পাগড়ি পরিধানের সুন্নাতসমূহ
সাদা পাগড়ি পরিধান করা মুস্তাহাব। সর্বদা ব্যবহারের পাগড়ি তিন হাত,পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জন্য সাত হাত আর জুমু’আ ও ঈদের জন্য এগার হাত অথবা বার হাত হওয়া ভালো। -আল আরফুশ শাযী وَكَانَ عَمَامَةُ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي عَامَّةِ الْأَحْيَانِ ثَلَثَةَ أَذْرُعِ الشَّرْعِيَّةِ وَفِي الصَّلوةِ الْخَمْسِ سَبْعَةُ أَذْرُعٍ وَفِي الْجُمَعِ وَالْأَعْيَادِ وَحِينَ الْوُقُودِ اثْنَا عَشَرَ ذِرَاعًا.
অর্থ : “প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সর্বদা ব্যবহারের পাগড়ি ছিলো তিন হাত, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে ব্যবহার করতেন সাত হাত পাগড়ি এবং জুমু’আ, দুই ঈদ ও কোনো রাষ্ট্রদূত বা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ব্যবহার করতেন বার হাত লম্বা পাগড়ি।” -আনওয়ারুল মাহমুদ ২/৪৪২
পাগড়ির নিচে টুপি পরা সুন্নাত এবং লেবাসের আদব। টুপি ছাড়া পাগড়ি বাঁধা সুন্নাতের পরিপন্থী। -সুনানে আবু দাউদ
পাগড়ি গোল করে বাঁধা অথবা শামলা (বর্ধিত অংশ) ছেড়ে বাঁধা- উভয় রকমই সুন্নাত। শামলা ডানে বা পেছনের দিকে অথবা একই সঙ্গে উভয় দিকে ছেড়ে দেয়া যায়। শামলা এক বিঘত, এক হাত বা তারচেয়ে বেশি পরিমাণ রাখা যায়। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাগড়িতে শামলা ছিলো এবং তিনি তা পিছনের দিকে ঝুলিয়ে বাঁধতেন।
বি: দ্র: পাগড়ী শুধু নামাযের সুন্নাত নয়। অনেককে দেখা যায় নামাযের জন্যই শুধু পাগড়ী পরেন। কেউ কেউ তো ইকামত শুরু হওয়ার পরে পাগড়ী বাঁধেন। ফরজ শেষ হওয়ার পর খোলে ফেলেন।
তথ্যসূত্রঃ
কিতাবঃ তা’লীমুস সুন্নাহ ও আমালে প্রচলিত ভুল সংশোধন সংকলকঃ অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান চৌধুরী খলীফা – মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক রহঃ