ইবাদত

মাগরিব এবং ফজরের পর ১০ বার করে পাঠ করার দু’আ

এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে: عَنْ عُمَارَةَ بنِ شَبِيبٍ السَّبَئِي، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ

“হযরত ওমারাতা ইবনে সাবীবিস সাবায়্যু রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি বলবে: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

‘আল্লাহ ছাড়া ইবাদাতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।’

عَشْرَ مَرَّاتٍ عَلَى إِثْرِ المَغْرِبِ بَعَثَ اللَّهُ لَهُ مَسْلَحَةٌ يَحْفَظُونَهُ مِنَالشَّيْطَانِ حَتَّى يُصْبِحَ، وَكَتَبَ اللهُ لَهُ بِهَا عَشْرَ حَسَنَاتٍ مُوجِبَاتٍ، وَمَحَا عَنْهُ عَشْرَ سَيِّئَاتٍ مُوبِقَاتٍ، وَكَانَتْ لَهُ بِعَدْلِ عَشْرِ رِقَابِ

“মাগরিবের নামাযের পর দশবার (উপরোক্ত দু’আ দশবার পড়বে) আল্লাহ তার জন্য এমন সাহায্যকারী প্রেরণ করবেন যে তাকে সকাল হও পর্যন্ত শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হেফাযত করবে। অতঃপর তার জন্য দশটি

নেকী লেখা হয় এবং তার জন্য ধ্বংসকারী দশটি পাপ মুছে দেওয়া হয় । তার জন্য দশটি মু’মিন গোলাম আযাদের সাওয়াব দেওয়া হয় ৷”আত তিরমিযী, হাদীস নং: ৩৫৩৪ ৷

এ সকল দু’আ অবশ্যই হাত দিয়ে গণনা করা উচিত এবং ডান হাতে গণনা করা উচিত, কিন্তু ডান হাতে গণনা করার ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট দলিল পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে: عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْقِدُ التَّسْبِيحَ بِيَدِهِ.

“হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা. কে হাত দিয়ে তাসবীহ গণনা করতে দেখেছি ।”তিরমিযী ৩৪৮৬

তথ্যসূত্র :

বই: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ১০০০ সুন্নাত

লেখক: শাইখ খালীল আল হোসেনান

অনুবাদক: মাওলানা ডক্টর শাহ্‌ মুহাম্মাদ আবদুর রাহীম

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *