ইসলাম

গান বাজনা সম্পর্কে হাদীসের বক্তব্য

গান বাজনা সম্পর্কে হাদীসে সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখা হয়েছে। সহীহ আল বুখারী, সহীহ মুসলিম ও সুনানু আরবাআ’র হাদীস গ্রন্থ ছাড়া অন্যান্য হাদীস গ্রন্থেও এ সম্পর্কে হাদীস বর্ণিত হয়েছে ৷

যেসব হাদীসে গান বাজনা হারাম বলা হয়েছে এমন কিছু হাদীস : ١. حدثنا عبد الرحمن بن غنم الاشعرى قال حدثني ابو عامر أو ابو مالك الاشعرى والله ما كذبني سمع النبي صلى الله عليه وسلم يقول ليكونن من أمتى أقوام يستحلون الحر والحرير والخمر والمعازف

১. আবদুর রহমান ইবনু গানাম আল আশ’আরী (রহ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার কাছে আবু আমির অথবা আবু মালিক আল আশআরী (এ হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন। আল্লাহর কসম, তিনি আমার কাছে মিথ্যে বলেননি । তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে বলতে শুনেছেন, আমার উম্মাতের মধ্যে অবশ্যই এমন কিছু গ্রুপের সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশমী কাপড়, মাদকদ্রব্য ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল (বৈধ) মনে করবে।

সুনানু ইবনু মাজাহতে বলা হয়েছে— ٢. عن أبي مالك الأشعرى قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ليشربن ناس من أمتي الخمر يسمونها بغير اسمها يعزف على رؤوسهم بالمعازف والمغنيات يخسف الله بهم الأرض ويجعل منهم القردة والخنازير –

২. আবূ মালিক আল আশআরী (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন- ‘আমার উম্মাতের কিছু লোক মাদকদ্রব্য সেবন করবে এবং এর নাম পরিবর্তন করে অন্য কিছু রাখবে। তাদের মাথার ওপরে বাজনা বাজানো হবে এবং গায়িকারা গান পরিবেশন করবে। আল্লাহ্ তা’আলা এদেরকে মাটিতে ধ্বসিয়ে দেবেন। তাদের মধ্য থেকে অনেককে বানর ও শূকরে রূপান্তরিত করবেন। এ হাদীসটি আবূ দাউদ (রহ) ও বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ্ বলেছেন।

সহীহ ইবনু হিব্বানে এই মর্মে আরেকটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে।

. عن عمران بن حصين أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال في هذه الأمة خسف و مسخ و قذف ـ فقال رجل من المسلمين يا رسول الله ومتى ذاك؟ قال إذا ظهرت القينات والمعازف وشربة الخمور –

৩. ইমরান ইবনু হুছাইন (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘এই উম্মাতের জন্য ভূমিধ্বস, চেহারা বিকৃতি এবং পাথর বর্ষণের শাস্তি রয়েছে। জনৈক মুসলিম ব্যক্তি তখন বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, সেটি কখন ঘটবে? তিনি বললেন, ‘যখন গায়িকা, বাদ্যযন্ত্র ও মাদকদ্রব্য সেবন ব্যাপকতা লাভ করবে। আবু ঈসা তিরমিযি বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আ’মাশ…. আবদুর রহমান ইবনু সাবিত (রহ)-এর সূত্রে নবী-করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে মুরসাল রূপে বর্ণিত হয়েছে ।

মুসনাদে আহমাদে বলা হয়েছে— .٤ عن أبي أمامة قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن الله بعثني رحمة للعلمين وهدى للعلمين وامرنی ربی عز و جل بمحق المعازف والمزامير والأوثان والصلب و امر الجاهلية لا يحل بيعهن ولاشراء هن ولا تعليمهن ولا تجارة فيهن و ثمنهن حرام –

৪. আবু উমামা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আল্লাহ আমাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত ও পথনির্দেশক হিসেবে পাঠিয়েছেন। আমার প্রতিপালক আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, আমি যেন গান বাজনার যন্ত্রপাতি নিশ্চিহ্ন করে দিই। আর আমি যেন দেবদেবীর মূর্তি, ক্রুশ এবং যাবতীয় অনৈসলামিক জিনিস বিলুপ্ত করে দিই। এসব জিনিসের বেচা কেনা শিক্ষা দেয়া অবৈধ। এসবের ব্যবসা করা যাবে না। এসবের মূল্য হারাম ।

জামি আত তিরমিযীর আরেক হাদীসে বলা হয়েছে— عن على بن أبي طالب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا فعلت أمتى خمس عشرة خصلة حل بها البلاء – فقيل وما هن يا رسول الله؟ قال إذا كان المغنم دولا و الأمانة مغنما والزكاة مغرما وأطاع الرجل زوجته وعق أمه و بر صديقه وجفا أباه و ارتفعت الأصوات في المساجد وكان زعيم القوم أرذلهم وأكرم الرجل مخافة شره وشربت الخمور ولبس الحرير واتخذت القينات والمعازف ولعن أخر هذه الأمه أولها فليرتقبوا عندـ

৫. আলী ইবনু আবী তালিব (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আমার উম্মাত যখন পনেরোটি বিষয়ে লিপ্ত হবে তখন তাদের ওপর মুসিবত নিপতিত হবে। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, সেগুলো কী? জবাবে তিনি বললেন, যখন গানীমাতের সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করা হবে, আমানাতকে গনিমত মনে করা হবে, যাকাতকে মনে করা হবে জরিমানা, পুরুষরা তাদের স্ত্রীর অনুগত হবে এবং মায়ের বিরুদ্ধাচরণ করবে, বন্ধুর সাথে সদাচার করলেও পিতার সাথে করবে দুর্ব্যবহার, মাসজিদে শোরগোল করা হবে, নিকৃষ্ট লোকটি হবে সমাজপতি, কেবল অনিষ্টের ভয়ে কোনো লোককে সম্মান করা হবে, অধিক হারে মাদক দ্রব্য সেবন করা হবে, রেশমীবস্ত্র পরিধান করা হবে, গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হবে। উম্মাতের পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদেরকে মন্দ বলবে। তখন তোমরা অগ্নিতপ্ত বায়ু, ভূমিধ্বস বা চেহারা বিকৃতির মত শাস্তির অপেক্ষা করবে। (আবু ঈসা আত্‌ তিরমিযী বলেছেন, এ হাদীসটি গারীব। ফারাজ ইবনু ফাযালা ছাড়া আর কেউ এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আনসারী থেকে বর্ণনা করেছেন বলেও আমরা জানিনা। কোনো কোনো হাদীস বিশেষজ্ঞ ফারাজ ইবনু ফাযালার সমালোচনা করেছেন এবং স্মরণশক্তির দিক থেকে তাঁকে দুর্বল বলেছেন।)

আবু হুরাইরা (রা) থেকেও উপরিউক্ত হাদীসটি বর্ণিত আছে। আবু হুরাইরা (রা) বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে ইমাম আত্ তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি হাসান গারীব। তবে গায়িকা ও বাদ্য যন্ত্রের বিষয়টি যেহেতু অন্য সহীহ হাদীস দ্বারা সমর্থিত সেহেতু এই হাদীসকে দুর্বল চিহ্নিত করে গায়িকা ও গানবাজনাকে হালাল করার অপচেষ্টা গ্রহণীয় নয় ৷

নাইলুল আওতারে বলা হয়েছে- ٦عن على رضى الله عنه أن النبي صلى الله. عليه وسلم قال بعثت بكسر المزامير ــ

৬. ‘আলী (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন- ‘আমি বাঁশী (তথা বাদ্যযন্ত্র) ভাঙ্গার জন্য প্রেরিত হয়েছি ।

. عن على رضي الله عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم نهى عن ضرب الدف والطبل وصوت الزمارة –

৭. ‘আলী (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিষেধ করেছেন— ‘দফ, তবলা বা ঢোল বাজাতে এবং বাঁশীতে সুর তুলতে। আল মুগনীতে বলা হয়েছে, এ হাদীসের একজন রাবী (বর্ণনাকারী) যার নাম ইবনু সালেম তিনি অপরিচিত।

.۸ عن ابي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يمسخ قوم من أمتي في اخر الزمان قردة وخنازير قالوا : يا رسول الله المسلمون هم؟ قال : نعم يشهدون أن لا إله إلا الله وأنى رسول الله ويصومون قالوا : فما بالهم يا رسول الله؟ قال إتخذوا المعازف والقينات والدفوف وشربوا هذه الاشربة فباتوا على شرابهم ولهوهم فأصبحوا وقد مسخوا ـ

৮. আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আমার উম্মাতের মধ্যে একটি দলকে শেষ জামানায় বানর ও শূকরে রূপান্তরিত করা হবে। লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তারা কি মুসলিম হবে? বললেন, হাঁ, তারা সাক্ষ্য দেবে আল্লাহ্ ছাড়া আর কোনো ইলাহ্ নেই এবং আমি আল্লাহ্র রাসূল, তারা রোযাও রাখবে। লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের অবস্থা এমন হবে কেন? তিনি বললেন, তারা বাদ্যযন্ত্ৰ, গায়িকা এবং দফকে গ্রহণ করবে। আর তারা শরাব (অর্থাৎ মাদকদ্রব্য) পান করবে ফলে তা তাদেরকে মদমত্ত করে দেবে। (অশ্লীল) বিনোদনে লিপ্ত হবে। এইভাবে রাত অতিবাহিত করবে। তখন তাদের আকৃতি-প্রকৃতি পরিবর্তন করে দেয়া হবে।

٩. عن سهل بن سعد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يكون في هذه الأمة خسف و مسخ و قذف ــــ قيل و متى ذلك يا رسول الله؟ قال : إذا ظهرت القينات والمعازف واستحلت الخمر ـ

৯. সাল ইবনু সা’দ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘এই উম্মাত ভূমিধ্বস, চেহারা বিকৃতি ও পাথর বর্ষণের শিকার হবে। প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! তা কখন হবে? তিনি বললেন, যখন বাদ্যযন্ত্র ও গায়িকার ব্যাপকতা বৃদ্ধি পাবে এবং মাদকদ্রব্যকে হালাল মনে করা হবে।

এই হাদীসের সনদে আবদুর রহমান ইবনু যায়িদ ইবনু আসলাম নামে যিনি রয়েছেন তিনি দুর্বল বর্ণনাকারী। অন্যসূত্রে বর্ণিত এই হাদীসটিকে ইবনু হাযম সাহীহ্ বলেছেন। মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ ও ইবনু মাজাহ্ বর্ণিত সনদ সহীহ্। ইমাম আল বুখারী (রহ) এটি তা’লীক (প্রাসঙ্গিক) হিসেবে বর্ণনা করেছেন ।

١٠. عن ابن عباس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : إن الله حرم الخمر والميسر والكوبة، وكل مسكر حرام ــــ

১০. ইবনু আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আল্লাহ্ মাদকদ্রব্য, জুয়া (লটারী) ও তবলা হারাম করে দিয়েছেন। আর নেশার উদ্রেক করে এমন সকল বস্তুই হারাম। কুবাহ্ অর্থ- তবলা বা ঢোল জাতীয় বাদ্যযন্ত্র ।

۱۱ . عن ابن عباس قال الكوبة حرام والدف حرام والمزامير حرام ــــ

১১. ইবনু আব্বাস (রা) বলেছেন- কুবাহ্ (ঢোল), ঢাক এবং বাঁশী হারাম । আল বাইহাকী সুনানুল কুবরা গ্রন্থে এই হাদীসটি ‘মাওকুফ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আর আল বায্যার একে সামান্য শাব্দিক পার্থক্যের সাথে মারফু রূপে বর্ণনা করেছেন। ١٢. عن انس و عائشة رضى الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال صوتان ملعونان فى الدنيا والاخرة مزمار عند نغمة ورنة عند مصيبة –

১২. আনাস (রা) ও আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘দুনিয়া ও আখিরাতে দু’টো আওয়াজ ঘৃণিত। গানের সাথে বাঁশীর আওয়াজ এবং বিপদের সময় আর্তচিৎকার। আলাউদ্দীন আল মুত্তাকী বলেছেন, হাদীসটির সনদে দুর্বলতা রয়েছে ।

١٣. عن نافع عن ابن عمر، رضی الله عنه أنه سمع صوت زمارة راع فوضع أصبعيه فى أذنيه وعدل راحلته عن الطريق، وهو يقول : يا نافع أتسمع ؟ فأقول : نعم، فيمضى، حتى قلت : لا ، فوضع يديه و أعاد راحلته إلى الطريق وقال : رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم سمع زمارة راع فصنع مثل هذا.

১৩. নাফি’ (রহ) থেকে বর্ণিত। তিনি (আবদুল্লাহ্) ইবনু উমার (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। ইবনু উমার (রা) একবার রাখালের বাঁশীর আওয়াজ শুনে তার কানের ভেতর দুটো আঙ্গুল রাখলেন এবং তার বাহন পথ থেকে ফিরিয়ে নিলেন। তারপর তিনি বললেন, হে নাফি’! তুমি কি (এখনও সেই আওয়াজ) শুনছো? বললাম, হাঁ (শুনছি)। তারপর তিনি (আগের মত করেই) চলতে লাগলেন। যতক্ষণ আমি বললাম, না (এখন আর শুনতে পাচ্ছি না। যখন বললাম) তখন তিনি তাঁর দুহাত (কান থেকে বের করে) রেখে দিলেন এবং তাঁর বাহন পথে ফিরিয়ে আনলেন এবং বললেন, রাখালের বাঁশীর আওয়াজ শুনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে আমি এরূপ করতে দেখেছি। সামান্য শাব্দিক পার্থক্যসহকারে একই মর্মের আরেকটি হাদীস আবু দাউদে (হাদীস-৪৮৪৪) ও বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু তিনি বর্ণনা করার পর সেটিকে মুনকার বলেছেন। তবে ইমাম আবু দাউদ ছাড়া আর কেউ (বিশেষ করে মুসনাদে আহমাদ এর সংকলক) এ হাদীসটি মুনকার বলেননি।

তাছাড়া ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু আলী আশ শাওকানী তাঁর নাইলুল আওতার গ্রন্থে বলেছেন- والمنكر في اصطلاح المتقدمين قد يطلق على الغريب ايضا فليتأمل ـ মুনকার পরিভাষাটি প্রাচীন হাদীস বিশারদগণ ‘গারীব’ বা এই ক্যাটাগরীর হাদীস বুঝাতে ব্যবহার করতেন। কাজেই এই বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা উচিত ।

উপরিউক্ত হাদীস গুলোতে বাদ্যযন্ত্র বা বাজনাকে স্পষ্টভাবে হারাম (নিষিদ্ধ) করা হয়েছে। অনেকে আবার ঠুনকো যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছেন যে- “বাদ্যযন্ত্ৰ ইত্যাদি হারাম হয়েছে মদের অনুগামী হওয়ার কারণে। কেননা প্রথমত এসব বস্তু মাদক সেবনের দিকে আহবান করে। যে আনন্দ এগুলো দ্বারা অর্জিত হয়, তা মাদক দিয়েই ষোল কলায় পূর্ণ হয়। দ্বিতীয়ত যে ব্যক্তি অল্পদিন হয় মদ ত্যাগ করেছে এসব বাদ্যযন্ত্র দেখলে তার পূর্বের মদের আড্ডার কথা স্মরণ হয়ে যাবে। যেহেতু এগুলো স্মরণ হওয়ার কারণ হয়। স্মরণ হলে আগ্রহ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আগ্রহ অধিক হলে তা মদ পানের কারণ হয়ে যায়।

এসব কারণে তারের বাদ্যযন্ত্র যেমন বীণা, বেহালা, সারঙ্গী ইত্যাদি হারাম হয়েছে। এগুলো ছাড়া অন্যান্য বাজনা যেমন ঢাক, ঢোল ইত্যাদি বৈধ। এগুলোকে পাখিদের আওয়াজের ওপর কিয়াস করে বৈধ করা হয়েছে। কারণ, মদের সাথে এগুলোর সম্পর্ক নেই। উপরে আমরা যেসব হাদীস উল্লেখ করেছি সেসব হাদীস অবশ্যই এ যুক্তি সমর্থন করে না। সেখানে উদ্দেশ্যের কারণে হারাম করা হয়নি বরং মৌলিকভাবেই একে হারাম করা হয়েছে।

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *