চোখ, কান, মুখ ও অন্তরের যিনা; বাঁচার উপায়
কম্পিউটার, মোবাইল ও ইন্টারনেটের কল্যাণে বর্তমানে যিনার ভয়াবহ বিস্তার ঘটেছে ও ঘটে চলেছে। ল্যাপটপ বা এন্ড্রয়েড ফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ যার আছে অপরাধ করা তার জন্য খুব সহজ।
অশ্লীল সিনেমা বা ভিডিও দেখে বিপথে চলে যাওয়ার অবারিত সুযোগ হাতছানি দেয় তাকে। এক পর্যায়ে পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে খুব সহজে। স্ক্রিনে যা দেখে তা চিন্তা করে মুখে প্রকাশ করে বন্ধু বা বান্ধবীর কাছে। মুখে বলা কথাগুলোই কাজে পরিণত করার জন্য শয়তান তাকে বারবার প্ররোচিত করতে থাকে।
এভাবে সে চোখ, কান, মুখ ও অন্তরের যিনার পথে চলতে চলতে একসময় চূড়ান্ত যিনার পথে ধাবিত হয়। নামাজ রোজা করেও অনেকে এমন সর্বনাশা পথে পা বাড়াচ্ছে। পবিত্র কুরআনে এমন অপরাধের ভয়াবহ শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
قُلۡ إِنَّمَا حَرَّمَ رَبِّيَ ٱلۡفَوَٰحِشَ مَا ظَهَرَ مِنۡهَا وَمَا بَطَنَ وَٱلۡإِثۡمَ وَٱلۡبَغۡيَ بِغَيۡرِ ٱلۡحَقِّ وَأَن تُشۡرِكُواْ بِٱللَّهِ مَا لَمۡ يُنَزِّلۡ بِهِۦ سُلۡطَٰنٗا وَأَن تَقُولُواْ عَلَى ٱللَّهِ مَا لَا تَعۡلَمُونَ [الاعراف: ٣٣]
বল,‘আমার রব তো হারাম করেছেন অশ্লীল কাজ- যা প্রকাশ পায় এবং যা গোপন থাকে, আর পাপ ও অন্যায়ভাবে সীমালঙ্ঘন এবং আল্লাহর সাথে তোমাদের শরীক করা, যে ব্যাপারে আল্লাহ কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি এবং আল্লাহর উপরে এমন কিছু বলা যা তোমরা জান না’। [সূরা আল-আ‘রাফ, আয়াত: ৩৩]
আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَزۡكَىٰ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا يَصۡنَعُونَ. وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ
“(হে মুহাম্মাদ) তুমি মুমিনদেরকে বলে দাওঃ যেন তারা নিজ দৃষ্টিকে সংযত করে এবং নিজ লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে। এটাই তাদের জন্য প্রবিত্র থাকার সর্বোত্তম মাধ্যম। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাদের কর্ম সম্পর্কে অধিক অবগত। তেমনিভাবে তুমি মুমিন মহিলাদেরকেও বলে দাওঃ যেন তারা নিজ দৃষ্টিকে সংযত করে এবং নিজ লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে”। [সূরা আন-নূর, আয়াত: ৩০-৩১]
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
يَعۡلَمُ خَآئِنَةَ ٱلۡأَعۡيُنِ وَمَا تُخۡفِي ٱلصُّدُورُ
“তিনিই চক্ষুর অপব্যবহার এবং অন্তরের গোপন বস্তু সম্পর্কেও অবগত”। [সূরা গাফির, আয়াত: ১৯]
অনুমতি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করা চোখের যিনা প্রতিরোধে সহায়ক
আল্লাহ তা‘আলা কাউকে অন্য কারোর ঘরে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। যাতে চক্ষুর অপব্যবহার না হয় এবং তা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা পায়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَدۡخُلُواْ بُيُوتًا غَيۡرَ بُيُوتِكُمۡ حَتَّىٰ تَسۡتَأۡنِسُواْ وَتُسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَهۡلِهَاۚ ذَٰلِكُمۡ خَيۡرٞ لَّكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ ٢٧ فَإِن لَّمۡ تَجِدُواْ فِيهَآ أَحَدٗا فَلَا تَدۡخُلُوهَا حَتَّىٰ يُؤۡذَنَ لَكُمۡۖ وَإِن قِيلَ لَكُمُ ٱرۡجِعُواْ فَٱرۡجِعُواْۖ هُوَ أَزۡكَىٰ لَكُمۡۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ عَلِيمٞ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্য কারো গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে এবং তাদেরকে সালাম না করে প্রবেশ করো না। এটাই তো তোমাদের জন্য অনেক শ্রেয়। আশা করা যায় তোমরা উক্ত উপদেশ গ্রহণ করবে। আর যদি তোমরা উক্ত গৃহে কাউকে না পাও তা হলে তোমরা তাতে একেবারেই প্রবেশ করো না যতক্ষণ না তোমাদেরকে তাতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। যদি তোমাদেরকে বলা হয় যে, ফিরে যাও, তাহলে তোমরা ফিরে যাবে। এটাই তো তোমাদের জন্য পবিত্র থাকার সর্বোত্তম মাধ্যম। আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের কর্ম সম্পর্কে বিশেষভাবে অবগত”। [সূরা আন-নূর: ২৭-২৮]
হাদিসের ভাষায় বিভিন্ন ধরনের যিনা
“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক আদম সন্তানের জন্য যিনার কিছু অংশ বরাদ্দ করে রেখেছেন। যা সে অবশ্যই করবে। চোখের যিনা হচ্ছে অবৈধভাবে কারোর দিকে দৃষ্টি ক্ষেপণ, মুখের যিনা হচ্ছে অশ্লীল কথোপকথন, হাতও ব্যভিচার করে, তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে হাত দিয়ে ধরা, পা ও ব্যভিচার করে। তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে কোনো ব্যভিচার সংঘটনের জন্য রওয়ানা করা, মুখও ব্যভিচার করে। তবে তার ব্যভিচার হচ্ছে অবৈধভাবে কাউকে চুমু দেওয়া, কানের ব্যভিচার হচ্ছে অশ্লীল কথা শ্রবণ করা, মনও ব্যভিচারের কামনা-বাসনা করে। আর তখনই লজ্জাস্থান তা বাস্তবায়িত করে অথবা করে না”। আবু দাউদ, হাদীস ২১৫২
অন্তরের যিনা সম্পর্কে রাসূল (সা,) অন্য হাদিসে বলেন,
لاَ يَسْتَقِيْمُ إِيْمَانُ عَبْدٍ حَتَّى يَسْتَقِيْمَ قَلْبُهُ ، وَلاَ يَسْتَقِيْمُ قَلْبُهُ حَتَّى يَسْتَقِيْمَ لِسَانُهُ
“কোনো বান্দার ঈমান ঠিক হয় না যতক্ষণ না তার অন্তর ঠিক হয়। তেমনিভাবে কোনো বান্দার অন্তর ঠিক হয় না যতক্ষণ না তার মুখ ঠিক হয়” মুসনাদ আহমাদ, ১৩০৪৮
চোখ, কান, মুখ ও অন্তরের যিনা থেকে বাঁচার উপায়
চোখ, কান, মুখ ও অন্তরের যিনা থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে নিম্নোক্ত সাধারন বিষয়গুলো মেনে চলা দরকার-
১. নারী-পুরুষ বিয়ের যোগ্যতা রাখলে অবশ্যই বিয়ে করা।
২. বিবাহিত হলে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের প্রতি মনোযোগী হওয়া।
আর একান্ত বিয়ে করা সম্ভব না হলে,
১. কোনো স্থানে একাকি বসবাস বা অবস্থান না করা।
২. বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করা; তার জিকির করা।
৩. জান্নাতের নেয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তি সম্পর্কে জানা।
৪. সপ্তাহিক (সোম ও বৃহস্পতিব) এবং মাসিক (আরবি মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ) রোজা রাখা।
৫. নারী ইচ্ছাকৃতভাবে পুরুষের দিকে আবার পুরুষ নারীর দিকে না তাকানো।
চোখের জিনা হচ্ছে -অশ্লীল কিছু দেখা, কানের জিনা হচ্ছে- অশ্লীল কিছু শোনা, জিহ্বার জিনা হচ্ছে- অশ্লীল ভাষা বলা, হাতের জিনা হচ্ছে- অবৈধ স্পর্শ, পায়ের জিনা হচ্ছে- অশ্লীলতার দিকে পা বাড়ানো। এসবই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যভিচার। এ সম্পর্কে ইসলামের দিক নির্দেশনা কী?
আল্লাহ তাআলা কোরআনুল কারিমে জিনা-ব্যভিচার সম্পর্কে মানুষকে একাধিক আয়াতে এভাবে সতর্ক করেছেন-
وَ لَا تَقۡرَبُوا الزِّنٰۤی اِنَّهٗ کَانَ فَاحِشَۃً ؕ وَ سَآءَ سَبِیۡلًا
‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেও না, নিশ্চয়ই তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ৩২)
اِنَّ الَّذِیۡنَ یُحِبُّوۡنَ اَنۡ تَشِیۡعَ الۡفَاحِشَۃُ فِی الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَهُمۡ عَذَابٌ اَلِیۡمٌ ۙ فِی الدُّنۡیَا وَ الۡاٰخِرَۃِ ؕ وَ اللّٰهُ یَعۡلَمُ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَعۡلَمُوۡنَ
নিশ্চয়ই যারা এটা পছন্দ করে যে, মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।’ (সুরা নুর : আয়াত ১৯)
আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন, ‘মানুষের চোখের দৃষ্টি যৌন লালসা উদ্বোধক, পয়গাম বাহক। কাজেই এ দৃষ্টির নিয়ন্ত্রণ ও সংরক্ষণ মূলত যৌন অঙ্গেরই সংরক্ষণ। যে ব্যক্তি দৃষ্টিকে অবাধ, উন্মুক্ত ও সর্বগামী করে; সে নিজেকে নৈতিক পতন ও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়। মানুষ নৈতিকতার ক্ষেত্রে যত বিপদ ও পদস্খলনেই নিপতিত হয়, দৃষ্টিই হচ্ছে তার সব কিছুর মুল কারণ। কেননা দৃষ্টি প্রথমত আকর্ষণ জাগায়, আকর্ষণ মানুষকে চিন্তা-বিভ্রমে নিমজ্জিত করে, আর এ চিন্তাই মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করে লালসার উত্তেজনা। এ যৌন উত্তেজনা ইচ্ছা শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করে, আর ইচ্ছা ও প্রবৃত্তি শক্তিশালী হয়ে দৃঢ় সংকল্পে পরিণত হয়। এ দৃঢ় সংকল্প অধিকতর শক্তি অর্জন করে বাস্তবে ঘটনা সংঘটিত করে। বাস্তবে যখন কোন বাধাই থাকে না, তখন এ বাস্তব অবস্থার সম্মুখীন না হয়ে কারো কোন উপায় থাকে না।‘ বিষয়টি হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এভোবে এসেছে-
১. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বনি আদমের জন্য জিনার একটা অংশ নির্ধারিত রেখেছেন। সে তাতে অবশ্যই জড়িত হবে। চোখের জিনা হলো- দেখা, জিহবার জিনা হলো- কথা বলা, কুপ্রবৃত্তি কামনা ও খাহেশ সৃষ্টি করা এবং যৌনাঙ্গ তা সত্য অথবা মিথ্যা প্রমাণ করে।’ (বুখারি ৬২৪৩)
২. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু যা বলেছেন ’লামাম (আকর্ষণীয় বড় গুনাহ) বিষয়ে তার চেয়ে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ কোনো বিষয় আমি দেখিনি। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা আদম সন্তানের উপর ব্যভিচারের যে ভাগ লিখেছেন, নিঃসন্দেহে তা সে পাবে। দুচোখের ব্যভিচার হলো- দেখা, জবানের ব্যভিচার হলো- পরস্পর কথোপকথনের ব্যভিচার, মনের ব্যভিচার কামনা-বাসনা করা। আর লজ্জাস্থান তা সত্যায়িত করে অথবা মিথ্যা সাব্যস্ত করে।’ (মুসলিম ২৬৫৭)
হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা খাত্তাবি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন, ‘দেখা ও কথা বলাকে জিনা বলার কারণ এই যে, দুটোই হচ্ছে প্রকৃত জিনার ভূমিকা। জিনার মূল কাজের আগের স্তর। কেননা দৃষ্টি হচ্ছে মনের গোপন জগতের উদ্বোধক আর জিহবা হচ্ছে বাণী বাহক, যৌনাঙ্গ হচ্ছে বাস্তবায়নের হাতিয়ার- সত্য প্রমাণকারী।’ (মাআলিমুস সুনান ৩য় খন্ড ২২৩ পৃষ্ঠা)
অনিয়ন্ত্রিত দৃষ্টি চালনার কুফল সম্পর্কে সতর্ক করতে গিয়ে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত দৃষ্টি ইবলিসের বিষাক্ত বাণ বিশেষ।’ (মুসনাদ আশ-শিহাব ১মখন্ড ১৯৫-১৯৬ পৃষ্ঠা)
দৃষ্টি পরিচালনা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নির্দেশ দিয়ে বলেছেন-
غًضُّوا أَبْصَارَكُمْ وَاحْفَظُوْا فُرُوْجَكُمْ
‘তোমাদের দৃষ্টিকে নীচু কর, নিয়ন্ত্রিত কর এবং তোমাদের লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ করো।’
এখানে যদিও দুটি নির্দেশ আলাদা আলাদা দেওয়া হয়েছে। তথাপিও প্রথমটির অনিবার্য পরিণতিই হচ্ছে শেষটি। অর্থাৎ দৃষ্টি নিয়ন্ত্রিত হলেই লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ সম্ভব। অন্যথায় তাকে চরম নৈতিক অধঃপতনে নিমজ্জিত হতে হবে নিঃসন্দেহে।
একবার নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর জামাতা হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে লক্ষ্য করে বলেছিলন- ‘হে আলি! কোনো পরস্ত্রীর প্রতি একবার দৃষ্টি পড়লে পুনরায় তার প্রতি চোখ তুলে তাকাবে না। কেননা তোমার জন্যে প্রথম দৃষ্টিই ক্ষমার যোগ্য, দ্বিতীয়বার দেখা নয়।’ (আবু দাউদ ২১৪৯)
এর কারণ সুস্পষ্ট। আকস্মিকভাবে কারো প্রতি চোখ পড়ে যাওয়া আর ইচ্ছা করে কারো প্রতি তাকানো সমান কথা নয়। প্রথমবার যে চোখ কারো উপর পড়ে গেছে, তার মূলে ব্যক্তির ইচ্ছার বিশেষ কোন যোগ থাকে না; কিন্তু পুনরায় তাকে দেখা ইচ্ছাক্রমেই হয়। এ জন্যই প্রথমবারের দেখায় কোনো দোষ হবে না; কিন্তু দ্বিতীয়বার তার দিকে চোখ তুলে তাকানো ক্ষমার অযোগ্য।
একবার নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো- ‘পরস্ত্রীর প্রতি আকস্মিক দৃষ্টি পড়া সম্পর্কে আপনার হুকুম কী? নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- اصرف بصرك
‘তোমার চোখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নাও।’ (আবু দাউদ ২১৪৮)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, চোখ, কান, মুখ, হাত ও পায়ের জিনা থেকে হেফাজত থাকা। অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে মুক্ত থাকা। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করে জিনা/ব্যভিচারমুক্ত জীবন গড়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।