সফর সম্পর্কীয় যাবতীয় সুন্নাত ও আদব
১. সফরে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে এবং সফর থেকে ফিরে আসার পর দুই রাকা’আত নফল নামায পড়া মুস্তাহাব। ২. যথাসম্ভব জামা’আতবদ্ধ হয়ে সফরে যাওয়া উত্তম। একাকী সফরে যাওয়া উচিত নয়।
৩. সফরসঙ্গী একাধিক হলে একজনকে আমীর বানিয়ে নেয়া সুন্নাত। সফরের নিয়ত করলে এই দু’আ পড়বে- اللَّهُمَّ بِكَ أَصُولُ وَبِكَ اَحُولُ وَبِكَ أَسِيرُ . -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং- ১২৯৬
সওয়ার হওয়ার সময় পড়বে- ‘বিসমিল্লাহ’ ।
সতর্কতা : বিদেশে গিয়ে গোশত খাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাণী হালাল কিনা এবং শরঈ পন্থায় যবেহ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে।
ট্রেন, গাড়ি বা বিমান পথে সফর হলে এবং পথিমধ্যে উযূর ব্যবস্থা না থাকলে সফরের প্রস্তুতির সময় তায়াম্মুমের জন্য সামান্য পরিমাণ মাটি নিয়ে নেয়া উচিত।
ঘর থেকে বের হওয়ার সুন্নাত ও আদবসমূহ
১. বিসমিল্লাহ বলে দরজা খুলবে।
২. নিম্নের দু’আটি পড়বে- بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ
অর্থ : “মহান আল্লাহর উপর নির্ভর করে তাঁরই নামে শুরু করলাম, তিনি ছাড়া কোনো শক্তি-সামর্থ্য নেই।” -জামে তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৪২৬; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং- ৫০৯৭
৩. বাম পা দিয়ে বের হবে। 8. বের হয়ে আয়াতুল কুরসী পড়বে।
রাস্তায় চলার সুন্নাত ও আদবসমূহ
১. ডান দিক দিয়ে চলা ।
২. দৃষ্টি নত করে চলা।
৩. কিছুটা সম্মুখপানে ঝুঁকে চলা ।
৪. হাত পা ছুড়ে ছুড়ে অহঙ্কারের সঙ্গে চলবে না ।
৫. রাস্তা অতিক্রম করার সময় যথাসম্ভব দ্রুত চলবে ।
৬. রাস্তায় কষ্টদায়ক কিছু পেলে তা সরিয়ে দিবে।
৭. মুসলমানের সঙ্গে সাক্ষাত হলে সালাম দেয়া এবং সালামের উত্তর দেয়া ।
৮. রাস্তায় চলার সময় লাঠি হাতে রাখা সুন্নাত।
৯. উপর দিকে উঠার সময় ডান পা আগে বাড়ানো এবং ‘আল্লাহু আকবার বলা, নিচের দিকে নামার সময় বাম পা আগে বাড়ানো এবং ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা, সমতল স্থান দিয়ে চলার সময় ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা সুন্নাত ।
১০. বয়স্ক ও সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে সামনে চলার জন্য অগ্রাধিকার দেয়া ।
১১. প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পথ চলার সময় কিছুটা সম্মুখ পানে ঝুঁকে চলতেন। দেখলে মনে হতো যেন তিনি উপর থেকে নিচের দিকে অবতরণ করছেন।
১২. স্ত্রীলোক যদি কোনো বিশেষ প্রয়োজনবশত বোরকা পরে বাইরে যায়, তবে রাস্তার মাঝখান দিয়ে চলবে না, বরং রাস্তার কিনারা ধরে চলবে।
সফরে রওয়ানা হয়ে এই দু’আ পড়বে- اَللّهُمَّ هَونْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَأَطُوِلَنَا بُعْدَهُ اللَّهُمَّ انْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ وَالْخَلِيفَةُ فِي الْأَهْلِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُبِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ وَكَابَةِ الْمَنْظَرِ وَسُوءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْأَهْلِ وَالْمَالِ وَالْوَلَدِ. অর্থ : “হে আল্লাহ! এ সফরকে আমাদের জন্য সহজ করে দাও, এ সফরের দূরত্ব কমিয়ে দাও। হে আল্লাহ! তুমিই সফর সঙ্গী, তুমিই পরিবারের প্রতিনিধি,হে আল্লাহ! সফরের কষ্ট, মন্দ দৃশ্য ও পরিবার, ধন-সম্পত্তি ও সন্তান-সন্ততির মধ্যে মন্দ পরিবর্তন থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।”-সহীহ মুসলিম, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা : ৯৭৮, হাদীস নং- ১৩৪২
সফরে নিরাপত্তার আমল
সফর অবস্থায় মাঝে মাঝে সূরা কাফিরূন, সূরা নাসর, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়বে। প্রত্যেক সূরার আগে ‘বিসমিল্লাহ’ পড়ে সূরার শেষ পর্যন্ত তিলাওয়াত করবে।
হযরত জোবায়ের ইবনে মুতইম রাযি. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সফর অবস্থায় উক্ত ৫টি সূরা মাঝে মধ্যে পড়বে, সে সফর অবস্থায় সমস্ত বিপদাপদ থেকে হেফাযতে থাকবে এবং তার সফর কামিয়াব হবে। -হিসনে হাসীন গন্তব্যস্থলে পৌঁছে এই দু’আ পড়বে- اللهُمَّ اِنّى اَسْتَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا .
অর্থ : “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এ জনপদ ও এ জনপদে যা কিছু আছে সেগুলোর কল্যাণ কামনা করছি। এবং তোমার কাছে এ জনপদ ও এ জনপদে যা কিছু আছে সেগুলোর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় কামনা করছি।”
অথবা এই দু’আ পড়বে- اَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ অর্থ : “আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমার মাধ্যমে তার সৃষ্ট অনিষ্ট থেকে আশ্রয় কামনা করছি।” -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২৭০৮; জামে তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৪৩৭
কোনো বসতিতে বা শহরে অবস্থানকালে এই দু’আ পড়বে- (তিনবার) اللهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيهَا اللَّهُمَّ ارْزُقْنَا جَنَاهَا وَحَبْنَا إِلَى أَهْلِهَا وَحَبِبْ صَالِحِي أَهْلِهَا إِلَيْنَا. অর্থ : “হে আল্লাহ! এ জনপদে আমাদেরকে বরকত দান করুন। হে আল্লাহ! এ জনপদের ফল দ্বারা আমাদেরকে রিযিক দিন। আমাদেরকে এর অধিবাসীদের কাছে প্রিয় করে দিন এবং অধিবাসীর সৎ-ব্যক্তিদেরকে আমাদের কাছে প্রিয় করে দিন।” -মুজামে আওসাত, তবারানী, হাদীস নং- ৪৭৫৫
স্থলযানে আরোহণের সুন্নাত
১. স্থলযানে আরোহণ করার সময় প্রথমে ‘বিসমিল্লাহ” বলে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করবে।
২. আরোহণের পর ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলে এই দু’আ পড়বে- سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هُذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ অর্থ : “ওই আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি! যিনি এদেরকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন, অথচ আমরা এদেরকে বশীভূত করতে সক্ষম ছিলাম না। আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার কাছে ফিরে যাবো।’
৩. অতঃপর তিনবার ‘আল-হামদুলিল্লাহ’ বলবে।
৪. তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে।
৫. একবার ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ পড়বে।
৬. তারপর নিম্নের দু’আটি পড়বে- سُبْحَانَكَ إِنِّي قَدْ ظَلَمْتُ نَفْسِن فَاغْفِرْنِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا انْتَ. অর্থ : “হে আল্লাহ! তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করে বলছি, নিশ্চয় আমি নিজের আত্মার প্রতি অবিচার করেছি, কাজেই তুমি আমায় ক্ষমা কর। কেবল তুমিই পার গুনাহ মার্জনা করতে।” –গুলজারে সুন্নাত, আহকামে যিন্দেগী : পৃষ্ঠা : ৪৯০
নৌযানে আরোহণের সুন্নাত
১. প্রথমে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ডান পা দিয়ে আরোহণ করবে।
২. তারপর এই দু’আ পড়বে- وَمَا قَدَرُوا اللهَ حَقَّ قَدْرِهِ وَالْأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمَاوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ অর্থ : “তারা আল্লাহকে যথার্থরূপে বোঝেনি, কিয়ামতের দিন সারা পৃথিবী থাকবে তার হাতের মুঠোয়। এবং আসমান ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তার ডান হাতে। তিনি পবিত্র, আর এরা যাকে শরীক করে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।”
৩. যানবাহন থেকে নামার পূর্বে এই দু’আ পড়বে- رَبِّ انْزِلْنِي مُنَزَلًا مُبَارَكَا وَاَنْتَ خَيْرُ الْمُنْزِلِينَ অর্থ : “হে প্রতিপালক! তুমি আমাকে বরকতময় স্থানে অবতারিত কর। তুমিই উত্তম অবতীর্ণকারী।” –আলআওসাত, ইবনে মুনযির ২/৯৯
৪. সকল যানবাহন থেকে নামার সময় প্রথমে বাম পা দিয়ে ‘বিসমিল্লাহ’ বলে নামবে।
উড়োজাহাজে আরোহণ করার আদব
উলামায়ে কিরাম বলেন, উড়োজাহাজ যখন মাটিতে থাকে তখন গাড়ির হুকুম। তাই উড়োজাহাজ রানওয়েতে চলার সময় এই দু’আ পড়বে- سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هُذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ
উড়োজাহাজ যখন আকাশে উড়বে তখন জাহাজে চলার হুকুম। তাই এই দু’আ পড়বে- بِسْمِ اللَّهِ مَجْرِهَا وَمُرْسَهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ. وَمَا قَدَرُوا اللَّهَ حَقَّ قَدْرِهِ وَالْأَرْضُ جَمِيعًا قَبْضَتُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمَاوَاتُ مَطْوِيَّاتٌ بِيَمِينِهِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ
অর্থ : “আল্লাহর নামেই-এর গতি ও স্থিতি। আমার পালনকর্তা অতি ক্ষমা পরায়ণ, মেহেরবান। তারা আল্লাহকে যথার্থরূপে বোঝেনি, কিয়ামতের দিন সারা পৃথিবী থাকবে তার হাতের মুঠোয়। এবং আসমান ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তার ডান হাতে। তিনি পবিত্র, আর এরা যাকে শরীক করে তা থেকে তিনি অনেক ঊর্ধ্বে।”
নিজ ঘরে প্রবেশের সুন্নাত তরীকা
১. সফর থেকে প্রত্যাবর্তন করে এই দু’আ পড়া- ايبُونَ تَائِبُونَ عَابِدُونَ لِرَبِّنَا حَامِدُونَ
২. অনুমতি না নিয়ে কারও বাড়ির মধ্যে বা কামরার মধ্যে প্রবেশ করবে না। তিনবার ডেকে যদি অনুমতি না পাওয়া যায়, তবে ফিরে আসবে, কিন্তু অসন্তুষ্ট হবে না। হয়ত পুরুষ লোক বাড়িতে নেই। বা এ-সময় কোনো কাজে লিপ্ত আছে, যে অবস্থায় জবাব দেয়া সম্ভব নয়। এইরূপ অনেক কিছু হতে পারে।
অনুরূপ নিজের ঘরেও আওয়াজ না দিয়ে প্রবেশ করবে না। হয়ত কেউ বেপর্দা থাকতে পারে বা কোনো গায়রে মাহরাম আওরত ঘরে থাকতে পারে।
অবশ্য কেউ সাধারণ মজলিসে বা খোলা জায়গায় একাকি বসা থাকলে তার নিকট যাওয়ার জন্য ইজাযত নেয়ার দরকার নেই।
৩. বাড়ির ভিতর থেকে বা কামরার ভিতর থেকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে, তুমি কে? তবে নিজের নাম-পরিচয় পরিষ্কার করে বলবে, শুধু ‘আমি’ বলবে না।
৪. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও হঠাৎ গৃহে প্রবেশ করতেন না; বরং এভাবে আসতেন যে, পূর্ব থেকে গৃহবাসী হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগমনের কথা বুঝতে পারতো।
৫. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশের সময় আগে ডান পা দিতেন, বিসমিল্লাহ পড়তেন এবং বলতেন, এর বরকতে শয়তান ঘরে ঢুকবে না।
৬. ঘরে প্রবেশের সময় দরজায় সালাম দিবে, অতঃপর বিসমিল্লাহ বলে ডান পা দিয়ে ঢুকবে এবং এই দু’আ পড়বে- اللهُمَّ إِلى أَسْتَلْكَ خَيْرَ الْمَوْلَجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَ عَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا
অর্থ : “হে আল্লাহ! তোমার কাছে উত্তম প্রবেশস্থল ও উত্তম বাহিরাগমনস্থল কামনা করছি। আল্লাহর নামে প্রবেশ করলাম, আল্লাহর নামেই বের হব। আর আমাদের পালনকর্তা আল্লাহর উপরই আমরা ভরসা রাখি ।” -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং- ৫০৯৮
৭. এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম দিতেন। -বায়হাকী শরীফ
৮. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আনাস রাযি.-কে ঘরে কেউ উপস্থিত না থাকলেও ফেরেশতাদের নিয়ত করে একটি বলে, সালাম দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
৯. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা যতোবার ঘরে যাবে, ততোবার অনুমতি নিবে এবং সালাম দিবে, যদিও সেটি আপন মায়ের ঘর হয়। -যাদুল মা’আদ
১০. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে গিয়ে কিছু না কিছু জিজ্ঞাসা করতেন। -যাদুল মা’আদ
১১. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রি বেলায় (যখন লোকেরা ঘুমিয়ে যেতো) ঘরে আস্তে আস্তে প্রবেশ করতেন। -যাদুল মা’আদ
১২. আর এতো আস্তে সালাম দিতেন, যাতে কারো নিদ্রায় ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়, যা কেবল জাগ্রত ব্যক্তিই শুনতে পেত। -যাদুল মা’আদ
১৩. আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাযি. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত খুশি মনে মুচকি হাসতে হাসতে গৃহে প্রবেশ করতেন। -উসওয়ায়ে হাসানাহ
১৪. সফর থেকে ফিরার সময় পরিবার-পরিজনের জন্য কিছু হাদিয়া নিয়েন আসা সুন্নাত ৷
১৫. সফর থেকে প্রত্যাবর্তনকারী ঘরে প্রবেশের পূর্বে দুই রাকা’আত নফল নামায পড়ে নিবে।
বিদায়কালীন সুন্নাত
কাউকে বিদায় দেয়ার সময় পড়বে- اَسْتَودِعُ اللهَ دِينَكُمْ وَاَمَانَتَكُمْ وَخَوَاتِيمَ اَعْمَالِكُمْ . অর্থ : “তোমার দ্বীন, আমানত ও তোমার কাজের শুভ পরিণতিকে আল্লাহর কাছে আমানত রাখছি।” -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং- ২৬০৩; সুনানে নাসাঈ কুবরা, হাদীস নং- ১০২৭৬
যিনি বিদায় নিবেন তিনি এ দু’আ পড়বেন— اَسْتَودِعُكَ اللهَ الَّذِئ لَا تَضِيعُ وَدَائِعُه. অর্থ : “তোমাকে আল্লাহর কাছে আমানত রেখে যাচ্ছি, যাঁর কাছ থেকে আমানত খোয়া যায় না।” -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ২৮২৫
তথ্যসূত্রঃ
কিতাবঃ তা’লীমুস সুন্নাহ ও আমালে প্রচলিত ভুল সংশোধন সংকলকঃ অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান চৌধুরী খলীফা – মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক রহঃ