্রকৃত অর্থ হল, কেউ আপনার প্রতি আস্থা রেখে কোন কাজ আপনার উপর ন্যস্ত করল আর আপনি তা গ্রহণ করলেন। ব্যস সে কাজ আপনার জন্য আমানত হয়ে গেল। এখন তার আস্থা অনুযায়ী আপনি যদি তা আনজাম না দেন, তবে তা খেয়ানত হবে।
সুতরাং যে সড়কে আপনি চলাচল করেন তা আমানত। যেই বাস বা ট্রেনে আপনি ভ্রমণ করেন তাও আমানত। কাজেই এর ব্যবহার হতে হবে বৈধ উপায়ে। অন্যথায় তা খেয়ানতের অন্তর্ভূক্ত হবে। যেমন ব্যবহার কালে নষ্ট করে ফেলা, ময়লা করে ফেলা ইত্যাদি। মানুষ তো আজকাল সরকারি রাস্তাকে পৈত্রিক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। যার যেমনি ইচ্ছা ব্যবহার করছে। কেউ রাস্তা কেটে পানি নিষ্কাশনের পথ তৈরী করছে, কেউ রাস্তা দখল করে মঞ্চ বানাচ্ছে কিংবা ব্যক্তিগত মালামাল রাখছে।
অথচ মাসআলা হল, কেউ যদি ছাদের পানি নামানোর জন্য রাস্তার দিকে নল লাগায়, তবে তার জন্য তাও জায়েয হবে না । কেননা, সে ব্যক্তিগত কাজে এমন শূন্যমন্ডল ব্যবহার করেছে, যার মালিক সে নিজে নয়। অথচ সে নল কোন স্থান দখল করে না, বরং শূন্যে লটকে থাকে মাত্র । পানি নিষ্কাশনের নল কোন দিকে কতটুকু বের করা জায়েয, কোন দিকে কতটুকু জায়েয নয়, এ সম্পর্কে আমাদের ফকীহগণ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, যেহেতু বাড়ির সীমার বাইরে নিজ মালিকানা নেই এবং এ কারণে তা আমানত।