প্রশ্নোত্তর

এক লাখের টি শার্ট তৈরীর অর্ডারের উপকরণ দিয়ে অতিরিক্ত পণ্য তৈরী হলে তার মালিক কে হবে?

মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ . কাপাসিয়া, গাজিপুর

প্রশ্ন:

এক ফ্যাক্টরির মালিকের সাথে এক ক্রেতার (বায়ারের) একটি চুক্তি হল যে, ফ্যাক্টরি মালিক তাকে ১ লক্ষ টি-শার্ট তৈরি করে দিবে। বায়ার শার্ট তৈরি করার উপকরণ, যেমন-কাপড়, বোতাম, সুতা ইত্যাদি সরবরাহ করবে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, বায়ার টি-শার্ট তৈরির উপকরণ একটু বেশি দেয়, যা দ্বারা ফ্যাক্টরি মালিক চুক্তির চেয়ে বেশি টি-শার্ট তৈরি করে। এই অতিরিক্ত শার্টের  মালিক কে হবে? ফ্যাক্টরির মালিক এই অতিরিক্ত টি-শার্ট অন্যত্র বিক্রি করতে পারবে কি না? এমনিভাবে অন্য কেউ তার পক্ষ থেকে তা অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে কমিশন নিতে পারবে কি?

উত্তর:

প্রশ্নোক্ত চুক্তি অনুযায়ী যেহেতু ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ কেবল সেলাইয়ের কাজ আঞ্জাম দিবে, আর ওয়ার্ডার দাতা বায়ারই শার্ট তৈরির সকল উপকরণ সরবরাহ করবে তাই এক্ষেত্রে তৈরিকৃত সকল মালের মালিক ওয়ার্ডারদাতা বায়ারই হবে। তাই এক লাখ পিসের অতিরিক্ত শার্ট প্রস্ত্তত হলে সেগুলোর মালিকও ঐ বায়ার। সুতরাং তার অনুমতি ব্যতীত ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের জন্য তা অন্যত্র বিক্রি করা বৈধ হবে না। তেমনিভাবে অন্য কারো জন্য অতিরিক্ত টি-শার্টগুলো বিক্রি করে দিয়ে কমিশন নেওয়া বৈধ হবে না। তবে অর্ডারকৃত সংখ্যার অতিরিক্ত শার্টগুলোর জন্য কারখানা মালিক আলাদা চার্জ নিতে পারবে। অবশ্য যদি এ ব্যাপারে বায়ারকে অবগত করা হয় এবং তিনি দাবি ছেড়ে দেন অথবা চুক্তিতেই এমন কথা লেখা থাকে যে, অতিরিক্ত পোশাকের ব্যাপারে বায়ারের কোনো দাবি থাকবে না তাহলে তা ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের হবে। সে চাইলে তা অন্যত্র বিক্রি করতে পারবে এবং সেক্ষেত্রে অন্য কেউ কমিশনের বিনিময়ে ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের পক্ষ হয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দিতে পারবে।

  • আলমুহীতুল বুরহানী ১২/৪৮; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৩৪১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/২০০; শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ১/২৬২; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৫/২৯৭

উত্তর প্রদানে

মার্কাযুদ দাওয়া আলইসলামিয়া ঢাকা।

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *