আশ্চর্য হলেন ইমাম লাইস ইবনে সা’দ রহ.
ইমাম লাইস ইবনে সা’দ রহ. বলেন, আমি ইমাম আবু হানীফা রহ. এর অনেক প্রশংসা শুনতাম। তাকে দেখার অনেক তামান্না ছিলো। কিন্তু সাক্ষাতের সুযোগ হয়ে উঠছিলো না।
ইতিমধ্যে একবার আমি মক্কা শরীফ গেলাম। সেখানে দেখতে পেলাম বিশাল এক মজলিস। মজলিসে যাকে ঘিরে মানুষজন বসে আছে, তাকে সম্বোধন করে এক ব্যক্তি বললো, হে আবু হানীফা! তখন আমি বুঝতে পারি, তিনিই আবু হানীফা লোকটি ইমাম আবু হানীফা রহ.-কে বললো, হযরত! আমার অনেক মাল রয়েছে এবং একজন সন্তানও রয়েছে। আমি তাকে বিয়ে করাতে চাই। বিয়েতে মোহরানা ও নববধূর গহনার পিছনে অনেক টাকা খরচ করার ইচ্ছা করেছি। কিন্তু আমার মনে আশঙ্কা হচ্ছে, যদি ছেলে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তো আমার টাকা-পয়সা, অলঙ্কারাদি সব খোয়া যাবে।
হযরত! এমন কোনো কৌশল আছে কি, যার মাধ্যমে এ সম্পদ খোয়া যাওয়ার আশঙ্কা দূরীভূত হয়ে যাবে? ইমাম আবু হানীফা রহ. বিন্দুমাত্র চিন্তা-ভাবনা না করে তৎক্ষণাৎ বললেন, তুমি তোমার সন্তানকে নিয়ে গোলাম-বাঁদির বাজারে যাও। সেখানে দাসীদের মধ্যে থেকে তোমার সন্তান যাকে পছন্দ করে, তাকে ক্রয় করে তোমার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দাও ।
আল্লাহ না করুন, পরবর্তীতে যদি সে তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তোমার মালিকানা হিসেবে দাসীটি তোমার নিকটই ফিরে আসবে। আর যদি সে আযাদ করে দিতে চায় তাহলে আযাদ হবে না । কেননা, সে তো তোমার মালিকানাধীন। ইমাম আবু হানীফা রহ. এর কৌশল শুনে লোকটি সন্তুষ্টচিত্তে ফিরে গেলো।
ইমাম লাইস ইবনে সা’দ রহ. বলেন, আল্লাহর কসম! তাঁর জবাব আমাকে ততটুকু আশ্চর্যান্বিত করেনি, যতটুকু করেছে তাঁর জবাবের দ্রুততা ।
তথ্যসূত্র:
বই : ইমাম আযম আবু হানীফা রহ. এর ঈমানদীপ্ত গল্প
লেখক : মুফতি মাহফুজ মোসলেহ