অন্যান্য

হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী (রহঃ) এর জীবনী

বংশ পরিচয়

থানাভোয়ান নামক শহরে হযরত মাওলানা আশরাফ আলী (র) এর বাসস্থান বলে তাঁকে “থানভী” বলা হয় । শহরটি আগ্রা-অযোধ্যাযুক্ত প্রদেশের মুযাফ্ফর নগর জিলার অন্তর্গত । থানাভবনে ফারুকী বংশের চারটি গোত্রের লোক বসবাস করতেন। এরা সকলেই হযরত ওমর ফারুক (রাঃ)এর বংশধর, ফারুকীদের মধ্যে ‘খতীব’ গোত্রই ছিল সকলের বরেণ্য। আর এ গোত্রেই হযরত মাওলানা থানভীর জন্ম । খতীব গোত্রের ঊর্ধ্বতন মহা পুরুষ ছিলেন মাওলানা ছদরে জাঁহান। অধিক পরহেযগারীর কারনে তাঁর উপাধী ছিল “তাকওয়া শেয়ার” মাওলানা ছদরে জাহানের বংশগত উপরের দিকে প্রসিদ্ধ ওলিয়ে কামেল সুলতান শেহাবুদ্দীন ফররোখ শাহের সাথে মিলিত হয়। হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানী, শায়খ জালালুদ্দীন থানেশ্বরী, শায়খ ফরীদুদ্দীন গঞ্জেশকর প্রমুখ খ্যাতনামা বুযুর্গগন এ খতীব বংশেই জন্ম গ্রহন করেছিলেন।

হযরত আশরাফ আলী থানভী (র) এর পিতার নাম ছিল জনাব মুন্সী আবদুল হক । তিনি একজন বিত্তবান প্রভাবশালী লোক ছিলেন । তিনি একজন খ্যাতনামা দানশীল এবং ফারসী ভাষায় উচ্চ স্তরের পণ্ডিতও ছিলেন।

তাঁর মাতৃকুল ছিল হযরত আলী (রা) এর বংশধর। তাঁর মাতা একজন দ্বীনদার, আল্লাহর ওলী ছিলেন। তাঁর নানা মীর নজাবত আলী ছাহেব ছিলেন ফার্সী ভাষায় সুপণ্ডিত ও প্রবন্ধকার । খ্যাতনামা বুযুর্গ হাফেজ মোর্তজা ছাহেবের সাথে তাঁর আধ্যাত্বিক যোগ-সম্পর্ক ছিল বলে তিনি বেলায়েতের দরজায় পৌঁছেন । হযরত থানভী (র) এর সর্বোচ্চ উর্ধ্বতন আদি পুরুষ ছিলেন হযরত ওমর (রা) ও হযরত আলী (রা)। তরীকতের বিভিন্ন সিলসিলার দিক দিয়ে তিনি হযরত আলী (রা) এর উত্তরসূরী ছিলেন ।

জন্ম কাহিনী

হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র) এর জন্ম বৃত্তান্ত একটি অলৌকিক কাহিনী । তাঁর পিতার কোন পুত্র সন্তানই জীবিত থাকত না। তারপর তাঁর পিতা মুন্সী আবদুল হক সাহেব অনেক দিন ধরে এক দূরারোগ্য চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে এমন এক ঔষধ সেবন করেন, যাতে তাঁর প্রজনন ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে রহিত হয়ে যায়। এতে হযরত থানভী (র) এর নানী অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েন। একদা তিনি হাফেজ গোলাম মোর্তজার কাছে এ বিষয়টি আরয করলেন। তিনি ছিলেন মাজযুব । তিনি বললেন “ওমর (রাঃ) ও আলী (রাঃ)-এর টানা টানিতেই পুত্র সন্তানগুলি মারা যায় । এবার পুত্র সন্তান জন্মিলে হযরত আলী (রা)-এর নামে সোপর্দ করে দিও। ইনশাআল্লাহ জীবিত থাকবে।” তাঁর এ রকম হেঁয়ালী পূর্ণ কথার সারমর্ম একমাত্র হযরত মাওলানা থানভীর (র) তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমতী মাতা ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারল না। তিনি বললেন, “হযরত হাফেজ সাহেবের কথার তাৎপর্য সম্ভবতঃ এই যে, আমার স্বামী হযরত ওমর ফারুক (রা) এর বংশধর আর আমি হযরত আলী (রা) এর বংশধর। এ যাবত আমাদের পুত্র সন্তান গুলির নাম রাখা হত তাঁদের পিতার নামের সাথে মিল রেখে অর্থাৎ, হক শব্দ যোগ করে । যেমন আব্দুল হক, ফযলে হক ইত্যাদি। এবার পুত্র সন্তান জন্মিলে মাতৃকুল অনুযায়ী নাম রাখিতে অর্থাৎ, আমার আদিপুরুষ হযরত আলী (রা) এর নামের সাথে মিল রেখে নামকরণের কথা বলছেন। এ কথা শুনে হযরত হাফেয সাহেব বললেন, “হ্যাঁ, এটাই আমার কথার অর্থ। মেয়েটি তো বেশ বুদ্ধিমতী । ইনশা-আল্লাহ! এর গর্ভে দু’টি পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করবে। একজন হবে আমার অনুসারী, সে খুব বড় আলেম ও হাফেয হবে। আর অপর জন হবে দুনিয়াদার। তোমার প্রথম পুত্রের নাম রাখবে আশরাফ আলী আর অপরজনের নাম রাখবে আকবর আলী। উভয়ই ভাগ্যবান হবে। একজনের ভাগ্য হবে পরলৌকিক আর এক জনের ভাগ্য হবে ইহলৌকিক।

জন্ম

হযরত থানভী (র) এর পিতা বংশ নিরোধক ঔষধ সেবন করেছিলেন, কিন্তু আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় বংশ নিরোধক ঔষধ বংশ বৃদ্ধিকারকে প্রমানিত হল । হযরত থানভী (র) ও পৃথিবীতে আগমন করলেন আর তাঁর পিতাও রোগমুক্ত হলেন। ১২৮০ হিযরীর ৫ই রবীউচ্ছানী সোবহে সাদেকের সময় হযরত মাওলানা থানভী (র) থানাভোয়ান শহরের “খীল” নামক এলাকায় তাঁর নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মের ১৪ মাস পর তাঁর ভাই আকবর আলীর জন্ম হয় ।

বাল্যকাল

হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (র) এর জন্মের ১৪ মাস পর তাঁর ভাই জন্ম গ্রহণ করলে তাঁদের এক মায়ের দুগ্ধ-দু ভাইয়ের জন্য যথেষ্ট না হওয়ার কারণে হযরত থানভী (র) মীরাঠের অন্তর্গত কোন এক গ্রামের একজন কসাই মহিলার দুধ পান করে প্রতি পালিত হন ।

মাত্র পাঁচ বছর বয়সের সময় থানভী (র) এর মাতা ইন্তিকাল করেন । সুতরাং শিশুকালেই তাঁরা দু’ভাই মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত হলেন। কিন্তু পিতার অত্যধিক আদর যত্নের কারণে শিশুরা মায়ের বিয়োগ বেদনার কথা কখনও অনুভব করতেই পারেনি।শৈশব থেকেই হযরত মাওলানা থানভী (র) এর চাল-চলন ও আচার-ব্যবহার ছিল পাক পবিত্র ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন । তিনি কখনও বাহিরে গিয়ে খেলা-ধুলা করতেন না। নিজ বাড়ীর সীমানার মধ্যে ছোট ভাই আকবর আলীকে নিয়ে খেলা ধুলা করতেন। তিনি খেলার মধ্যে নামাযের অভিনয় করতেন। সহপাঠীদের জুতা গুলিকে কেবলা মুখে সারি করে সাজাতেন। একটি জুতা সারির সামনে স্থাপন করে সাথীদেরকে বলতেন, দেখ দেখ, জুতাও, জামাতে নামায পড়ে। এ বলে বেশ আনন্দ উপভোগ করতেন ।

হযরত মাওলানা থানভী (র) এর বয়স যখন ১২/১৩ বছর, তখন শেষ রাতে উঠে তিনি তাহাজ্জুদের নামায পড়তেন। তাঁর চাচীআম্মা গভীর রাতে তাঁকে একাকী নামায পড়তে দেখে বলতেন । তোমার তাহাজ্জুদের নামায পড়ার সময় এখনও হয়নি; বড় হলে পড়বে। কিন্তু এতে কোন ফল হলনা; বরং তিনি রীতিমত তাহাজ্জুদের নামায পড়তে রইলেন। তাঁর চাচীআম্মা নিরুপায় হয়ে তাহাজ্জুদের নামাযে থাকাকালীন তাঁকে পাহারা দিতেন । কারন ছেলে গভীর রাতে একাকী ভয় পেতে পারেন

তার স্বভাব এত নির্মল ছিল যে, তিনি বাল্যকাল হতে কারও উলঙ্গ পেট দেখতে পারতেন না । উলঙ্গ পেট দেখা মাত্র তাঁর বমি আসত । এলাকার ছেলেরা এ ব্যাপার জানতে পেরে তাঁকে বিরক্ত করার জন্য পেট উলঙ্গ করে তাঁকে দেখাত। আর তিনি বমি করতে করতে অস্থির হয়ে পড়তেন। এ উপায়ে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে শৈশব থেকেই মন্দ সংস্পর্শ হতে হেফাযত করেছেন।

একটি স্বপ্ন

হযরত থানভী (র) বাল্যকালে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বপ্ন দেখেন। তিনি বলেন. আমি দেখলাম, আমি মীরাঠের যে বাড়ীতে থাকতাম, তাতে উঠিবার দু’টি সিঁড়ি ছিল। একটি বড় ও একটি ছোট। আমি স্বপ্নে দেখলাম বড় সিঁড়ির একটি পিঞ্জিরায় দু’টি সুন্দর কবুতর। একটু পরেই সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসলে কবুতর দু’টি আমাকে বলল, আমাদের খাঁচাটিকে আলোকিত করে দিন। আমি বললাম, “তোমরা নিজেরাই আলোকিত করে লও” আমি এ কথা বলার সাথে সাথেই কবুতরগুলি খাঁচার সহিত নিজেদের ঠোঁট ঘর্ষন করতে লাগল । হঠাৎ খাঁচাটি এক অভূতপূর্ব আলোকে উজ্জ্বল হয়ে উঠল । অতঃপর আমিঘুম থেকে জেগে গেলাম । কিছুকাল পরে আমার এ স্বপ্নের কথা আমার মামা ওয়াজেদ আলী সাহেবের কাছে বর্ণনা করলে তিনি এর তা’বীর করলেন। এ কবুতর দু’টির মধ্যে একটি তোমার ‘রূহ’ অপরটি তোমার নাফস। তারা উভয়ে তোমাকে মুজাহাদা এবং রিয়াযতের দ্বারা উহাদিগকে আলোকিত করে দিতে অনুরোধ করেছিল। তুমি নিজে কোন পরিশ্রম না করে তাদিগকেই আত্মশুদ্ধি করে নিতে বলেছিলে । এ স্বপ্নের মর্মকথা এই যে. মা’রেফাত অর্জনের ব্যাপারে তুমি নিজে কোন রিয়াযত ও পরিশ্রম করবে না । আল্লাহ তা’য়ালা স্বীয় অনুগ্রহে তোমার রূহ ও নাফ্সকে আলোকিত করে দিবেন।” পরবর্তীতে এই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছিল

শিক্ষা ব্যবস্থা

হযরত থানভী (র) পবিত্র কোরআন মাজীদ ও প্রাথমিক উর্দু ফারসী কিতাব মিরাঠে শিক্ষা লাভ করেন। পরে থানাভবন এসে তাঁর মামা ওয়াজেদ আলী সাহেবের নিকট শিক্ষা লাভ করেন । আরবীতে উচ্চ শিক্ষালাভের জন্য ১২৯৫ হিজরীতে বিশ্ব বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘দেওবন্দ দারুল উলুম মাদ্রাসায়’ গমন করেন । মাত্র পাঁচ বছরেই দেওবন্দের শিক্ষা সমাপ্ত করে দেশে প্রত্যাগমন করেন । তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৯ বছর। এই অল্প সময়ের মধ্যে এলমে হাদীস, তাফসীর, আরবী সাহিত্য, অলংকার শাস্ত্র, দর্শন শাস্ত্র, ইসলামী আইন শাস্ত্র, নৈতিক চরিত্র বিজ্ঞান, মূলনীতি শাস্ত্র, ইতিহাস ও যুক্তি বিজ্ঞান, আধ্যাত্মিক ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ইত্যাদি ২২টি বিষয়ের জটিল কিতাবসমূহ অতি কৃতিত্বের সাথে অধ্যয়ন করেন। এসময় তিনি ‘জের ও বম’ নামে একটি ফারসী কাব্য রচনা করেন।

কর্মজীবন

পাঠ্য জীবন শেষে ১৩০১ হিজরীতে কানপুরে ফরযে আম ‘মাদ্রাসায় মাসিক ২৫ টাকা বেতনে অধ্যাপনার কাজ শুরু করেন। হাদীস, তাফসীর ও উচ্চ স্তরের কেতাব সমূহ কৃতিত্বের সাথে পড়াতে থাকেন। জন সমাজে থানভী (র) এর জনপ্রিয়তা দেখে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের মধ্যে আর্থিক স্বার্থ লাভের বাসনা জাগরিত হয়। তারা তাঁকে মাহফিলে মাদ্রাসার জন্য চাঁদা তুলতে বললে তিনি একে না-জায়েয মনে করে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন। এতে মাদ্রাসা, কৃর্তৃপক্ষের মধ্যে ব্যাপক বলাবলি হলে তাঁর কর্ণগোচর হয়। তখনই তিনি মাদ্রাসা থেকে ইস্তফা দিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এলমে দ্বীনও দর্শন শাস্ত্রে এমন বিজ্ঞ ব্যক্তি দুর্লভ ভেবে জনাব আব্দুর রহমান খান ও কেফায়াতুল্লাহ সাহেবদ্বয় মাসিক ২৫ টাকা বেতনে টপকাপুরে অপর একটি মাদ্রাসায় অধ্যাপনার জন্য অনুরোধ করেন। তিনিও এলমে দ্বীনের খাতিরে সম্মত হয়ে টপকাপুরে মাদ্রাসায় জামেউল উলুমে থেকে যান। সে খানে তিনি একাধারে ১৪ বছর শিক্ষাদানে মশগুল ছিলেন। অতঃপর তিনি ১৩১৫ হিজরীর সফর মাসে স্বীয় পীরের অনুমতিক্রমে কানপুরের সংস্রব ত্যাগ করে থানা ভবনে এসে উম্মতে মুহাম্মদীয়ার সংস্কার সাধনে আত্ন নিয়োগ করেন।

রচনাবলী

তিনি সারা জীবনে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে বারো হাজারের উপরে গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থগুলোর মাঝে অন্যতম হলো ফিকাহ বিষয়ক গ্রন্থ বেহেশতী জেওর । যা ভারত উপমহাদেশের সাধারণ মুসলমানদের মাঝে বহুল পঠিত। এছাড়া তাঁর রচিত কুরআন শরীফের উর্দূ তরজমার গ্রন্থ বয়ানুল কুরআন (কুরআনের ব্যাখ্যা) সুপরিচিত। তিনি জাতির কল্যাণের জন্য তাঁর সকল গ্রন্থের স্বত্ব উন্মুক্ত রেখেছেন।

তাঁর রচিত গ্রন্থের তালিকা:

বেহেশতী যেওরতারবিয়াতুস সালেকমুনাজাতে মাকবুলইমদাদুল
ফাতাওয়া
তোহফায়ে রমজান আগলাতুল আউয়াম
ইসলাহুর রুসুমজাযাউল আমালকালিদে
মসনবী
হাসিলে
তাসাওউফ
আপনে ঈমান কি হিফাজাত কিজিয়ে
কাসদুস সাবীলআদাবুল মুআশারাতফাওয়ায়িদুস সুহবাতমাওয়ায়িযে আশরাফিয়ামালফুযাতে কামালাতে আশরাফিয়া
আমালে কুরআনীরমজানুল মোবারকইসলামে পর্দার গুরুত্বরমজানের তিন ইবাদাতআল-তাকাশশুফ আন মুহিম্মাত আল-তাসাওউফ
তালীমুদ্দীনতাতহীরে রমজানজামালুল কুরআনআশরাফুত তাফসীরসওম আউর ঈদ কি তাকমীল তোহফায়ে যাওজাইন
রমজান কা খালিস রাখনাইসলামী জিন্দেগি কি চার আহাম উসুল

চির বিদায়

১৯শে জুলাই ১৯৪৩ ইং সোমবার দিবাগত রাত্রে এশার নামাযের পর তিনি ইহধাম ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁহার বয়স হইয়াছিল বিরাশী বৎসর তিন মাস এগার দিন। এন্তেকালের দুই দিন পূর্বে পাঞ্জাবের এক মসজিদের ঈমাম (সৈয়দ আনোয়ার শাহ্ কাশমীরীর শাগরিদ) স্বপ্নে দেখেন, আকাশপ্রান্তে ধীরে ধীরে লিখা হইতেছ (ইসলামের বাহু ভাঙ্গিয়া গিয়াছে।)

তথ্যসূত্রঃ. 
লেখকঃ মুফতি রাশেদুল ইসলাম 
ইফতা: জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম ঢাকা মিরপুর -১ (মসজিদুল আকবর কমপ্লেক্স)

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
2

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *