কথোপকথনের সুন্নাত তরীকা
১. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপরের সঙ্গে কথা বলার আগে প্রথমে সালাম দিতেন। -জামে তিরমিযী
২. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন ব্যক্তির উপস্থিতিতে কাউকে বাদ দিয়ে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। কেননা এতে সে মনে কষ্ট পাবে। তবে হ্যাঁ, তিনের অধিক লোক থাকলে কাউকে বাদ দিয়ে কথা বলতে দোষ নেই। —সহীহ বুখারী
৩. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাধারণ মানুষের মতো একাধারে কথা বলতেন না; বরং অপরকেও কথা বলার সুযোগ দিতেন। -সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম
৪. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখন ও যদি অপছন্দনীয় কথা অগত্যা বলতেই হতো বা তার জওয়াব দিতে হতো, তাহলে ইশারা ইঙ্গিতে বলতেন। -মুসতাদরাক
৫. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলাপ করতে করতে অপরের হাত নিজের হাতে নিয়ে নিতেন, যাতে অন্তরঙ্গতা প্রকাশ পায়। —ইবনে সা’দ
অন্যের কথাবার্তা শোনার সুন্নাত তরীকা
১. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারো কথা শুনতে চাইলে রাস্তার এক কিনারে দাঁড়িয়ে বা কোথাও বসে কথা শুনতেন । —ইবনে সা’দ
২. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথা শুনতে গিয়ে কারো কথা কাটতেন না; বরং তাকে বুঝিয়ে দিতেন। -নশরুত্তীব
৩. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধনী-গরীব সবার কথা আগ্রহের সঙ্গে শুনতেন। যে কথা শুনে সকলে হাসতো, সে কথায় তিনিও হাসতেন এবং যে কথায় সবাই আশ্চর্যবোধ করতো, সে কথায় তিনিও আশ্চর্যবোধ করতেন। —জামে তিরমিযী
- হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কথা বলতে গিয়ে বক্তার দিক থেকে মুখ ফিরাতেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত সেই লোক মুখ না ফিরাতো। -যাদুল মা’আদ
৫. হযরত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিক লোকের কথা শুনতে থাকলে সকলের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে কথা শুনতেন । -নশরুত্তীব
৬. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কেউ চুপি চুপি কথা বলতে চাইলে তিনি নিজের কান তার দিকে পেতে দিতেন।—ইবনে সা’দ
৭. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কেউ আলাপে বসে গেলে সে না উঠা পর্যন্ত তিনি উঠতেন না। -নশরুত্তীব
৮. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট কেউ অপছন্দনীয় কথা বলতে চাইলে তিনি দ্বীনের কথা দিয়ে এড়িয়ে যেতেন। -বায়হাকী
৯. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভালো কাজের কথা শুনলে প্রশংসা করতেন এবং মন্দ কাজের কথা শুনলে নিন্দা করতেন । – নশরুত্তীব
তথ্যসূত্রঃ
কিতাবঃ তা’লীমুস সুন্নাহ ও আমালে প্রচলিত ভুল সংশোধন সংকলকঃ অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান চৌধুরী খলীফা – মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক রহঃ