দূরদর্শিতার চিত্তাকর্ষক ঘটনা

একবার ইমাম আবু হানীফা রহ. তাঁর ছাত্রদের নিয়ে মসজিদে বসে ছিলেন। ইতিমধ্যে এক লোক মসজিদের সামনে দিয়ে রাস্তা অতিক্রম করছিলো। লোকটি কারো পরিচিত ছিলো না । তাকে দেখে ইমাম আবু হানীফা রহ. তিনটি মন্তব্য করলেন, ১. মনে হচ্ছে লোকটি মুসাফির। ২. তার জামার আস্তিনে হয়তো মিষ্টি জাতীয় কোনো দ্রব্য আছে । ৩. লোকটি শিশুদের শিক্ষক হবে হয়তো।

উপস্থিত লোকজন ইমাম আবু হানীফা রহ. এর কথা যাচাই করার জন্য তাকে ডেকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো। দেখা গেলো, বাস্তবেই লোকটি মুসাফির, তার জামার আস্তিনে কিসমিস রয়েছে এবং সে একজন মকতবের উস্তাদ ।

পরে ছাত্ররা ইমাম আবু হানীফা রহ. -কে জিজ্ঞাসা করলো, হযরত! আপনি বিষয়গুলো কিভাবে বুঝতে পেরেছেন? ইমাম আবু হানীফা রহ. বললেন, সে যখন পথ চলছিলো তখন বারবার এদিক-ওদিক তাকাচ্ছিলো। আর মুসাফিরই নতুন জায়গায় গেলে এমনটি করে থাকে।

তার জামার আস্তিনে মাছি ঘুরঘুর করছে দেখে বুঝতে পারলাম তাতে কোনো মিষ্টি জাতীয় বস্তু আছে। মাছি এমন জায়গাতেই উড়ে বেড়ায়, যেখানে মিষ্টি জাতীয় জিনিস থাকে।

আর সে রাস্তায় শিশুদের দেখা মাত্রই তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিলো। এতে আমি বুঝতে পারলাম, সে বাচ্চাদের শিক্ষক।

তথ্যসূত্র:

বই : ইমাম আযম আবু হানীফা রহ. এর ঈমানদীপ্ত গল্প

লেখক : মুফতি মাহফুজ মোসলেহ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *