খাতনা করানো
শিশুর আরও একটি অধিকার হলো শৈশবের প্রারম্ভেই সুন্নাতে খাতনা করানো। এটা পিতা-মাতার উপর সন্তানের হক। খাতনা সকল নবী-রাসূল আ.-এর সুন্নাত এবং ইসলামের প্রতীক। হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِي اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهِ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الْفِطْرَةُ خَمْسٌ الْخِتَانُ وَالاِسْتِدَادُ وَنَتْفُ الْإِبْطِ وَقَصُّ الشَّارِبِ وَتَقْلِيمُ الْأَظْفَارِ
“পাঁচটি কাজ সুন্দর স্বভাবের মধ্যে গণ্য- খাতনা করা, নাভির নিচের চুল পরিষ্কার করা, বগলের চুল উঠানো, মোচ কাটা এবং নখ কাটা।”(ইমাম বুখারী, সহীহ বুখারী, কিতাবুল এসতি’যান, প্রাগুক্ত, খণ্ড-৫, পৃ. ২২০৯, হাদীস নং ৫৫৫২; – প্রাগুক্ত, কিতাবুল লিবাস, বাবু কসিশ শারিবি, প্রাগুক্ত, খণ্ড-৫, পৃ. ২২০৯, হাদীস নং ৫৫৫০;- ইমাম মুসলিম, সহীহ মুসলিম, কিতাবুত্ তহারাত, বাবু খিছালিল ফিতরতি, প্রাগুক্ত, খণ্ড-১ পৃ. ২২১, হাদীস নং ২৫৭; )
খাতনার সময় : সপ্তম দিন খাতনা করানো সুন্নত। জাবের রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম হাসান এবং হুসাইনের সপ্তম দিন আকিকা দিয়েছেন ও খাতনা করিয়েছেন।
মূলত খাতনার বয়স জন্মের এক সপ্তাহ পর থেকে শুরু হয়, তবে সাত বছর পুরো হওয়ার আগেই তা সেরে নেয়া ভালো, সাবালক হওয়ার পূর্বে খাতনা করা অবশ্য জরুরি। ডাক্তারি বিদ্যা প্রমাণ করেছে যে, জন্মের এক সপ্তাহ পর থেকে তিন বৎসরের মধ্যে খাতনা সম্পাদন করা উত্তম ৷
খাতনার বিধানের ব্যাপারে ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন, খাতনা সুন্নত। ইমাম শাফিঈ, মালেক ও আহমদ রাহিমাহুমুল্লাহ বলেন, খাতনা ওয়াজিব।
এ ব্যাপারে ইমাম মালেক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আরো কঠোর অবস্থান নিয়ে বলেছেন, যে খাতনা করবে না তার ইমামত ও সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। কাজি আয়াজ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, অধিকাংশ আলেমদের নিকট খাতনা সুন্নত, এ সুন্নত পরিত্যাগ করা গোনাহ।
তথ্যসূত্র :
বই: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ১০০০ সুন্নাত
লেখক: শাইখ খালীল আল হোসেনান
অনুবাদক: মাওলানা ডক্টর শাহ্ মুহাম্মাদ আবদুর রাহীম