বয়স্ক অসুস্থ্য ব্যক্তি রোযা রাখতে না পারলে কি কাফফারা আদায় করবে?
প্রশ্ন
আসসালামু আলাইকুমلأ
হযরত আমার নানু অনেক অসুস্হ প্রায় 85 বৎসর, কয়েকটি রোযা রেখেছে এখন সে দিন দিন আর বেশি অসুস্হ হয়ে পরতেছে ,বর্তমানে নানুর সন্তানদের আর্থিক অবস্হাও অনেক ভাল।
আমার জানার বিষয় হল বর্তমানে ওনার রোযা রাখা না রাখার ব্যাপার?
আর রোযা রাখতে না পারলে কি ওনার কাফফারা দিতে হবে কিনা?
বর্তমানে কাফফারা কত টাকা,
এটা কে কি ফেতরার হিসেবে ধরবো?
কাফফারা আর ফেতরা কি এক জিনিষ?
জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যদি সম্ভম হয়, তাহলে তিনি রোযা রাখবেন। যদি সক্ষম না হন, তাহলে রমজান শেষে যদি সক্ষম হন, তাহলে রোযার কাযা করে নিবেন।
আর যদি আর সুস্থ্য হবার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে প্রতি রোযার জন্য একটি ফিদিয়া দিতে হবে।
রোযা রাখতে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য কাফফারার বিধান নয়। ফিদিয়ার বিধান।
ফিদিয়া হল, প্রতি রোযার জন্য একজন মিসকিনকে দুইবেলা খানা খাওয়ানো বা এর সমমূল্য প্রদান করা। যা সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকা।
সেই হিসেবে প্রতিটি রোযার জন্য একটি সদকায়ে ফিতির পরিমাণ অর্থ ফিদিয়া হিসেবে গরীবকে দান করে দিবে।
أَيَّامًا مَّعْدُودَاتٍ ۚ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۚ وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ ۖ فَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَّهُ ۚ وَأَن تَصُومُوا خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ [[٢:١٨٤]
গণনার কয়েকটি দিনের জন্য অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে, অসুখ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সে রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট দায়ক হয়, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্যদান করবে। যে ব্যক্তি খুশীর সাথে সৎকর্ম করে, তা তার জন্য কল্যাণ কর হয়। আর যদি রোজা রাখ, তবে তোমাদের জন্যে বিশেষ কল্যাণকর, যদি তোমরা তা বুঝতে পার। [সূরা বাকারা-১৮৩-১৮৪]
(وَلِلشَّيْخِ الْفَانِي الْعَاجِزِ عَنْ الصَّوْمِ الْفِطْرُ وَيَفْدِي) وُجُوبًا وَلَوْ فِي أَوَّلِ الشَّهْرِ وَبِلَا تَعَدُّدِ فَقِيرٍ كَالْفِطْرَةِ لَوْ مُوسِرًا وَإِلَّا فَيَسْتَغْفِرُ اللَّهَ
وفيه ايضا: الْمَرِيضُ إذَا تَحَقَّقَ الْيَأْسُ مِنْ الصِّحَّةِ فَعَلَيْهِ الْفِدْيَةُ لِكُلِّ يَوْمٍ مِنْ الْمَرَضِ (رد المحتار، كتاب الصوم، فصل فى العوارض-2/163)
فى الدر المختار: (وَلِلشَّيْخِ الْفَانِي الْعَاجِزِ عَنْ الصَّوْمِ الْفِطْرُ وَيَفْدِي) وُجُوبًا وَلَوْ فِي أَوَّلِ الشَّهْرِ
وفى رد المحتار: (قَوْلُهُ وَلِلشَّيْخِ الْفَانِي) أَيْ الَّذِي فَنِيَتْ قُوَّتُهُ أَوْ أَشْرَفَ عَلَى الْفِنَاءِ، وَلِذَا عَرَّفُوهُ بِأَنَّهُ الَّذِي كُلَّ يَوْمٍ فِي نَقْصٍ إلَى أَنْ يَمُوتَ نَهْرٌ، وَمِثْلُهُ مَا فِي الْقُهُسْتَانِيِّ عَنْ الْكَرْمَانِيِّ: الْمَرِيضُ إذَا تَحَقَّقَ الْيَأْسُ مِنْ الصِّحَّةِ فَعَلَيْهِ الْفِدْيَةُ لِكُلِّ يَوْمٍ مِنْ الْمَرَضِ اهـ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب ما يفسد الصوم ومالا يفسد-3/410
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক ও প্রধান মুফতী-তা’লীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
ইমেইল– [email protected]