হিংসার তৃতীয় চিকিৎসা
যেমনটি আমি আরয করেছি যে, হিংসার ভিত্তি হল দুনিয়ার মহব্বত ও পদের মোহ। এজন্য এই হিংসার তৃতীয় চিকিৎসা হল, মানুষ নিজের অন্তর হতে দুনিয়া ও পদের মোহ বের করার চিন্তা করবে। কেননা সমস্ত ব্যাধির মূল হল দুনিয়ার মহব্বত। আর এই দুনিয়ার মহব্বত অন্তর থেকে বের করার পদ্ধতি হল, মানুষ এটা চিন্তা করবে যে, দুনিয়া কয়দিনের? যে কোন সময় চোখ বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষের মুক্তির কোন পথ থাকবে না। দুনিয়ার স্বাদ, দুনিয়ার নেয়ামত, এর সম্পদ, এর সুখ্যাতি ও সম্মান এবং এসবের অস্থায়ীত্বের ব্যাপারে মানুষের চিন্তা করা উচিত। আর ভাবা উচিত যে, যে কোন সময় মৃত্যু চলে আসবে তো সমস্ত কাহিনী খতম হয়ে যাবে।
যাই হোক, এ তিনটি জিনিস যেগুলো সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করলে এবং এগুলো মনের মধ্যে হাযির থাকলে এই ব্যাধি কমে যাবে ইনশাআল্লাহ।
হিংসা দু’প্রকার
আরেকটি কথা বুঝে নিন। এটা বুঝা খুব জরুরী। সেটা হচ্ছে এই যে, হিংসার খারাবীসমূহ শোনার পর অনেক সময় মনের মধ্যে এমন খেয়াল আসে যে, এই ব্যাধিটাতো এমন যে, অনেক সময় অনিচ্ছাকৃতভাবেও এটা সৃষ্টি হয়ে যায়। বিশেষত আমরা আমাদের সমবয়সী, সমমর্যাদাবান, সহপাঠী বা সহপেশার লোকদের মধ্যে কাউকে অগ্রসর বা উন্নতি করতে দেখলে গাইরে ইখতিয়ারীভাবে অন্তরে এই খেয়াল আসে যে, আচ্ছা এতো আমার থেকে আগে বেড়ে গেল। অতঃপর অন্তরে অবচেতন ভাবেই একটা বেদনা ও বিষণ্নতার ভাব চলে আসে। এখন ব্যাপার হল, এটার তো ইচ্ছা ছিলনা বা নিজ ইখতিয়ারেও অন্তরে আনা হয়নি। বরং গাইরে ইখতিয়ারী বা অবচেতনভাবে মনে খেয়াল এসে গেছে। এর থেকে কিভাবে আত্মরক্ষা করবে? এর থেকে আত্মরক্ষার পদ্ধতি কি?
খুব বুঝে নিন। হিংসার একটা পর্যায় তো হল কোন মানুষের অন্তরে এই খেয়াল আসল যে, অমুক ব্যক্তি যে নেয়ামত পেয়েছে সেটা যেন তার থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু এই খেয়ালের পাশাপাশি হিংসাকারী নিজের কথা ও কাজের দ্বারা তার অমঙ্গলও কামনা করে। উদাহরণস্বরূপ মজলিসে বসে তার দোষচর্চা করে, তার গীবত করে, যাতে করে ঐ নেয়ামতের কারণে মানুষের অন্তরে যে ভক্তি-শ্রদ্ধা সৃষ্টি হয়েছে, সেটা শেষ হয়ে যায়। অথবা সে এই চেষ্টা করছে যেন তার থেকে নেয়ামত ছিনিয়ে নেয়া হয় । এমন হিংসা সম্পূর্ণ হারাম। এটা হারাম হওয়ার ব্যাপারে ন্যূনতম সন্দেহ নেই।
কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে, অন্যের নেয়ামত দেখে তার অন্তরে কষ্ট লাগে। আর এই খেয়াল আসে যে, সে এই নেয়ামত কেন পেল? কিন্তু ঐ ব্যক্তি নিজ কথা বা কাজ, আচার-আচরণ দ্বারা এই হিংসার ব্যাপারটা অন্যের সামনে প্রকাশ করে না। ঐ লোকের সমালোচনা বা গীবতও করে না। তার অমঙ্গলও কামনা করে না আর তার থেকে নেয়ামত ছিনিয়ে নেয়ার কোন অপচেষ্টাও সে চালায়না। বসে অন্তরে শুধু একটি দঃখ ও ব্যথা যে সে এই নেয়ামত কেন পেল। তার থেকে নেয়ামত ছিনিয়ে নেয়ার কোন অপচেষ্টাও সে চালায়না ।ব্যস অন্তরে শুধু একটি দুঃখ ও ব্যথা যে, সে এই নেয়ামত কেন পেল? বাস্তবিক পক্ষে তো এটাও হিংসা ও গুনাহ। কিন্তু এর চিকিৎসা সহজ। আর সামান্য মনোযোগী হলে এই গুনাহ থেকে বাঁচতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে ইসতিগফার করবে।
এর চিকিৎসা হল, যখন অন্তরে এই জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়, তখন সঙ্গে সঙ্গে অন্তরে একথা চিন্তা করবে যে, এই হিংসা কত মারাত্মক জিনিস। আর আমার অন্তরে এই যে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হচ্ছে, এটা খুবই খারাপ কাজ। আর যখন এ জাতীয় খেয়াল অন্তরে আসে, সঙ্গে সঙ্গে ইসতিগফার পড়বে আর এটা চিন্তা করবে যে, নফস ও শয়তান আমাকে বিভ্রান্ত করছে। এটা আমার জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। এজন্য যখনই হিংসার খেয়াল আসে, তখনই হিংসার ধ্বংসলীলার খেয়ালও অন্তরে নিয়ে আসবে। তাহলে এই হিংসার গুনাহ খতম হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।তার ব্যাপারে দু’আ করবে।
বুযুর্গানে দ্বীন লিখেছেন যে, যদি অন্তরে অন্যের নেয়ামত দেখে হিংসা ও জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হয়, তাহলে এটার একটি চিকিৎসা এটাও আছে যে, নির্জনে বসে মহান আল্লাহর কাছে তার ব্যাপারে দু’আ করবে “হে আল্লাহ! এই যে নেয়ামত আপনি তাকে দান করেছেন আরো বাড়িয়ে দিন। যে সময় সে দু’আ করবে তখন তো তার অন্তরে করাত চলবে। আর এই দু’আর দ্বারা অন্তরে প্রচন্ড চাপ পড়বে। কিন্তু তারপরও ইচ্ছার বিপরীত মনের উপর চাপ প্রয়োগ করে দু’আ করবে।হে আল্লাহ! আপনি তাকে আরো উন্নতি দান করুন। তার নেয়ামতে আরো বরকত দান করুন।আর এর পাশাপাশি নিজের জন্যও এই দু’আ করবে যে, ইয়াআল্লাহ! আমার অন্তরে তার নেয়ামতের কারণে যে কষ্ট ও জ্বালা যন্ত্ৰণা হচ্ছে নিজ অনুগ্রহে সেটা দূর করে দিন ।
সারকথা হল এই তিনটি কাজ করবে। একটি হল নিজ অন্তরে যেকষ্ট পয়দা হচ্ছে আর তার নেয়ামত দূর হয়ে যাওয়ার যে খেয়াল অন্তরে জাগছে সেটাকে অন্তর থেকেই খারাপ মনে করবে। দ্বিতীয়ত তার জন্য কল্যাণের দু’আ করবে। তৃতীয়ত নিজের জন্য দু’আ করবে,হে আল্লাহ! আমার দিল হতে এটা দূর করে দিন।”এই তিনটি কাজ করার পরও যদি অন্তরে অবচেতন ভাবে খারাপ খেয়াল আসে, তাহলে আশা করা যায় যে, মহান আল্লাহর শাহী দরবারে পাকড়াও হবে না। ইনশাআল্লাহ। কিন্তু যদি অন্তরে খারাপ খেয়াল আসতেই থাকে অথচ সে এই খেয়ালকে খারাপ মনে করে না অথবা সেটা থেকে পরিত্রাণ লাভের ব্যাপারে কোন চিন্তা-ভাবনা করেনা, তাহলে কিন্তু গুনাহ হবে ।
হক নষ্ট করার ব্যাখ্যা
এ মাসআলাটি আমি বহুবার বলেছি যে, যে সব গুনাহের সম্পর্ক আল্লাহ তাআলার হকের সাথে, ঐসব গুনাহের চিকিৎসা তো সহজ যে,মানুষ তাওবা ও ইসতিগফার করে নিবে। ঐ গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। কিন্তু যেসব ত্রুটি ও গুনাহের সম্পর্ক বান্দার হকের সাথে, সেগুলো শুধুমাত্র তাওবা করার দ্বারা মাফ হয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত হকওয়ালা মাফ না করে বা তার দ্বারা মাফ করানো না হবে। ঐ সময় পর্যন্ত মাফ হবে না ।হিংসার ব্যাপার হল এই যে, যদি এটাকে আপনি আপনার মুখে নিয়ে আসেন আর ঐ হিংসার বশবর্তী হয়ে আপনি গীবত করে বসেন অথবা তার অমঙ্গল কামনায় কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন,তাহলে এমতাবস্থায় হিংসার সম্পর্ক বান্দার হকের সাথে হয়ে যাবে। অতএব যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ ব্যক্তি মাফ না করবে, এই গুনাহ মাফ হবেনা। কিন্তু যদি হিংসা শুধু অন্তরেই থাকে, মুখে তার সমালোচনায় বা গীবত হিসেবে কিছু না বলে এবং তার নেয়ামত দূর হয়ে যাওয়ার জন্য সরাসরি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে এমতাবস্থায় ঐ হিংসার সম্পর্ক আল্লাহ তাআলার হকের সাথে। এ কারণে ঐ গুনাহটি সংশ্লিষ্টব্যক্তির কাছে মাফ চাওয়া ব্যতীত শুধু তাওবা দ্বারা মাফ হয়ে যাবে।
সুতরাং যতক্ষণ পর্যন্ত হিংসা অন্তরে আছে, মানুষ চিন্তা করবে যে,এখনো ব্যাপারটা নিয়ন্ত্রণে আছে। সহজভাবে এর সমাধান হতেপারে। আর মাফ চাওয়াও সহজ। নতুবা যদি এটা আগে বেড়ে যায়।তাহলে বান্দার হকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়বে। পরে আর মাফের কোনপথ থাকবে না ।অধিক ঈর্ষা করাও ভাল নয়যেমনটি আমি আরয করেছি যে, যদি অন্যের নেয়ামত ছিনতাই হওয়ার ইচ্ছা অন্তরে না থাকে বরং শুধু এই খেয়াল হয় যে, এ নেয়ামত আমারও হাসিল হোক। তো যদিও এটা হিংসা নয় বরং ঈর্ষা। কিন্তু এটা বেশি বেশি মনে আনা ও চিন্তা করা শেষ পর্যন্ত মানুষকে হিংসা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
এজন্য যদি দুনিয়ার মাল দৌলতের কারণে কারো উপর ঈর্ষা চলে আসে, তাহলে এটাও কোন ভাল কথা নয়। কেননা এই ঈর্ষাই অনেক সময় অন্তরে মাল দৌলতের লোভ সৃষ্টি করে দেয়। আবার অনেক সময় এই ঈর্ষা সামনে অগ্রসর হয়ে হিংসায় পরিণত হয়। দ্বীনের কারণে ঈর্ষা করা ভালো কিন্তু যদি দ্বীনদারীর কারণে ঈর্ষা সৃষ্টি হয় তো এটা তো ভালো কথা। কেননা হাদীসে পাকে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—لَا حَسَدَ إِلا فِي اثْنَتَيْنِ رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالًا فَسَلَّطَ عَلَى هَلَكَتِهِ فِي الْحَقِّوَرَجُلٌ آتَاهُ اللهُ الْحِكْمَةَ فَهُوَ يَقْضِي بِهَا وَيُعَلِّمُهَا অর্থাৎ “হিংসা জায়িয নেই কিন্তু শুধুমাত্র দু’জন মানুষের ক্ষেত্রে জায়িয। (এখানে “হিংসা” দ্বারা “ঈর্ষা” উদ্দেশ্য) একজন হলেন ঐ মানুষ যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দান করেছেন আর তিনি সেটাকে আল্লাহর পথে ব্যয় করেন। আর অপরজন হলেন ঐ ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তাআলা ইলম দান করেছেন আর তিনি ঐ ইলমের মাধ্যমে মানুষদেরকে উপকার পৌঁছাচ্ছেন ও দ্বীনের শিক্ষা দিচ্ছেন ।
এজন্য যদি দ্বীনের কারণে কেউ ঈর্ষা করে যে, অমুক ব্যক্তি দ্বীনদারীর ক্ষেত্রে আমার থেকেও আগে বেড়ে গেছে। তাহলে সেই ঈর্ষা পছন্দনীয় এবং খুব প্রশংসনীয় ব্যাপার ।দুনিয়ার জন্য ঈর্ষা পছন্দনীয় নয় কিন্তু দুনিয়ার মাল দৌলতের কারণে অন্যের উপর ঈর্ষা করা যে,অমুকের কাছে সম্পদ বেশি আছে, দৌলত বেশি আছে, তার প্রসিদ্ধি বেশি, সম্মান বেশি, এসব দুনিয়াবী জিনিসেও ঈর্ষা করা পছন্দনীয় নয়। কেননা এসব জিনিসে বেশি সন্দেহের কারণে লোভ সৃষ্টি হবে। পরবর্তীতে হিংসা পয়দা হওয়ারও আশংকা আছে। এজন্য এই ঈর্ষাকেও বেশি বাড়তে দেয়া যাবে না। বরং যখন এ জাতীয় খেয়াল মনের মধ্যে আসবে, তখন মানুষ চিন্তা করবে যে, যদি অমুক নেয়ামত তার কাছে থেকে থাকে তাহলে কী অসুবিধা? আল্লাহ পাক তো আমাকেও অনেক নেয়ামত দান করেছেন। যা তার কাছে নেই। আর যে সব নেয়ামত আমি পাইনি, নিশ্চয়ই সেগুলো না পাওয়ার মধ্যেই আমার জন্য কল্যাণ ও মঙ্গল নিহিত আছে। ঐসব নেয়ামত আমার কাছে থাকলে না জানি কোন্ মুসীবতে আমি ফেঁসে যেতাম।
যাই হোক, এসব কথা চিন্তা করবে এবং এই ঈর্ষার খেয়াল কেও নিজ অন্তর হতে বের করার চেষ্টা করবে। হিংসার ব্যাপারে এ কয়টাকথা আমি আপনাদের খেদমতে আরয করলাম ।আল্লাহ তাআলা আপন রহমতে আমাদেরকে এর বাস্তবতাঅনুধাবন করার তাউফীক দান করুন এবং হিংসা-বিদ্বেষ থেকে বাঁচার তাউফীক দান করুন। আমীন।
শাইখ এবং মুরব্বীর প্রয়োজনীয়তা
কিন্তু যেমনটি আমি বারবার আরয করতে থাকি যে, অন্তরের যতগুলো রোগ আছে, সেগুলো থেকে বাঁচার প্রকৃত চিকিৎসা হল এইযে, কোন রূহানী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবে ।যদি শারীরিক রোগের কোন ডাক্তার একবার রোগীকে নিজের কাছে বসিয়ে খুব ভালভাবে এটা বলে দেয় যে, জ্বরের হাকীকত কি? এর বাস্তবতা কি? এর কারণ বা উপলক্ষই বা কি কি? এর চিকিৎসা ও ঔষধসমূহ কি কি? ইত্যাদি। কিন্তু যখন তার জ্বর আসবে তখন কি সে ডাক্তার সাহেবের বাতলানো কথা গুলোকে স্মরণ করে সে অনুযায়ী নিজের চিকিৎসা নিজেই আরম্ভ করবে? বলা বাহুল্য যে, সে এমনটি করবে না। কেননা অবস্থা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। অনেক সময় ঔষধসমূহ নিজের জন্য ফিট করার ক্ষেত্রে ভুলও হয়ে যায়। এজন্য কোন ডাক্তার বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। অনুরূপভাবে অন্তরের যে ব্যাধিগুলো আছে, উদাহরণস্বরূপ রিয়াকারীরা মানুষকে দেখানোর জন্য কোন আমল করা হিংসা বা বিদ্বেষ, তাকাব্বুর বা অহংকার ইত্যাদি। আপনারা এগুলোর বাস্তবতা তো শুনে ফেলেছেন। কিন্তু যখন কেউ এ জাতীয় কোন ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে, তখন তার উচিত হবে এমন কোন রূহানী ডাক্তার বা আত্মার রোগেরচিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া, যিনি নিজের চিকিৎসা করিয়েছেন এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া, যিনি নিজের চিকিৎসা করিয়েছেন এবং অন্যের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে পারদর্শী ব্যক্তি। তাকে বলতে হবে যে, হযরত! আমার অন্তরে বিভিন্ন খারাপ খেয়াল ও কুমন্ত্রণা সৃষ্টি হয়। এর সমাধান কি? এরপর ঐ বুযুর্গ সঠিক ব্যবস্থাপত্র দেন।
অনেক সময় এমন হয় যে, মানুষ নিজেকে রোগী মনে করে, কিন্তু বাস্তবে সে রোগী নয়। আবার অনেক সময় এমনও হয় যে, মানুষ নিজেকে সুস্থ মনে করে কিন্তু বাস্তবে সে হল অসুস্থ। আবার অনেক সময় এমন হয় যে, তার জন্য কোন চিকিৎসা বা ব্যবস্থাপত্র উপকারী কিন্তু দেখা যায় যে, সে অন্য কোন চিকিৎসা গ্রহণ করছে!!
এজন্য বুনিয়াদী কথা হল এই যে, কোন অনুমতি প্রাপ্ত আল্লাহওয়ালা বুযুর্গের কাছে রুজু করে তাঁকে নিজের ভেতরগত অবস্থ বিস্তারিত জানাবে। অতঃপর তাঁর দেয়া ব্যবস্থাপত্র বা চিকিৎসা অনুযায়ী আমল করবে।
আল্লাহ তাআলা আমাকে ও আপনাদেরকে এ কথাগুলোর উপর আমল করার তাউফীক দান করুন। আমীন।
বই : হিংসা ও গোস্বা: দুটি ধ্বংসাত্বক ব্যাধি