ইবাদত

হাদিয়া দেয়ার ফায়দা ও আদব

১. হাদিয়া দেয়া একটি সুন্নাত।

২. হাদিয়া দিলে মুহাব্বত বাড়ে। হাদীস শরীফে এসেছে- “তোমরা পরস্পর হাদিয়া লেনদেন কর, মুহাব্বত বৃদ্ধি পাবে।” -আলআদাবুল মুফরাদ, হাদীস নং- ৫৯৪; আলআদাব, বায়হাকী, হাদীস নং- ৮১; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদীস নং- ৬১৪৮; শুআবুল ঈমান, বায়হাকী, হাদীস নং- ৮৯৭৬

৩. . হাদিয়া দিলে হিংসা বিদ্বেষ দূর হয়। -মিশকাত, জামে সাগীর

৪ . হাদিয়া দিলে রিযিক বৃদ্ধি পায়। -জামে সাগীর

৫. এমন ব্যক্তির হাদিয়া কবুল করা সুন্নাত, যে বিনিময় প্রত্যাশী নয়। বিনিময় প্রত্যাশীর হাদিয়া কবুল করা উচিত নয়। যেমন প্রচলিত বিয়ে- শাদীতে উপঢৌকনের বেলায় হয়ে থাকে।

৬. কেউ হাদিয়া দিলে তার প্রতিদান দেয়া সুন্নাত।

৭. হাদিয়া গোপনে দেয়া সুন্নাত এবং হাদিয়া-গ্রহীতার উচিত তা প্রকাশ করা। যাকে হাদিয়া দিবেন তার কাছ থেকে একান্ত সাক্ষাতে হাদিয়া প্রদানের অনুমতি নিয়ে নেয়া উচিত।

৮. কেউ হাদিয়া দিলে বা উপকার করলে আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন” বলা সুন্নাত। -জামে তিরমিযী, হাদীস নং- ২০৩৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং- ৩৪১৩; সুনানে নাসাঈ কুবরা, হাদীস নং- ৯৯৩৭

৯. সুগন্ধি, তেল, দুধ হাদিয়া দিলে গ্রহণ করতে অস্বীকার করা উচিত নয়। —উসওয়ায়ে রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৩২৭

১০. এমন কিছু বা এতো পরিমাণ হাদিয়া দেয়া ঠিক নয়, যা গ্রহীতার পক্ষে গন্তব্যস্থানে বহন করে নিয়ে যাওয়া কষ্টকর। এরূপ করতে হলে তাগন্তব্যস্থলে পৌছে দিবে।

১১. যার সম্পূর্ণ উপার্জন বা অধিকাংশ উপার্জন হারাম তার হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয নয়।

১২. যে জিনিস হালাল কি হারাম বলে সন্দেহ হয়, তা গ্রহণ না করাই ভালো। -মুসনাদে আহমাদ

১৩. কেউ হাদিয়া দিলে তার মূল্য জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়।

১৪. একে অন্যকে হাদিয়া তোহফা দেয়া-নেয়ার প্রচলন রাখলে পরস্পর দিল ছাফ থাকে, একের দিলে অন্যের মুহাব্বত সৃষ্টি হয়। কিন্তু অল্প বলে হাদিয়া দিতে লজ্জাবোধ করবে না। অল্প দিতে লজ্জাবোধ হলে বুঝতে হবে, দিল সাফ নেই।

১৫. যদি কেউ তোমাকে ভালোবেসে আতর লাগিয়ে দেয় বা কিছু দুধ পান করতে দেয় বা বালিশে হেলান দিয়ে বসতে দেয় বা তেল লাগাতে দেয়, তবে তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করো না। কারণ এতে বড় একটা ইহসানের বোঝা নেই, অথচ তার দিলটা খুশি হবে। —জামে তিরমিযী

তথ্যসূত্রঃ

কিতাবঃ তা’লীমুস সুন্নাহ ও আমালে প্রচলিত ভুল সংশোধন সংকলকঃ অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান চৌধুরী খলীফা – মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক রহঃ

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *