মু’আনাকার আদবসমূহ
১. কারো সঙ্গে দীর্ঘদিন পর সাক্ষাত হলে মুহাব্বতের সঙ্গে মু’আনাকা অর্থাৎ গলাগলি করাতেও দোষ নেই, কিন্তু শাহওয়াত (যৌন চাহিদা)- এর সঙ্গে মু’আনাকা করা হারাম। -আবু দাউদ
২. মুআনাকাকারীরা উভয়ে তাদের ডান গলা মিলাবে।
৩. মু’আনাকা শুধু এক দিকেই একবার, তিনবার করা সুন্নাতের খেলাফ।
৪. মুআনাকার দু’আ-اللهم زد محبتي لله ورسوله অর্থ : “হে আল্লাহ! আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য আমার ভালোবাসা বৃদ্ধি করে দিন।” -আহকামে যিন্দেগী : ৪৪৭
৫. হযরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ইরশাদ করেন, যখন সাক্ষাৎ হবে তখন মুসাফাহা করবে এবং যখন সফর থেকে আসবে তখন মু’আনাকা করবে। -তাবারানী, তারগীব পৃষ্ঠা : ৩৩৪
৬. হযরত ইবনে উমর রাযি. থেকে বর্ণিত আছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাউকে বিদায় দিতেন, তখন তার হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে নিতেন এবং ততক্ষণ পর্যন্ত ছাড়তেন না যতক্ষণ সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাতকে নিজে না ছাড়তো । সেই সঙ্গে বলতেন, اسْتَودِعُ اللهَ دِينَكُمْ وَأَمَانَاتِكُمْ وَخَوَاتِمَ أَعْمَالِكُمْ অর্থ : “তোমাদের দ্বীন তোমাদের আমানত এবং আমল সবকিছু আল্লাহর সোপর্দ ।” –জামে তিরমিযী, পৃষ্ঠা : ২৩২
ইসলাহ : ঈদের দিনে সুন্নাত মনে করে কোলাকুলির প্রথা বিদ’আত।
তথ্যসূত্রঃ
কিতাবঃ তা’লীমুস সুন্নাহ ও আমালে প্রচলিত ভুল সংশোধন সংকলকঃ অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান চৌধুরী খলীফা – মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক রহঃ