ইসলাম

জাহান্নামের প্রহরী

মহান আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণকে জাহান্নামের প্রহরী নিযুক্ত করেছেন যারা আল্লাহ্র আদেশ পালনে সদা প্রস্তুত থাকে, কখনোই তা অমান্য করে না।

আল্লাহ তা’আলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوْا قُوْا أَنفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُوْدُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا مَلَائِكَةٌ غِلاظٌ شِدَادٌ لا يَعْصُونَ اللَّهَ مَا أَمَرَهُمْ وَيَفْعَلُوْنَ مَا يُؤْمَرُوْنَ –

‘হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফেরেশতাগণ, যারা অমান্য করে না আল্লাহ তাঁদেরকে যা আদেশ করেন তা পলনে। আর তাঁরা যা করতে আদিষ্ট হয় তাই পালন করে’ (সূরা আত-তাহরীম ৬৬/৬)।

আর জাহান্নামের প্রহরী হিসাবে নিয়োজিত ফেরেশতাগণের সংখ্যা ১৯ জন।

আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,

سَأُصْلِيْهِ سَقَرَ – وَمَا أَدْرَاكَ مَا سَقَرُ – لَا تُبْقِي وَلَا تَذَرُ ۖ لَوَّاحَةٌ لِلْبَشَرِ – عَلَيْهَا تسْعَةَ عَشَرَ –

‘আমি তাদেরকে নিক্ষেপ করব সাকার-এ। তুমি কি জান সাকার কি? উহা তাদেরকে জীবিত অবস্থায় রাখবে না এবং মৃত অবস্থায়ও ছেড়ে দেবে না। ইহা গাত্রচর্ম দগ্ধ করবে। সাকার-এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে উনিশজন প্রহরী’ (সূরা মুদ্দাছছির ৭৪/২৬-৩০)।

আয়াতে উল্লিখিত সংখ্যা দ্বারা আল্লাহ তা’আলা কাফিরদেরকে পরীক্ষায় ফেলেছেন। কারণ তারা ধারণা করে যে, এই অল্প সংখ্যক ফেরেশতার শক্তির সাথে বিপুল পরিমাণ জাহান্নামীদের বিজয়লাভ সম্ভব। কিন্তু তারা জানেনা যে, একজন ফেরেশতার শক্তি দুনিয়ার সকল মানুষের চেয়েও বেশী।

আল্লাহ তা’আলা বলেন, وَمَا جَعَلْنَا أَصْحَابَ النَّارِ إِلا مَلَائِكَةٌ وَمَا جَعَلْنَا عِدَّتَهُمْ إِلا فِتْنَةٌ لِلَّذِينَ كَفَرُوا لِيَسْتَيْقِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَيَزْدَادَ الَّذِيْنَ آمَنُوا إِيْمَانًا وَلَا يَرْتابَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ وَالْمُؤْمِنُوْنَ وَلِيَقُوْلَ الَّذِيْنَ فِي قُلُوْبِهِمْ مَرَضٌ وَالْكَافِرُوْنَ مَاذَا أَرَادَ اللَّهُ بِهَذَا مَثَلاً كَذَلِكَ يُضِلُّ اللَّهُ مَنْ يَشَاءُ وَيَهْدِي مَنْ يَشَاءُ وَمَا يَعْلَمُ جُنُوْدَ رَبِّكَ إِلَّا وَمَا هِيَ إِلَّا ذِكْرَى لِلْبَشَرِ –

‘আমি ফেরেশতাগণকে জাহান্নামের প্রহরী নিযুক্ত করেছি, কাফিরদের পরীক্ষাস্বরূপই আমি তাদের এই সংখ্যা উল্লেখ করেছি যাতে কিতাবীদের দৃঢ় প্রত্যয় জন্মে, বিশ্বাসীদের বিশ্বাস বৃদ্ধি হয় এবং বিশ্বাসীরা ও কিতাবীগণ সন্দেহ পোষণ না করে; এর ফলে যাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তারা ও কাফিররা বলবে, আল্লাহ এই অভিনব উক্তি দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছেন? এভাবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা হেদায়াত করেন। তোমার প্রতিপালকের বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। জাহান্নামের এই বর্ণনা তো মানুষের জন্য সাবধান বাণী’ (সূরা মুদ্দাছছির ৭৪/৩১)।

তথ্যসূত্র:

জাহান্নামের ভয়াভহ আযাব

শরীফুল ইসলাম বিন জয়নাল আবেদীন

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *