ইবাদত

রমজানকে সফল করার ১০ টি প্রস্তুতি মূলক কাজ

রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস রমজান। পবিত্র রমজান মাস কল্যাণ ও সৌভাগ্যের বার্তাবাহক। এই মাস বিশ্বের সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই রমজান আগমনের অপেক্ষায় প্রহর গোনে ছোট-বড় সব মুসলমান। রমজানের আগমনে মুসলমান মাত্রই আবেগাপ্লুত হন। আনন্দে উদ্বেলিত হয় হৃদয়-মানস।

ইবাদতে ও সৎকর্মে মত্ত হওয়ার দারুণ প্রতিযোগিতা শুরু হয় প্রতিটি মুসলিম জনপদে। এ এক খুশি ও আহ্লাদের বিচিত্র রূপ। আল্লাহ তাআলা মাহে রমজানকে বিভিন্ন ফজিলতপূর্ণ আমল দিয়ে অলংকৃত করেছেন। তাই মাহে রমজানকে সব মাসের সর্দার বলা হয়।

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সব মাসের সর্দার মাহে রমজান।(তাবরানি, হাদিস : ৩৯৩৭)

বস্তুত প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রস্তুতি যত সুন্দর হয়, কাজও তত সুন্দর ও নিখুঁত হয়। ইবাদত ও এর ব্যতিক্রম নয়। ইবাদতের পূর্বে প্রস্তুতি গ্রহণ করা নবীজির সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (স.) রমজান মাসের জন্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন, উম্মতকেও প্রস্তুতি গ্রহণ করার কথা বলে গিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) রজব মাসের চাঁদ দেখে রমজান প্রাপ্তির আশায় বিভোর হতেন। মাহে রমজানের তাওফিক ও বরকত লাভের উদ্দেশ্যে আবেগভরে আল্লাহর দরবারে এ দোয়া করতেন,

আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজাবা ওয়া শা’বান ওয়া বাল্লািগ না রমাদান।
অর্থ‘(হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্যে বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। (তাবারানি: ৩৯৩৯;  বাইহাকি: ৩৫৩৪)

মানুষ সাধারণত যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে,বর্তমানে রমজানের প্রস্তুতি বলতে সাধারণত আমরা কী বুঝি? আমরা বুঝি ধুমধাম বাজার ঘাট করা, বাড়তি খাবার সঞ্চয় করা। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আগে আগে কিনে রাখা ইত্যাদি।

শপিংমলগুলো রমজানের প্রস্তুতি বলতে বুঝে ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড়-ছোপড় মার্কেটে উঠানো। রেস্টুরেন্টগুলো রমজানের প্রস্তুতি বলতে বুঝে ইফতারের জন্য নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করা। টিভি চ্যানেলগুলো ব্যস্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন রকমের প্রোগ্রাম রিলিজের প্রস্তুতিতে। কোন দিন কী ধরণের প্রোগ্রাম রিলিজ করা যায়, কোন অতিথিকে ইনভাইট করা যায়? তাদের নাম সাজানো, প্রোগ্রামগুলোকে সুন্দর থেকে সুন্দরতর করার নানা রকমের প্রচেষ্টা।

আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে যারা খাদ্যের দোকানদার তাদের রমজানের প্রস্তুতি হলো, অতিরিক্ত খাদ্য গুদাম জাত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা। যাতে রমজান আসলে উচ্চমূল্যে অধিক মুনাফায় বিক্রি করা যায়। কোন রাজনৈতিক দল কোনদিন ইফতার পার্টি করবে এই হলো রাজনীতিবিদদের রমজানের প্রস্তুতি। কিন্তু আদৌ কি এগুলো রমজানের প্রস্তুতি হওয়ার কথা ? অবশ্যই না। কিন্তু আমাদের সকলের, সমাজের প্রত্যেকটা মানুষের রমজানের প্রস্তুতি দেখলে মনে হয়, রমজান মাস আসছে ভোগের জন্য। মনে হয় রমজান আসছে খাওয়ার জন্য। অথচ রমজান হল ত্যাগের মাস ইবাদতের মাস। রমজান হলো নিজের ঈমান আমল সমৃদ্ধির মাস।

মু‘আল্লাহ ইবনে ফজল, বিখ্যাত একজন তাবেঈ, তিনি বলেন, সালাফে সালেহীন-আমাদের পূর্বসূরীগণ রমজানের ছয় মাস আগে থেকে দোয়া করতেন, যেন তাঁরা রমজান পর্যন্ত হায়াত পান। রমজান শেষে বাকি ছয় মাস তারা দোয়া করতেন, যেন রমজানের আমলগুলো মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে কবুল হয়। “নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন যে, বান্দা যে আমল করে তা যেন যথাযথ ভাবে করে।” ভালোভাবে করে, উত্তমভাবে করে, সুন্দর উপায়ে করে,

রমজানের প্রস্তুতি সরূপ আমরা কি কি কাজ করব?

প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ! রমজানের প্রস্তুতির জন্য আমরা কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারি যে বিষয়গুলো আমাদের রমজানের প্রস্তুতিটাকে, আমাদের রমজানুল মোবারক কে সুন্দর ভাবে কাটাতে সহযোগিতা করবে।

(১) তাওবা এবং ইস্তেগফার করা।

তওবা সব সময়ের জন্যই আবশ্যক। তবে যেহেতু এক মহান বরকতময় মাস রমজানের আগমন। তাই এ মাসে বান্দার ও রবের মাঝে যে গুনাহগুলো সম্পর্কিত তা থেকে তওবা করা। যে গুনাগুলো মানুষের অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি থেকে ক্ষমা নিয়ে তওবা করে নেয়া উত্তম। যাতে করে এই বরকতময় রমজান মাসে পবিত্র মন ও প্রশান্ত হৃদয় নিয়ে ইবাদাত ও আল্লাহর আনুগত্যে প্রবেশ করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন-

আর হে মুমিনেরা! তোমরা সবাই, আল্লাহর কাছে তওবা কর যাতে করে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা আন-নুর: আয়াত ৩১)

হজরত আগার ইবনে ইয়াসার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘হে লোক সকল! আপনারা আল্লাহর কাছে তওবা করুন। কারণ আমি দিনে তাঁর কাছে ১০০ বার তওবা করি।’ (মুসলিম ২৭০২)


(২)কুরআন এবং সুন্নায় বর্ণিত রমজানের ফজিলত সম্পর্কে অত্যাধিক আলোচনা করা।

রমজানের যে আমল গুলোর কথা কুরআন এবং সুন্নায় বর্ণিত হয়েছে। যে সমস্ত ফজিলত ও উপকারিতার কথা বলা হয়েছে, সেগুলো এখন থেকে বেশি বেশি আলোচনা করতে হবে। পড়তে হবে। জানতে হবে এবং কল্পনা করতে হবে। মাথায় বারবার রিমাইন্ড করতে হবে যে, রমজান কিন্তু আসছে হে আমার প্রবৃত্তি।

রমজানের যে সমস্ত ফজিলত ও উপকারিতা গুলো আছে, আগে থেকে সেগুলো মনে মনে কল্পনা করলে, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলে, রমজানের জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে পারব। ইনশাআল্লাহ।


(৩) আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা-রহমত- মাগফিরাত ও নাজাত লাভে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া।

আমাদের সকলকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে যে এই রমজানটা আমি ব্যাতিক্রমভাবে অতিবাহিত করব অর্থাৎ যত ব্যস্ততাই আসুক যত কাজকর্মই আসুক এই রমজানে আমি এমন ভাবে ইবাদত করব যে আমার মালিক কে খুশি করেই ছাড়বো এবং এমন ভাবে তার থেকে মাগফিরাত চাইব যে তার থেকে ক্ষমা নিয়েই ছাড়বো (ইনশাআল্লাহ)

রমজান মাস রহমত, বরকত, মাগফিরাত এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের মাস। তাই এ মাস পেয়েও যারা স্বীয় গোনাহ মাফ করাতে পারল না, তার জন্য স্বয়ং জিবরাইল আলাইহিস সালাম বদদোয়া করেছেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রহমাতুল্লিল আলামিন হয়েও আমিন বলে সমর্থন জানিয়েছেন।

হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে উঠে আমিন, আমিন, আমিন বললেন। তাঁকে বলা হলো, ‘হে রাসুল! আপনি তো এরূপ করতেন না।’ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, জিবরাইল আলাইহিস সালাম আমাকে বললেন, ‘ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, যে পিতামাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেয়েও (তাদের সেবা করে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না।’ তখন আমি বললাম, আমিন। অতঃপর তিনি বললেন, ‘ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, যে রমজান পেয়েও নিজের গোনাহ মাফ করাতে পারল না।’ আমি বললাম, আমিন। জিবরাইল আলাইহিস সালাম আবার বললেন, ‘ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক, যার কাছে আপনার নাম আলোচিত হলো, অথচ সে আপনার ওপর দুরুদ পড়ল না।’ আমি বললাম, আমিন।(আল আদাবুল মুফরাদ : ৬৪৬; সহিহ ইবনে হিব্বান : ৯০৮)

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে রমজানের হক আদায় করার এবং রহমত, মাগফিরাত, নাজাত লাভের তৌফিক দান করুন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভিসম্পাৎ থেকে রক্ষা করুন। আমিন।

(৪) পূর্বের কাজা রোজা থাকলে সেগুলো আদায় করা।

রমজান শুরু হওয়ার আগে বিগত জীবনে অসুস্থ হওয়ার কারণে বা সফরের কারণে রমজানের ফরজ রোজা কাজা হয়ে থাকলে তা যথাযথভাবে আদায় করে নেয়া। বিশেষ করে মা-বোনদের ভাঙতি রোজা থাকতে পারে। তাই রমজানের আগে শাবান মাসের এ সময়ে কাজ রোজা আদায় করে নেয়া।

আবু সালামাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেন—`আমার উপর বিগত রমজানের রোজা বাকি থাকলে শাবান মাস ছাড়া আমি তা আদায় করতে পারতাম না। (বুখারি, হাদিস, ১৮৪৯, মুসলিম, হাদিস, ১১৪৬)

এতে দুইটি ভালো আমল বাস্তবায়িত হবে-
প্রথমটি : বিগত জীবনের কাজা রোজা আদায় হবে। রমজানের রোজা পালনের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

দ্বিতীয়টি: সুন্নাতের অনুসরণ হবে। রমজানের আগের মাস শাবানে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন।
তাই কাজা রোজা আদায় করার মাধ্যমে সুন্নাতের অনুসরণও হয়ে যাবে।

 

(৫) সাধারণ ক্ষমা লাভের জন্য শিরক ও হিংসা থেকে মুক্ত থাকা।

আল্লাহ তাআলা রমজান মাসে অনেক মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। তবে এ সাধারণ ক্ষমা সবার ভাগ্যে জুটে না। কেননা এ ক্ষমা পেতে হলে দুইটি কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্ষমা প্রার্থনা করে ঐ কাজগুলো থেকে থেকে ফিরে আসতে হবে। তা হলো-

(১) শিরক থেকে মুক্ত থাকা। আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক না করা। কেউ ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায়, ছোট বা বড় শিরক করে থাকলে রমজান আসার আগেই তা থেকে তাওবাহ- ইসতেগফারের মাধ্যমে ফিরে আসা।

(২) হিংসা থেকে মুক্ত থাকা। কারো প্রতি কোনো বিষয়ে হিংসা না করা। কারণ হিংসা মানুষের সব নেক আমলকে সেভাবে জালিয়ে দেয়; যেভাবে আগুন কাঠকে জালিয়ে দেয়। তাই হিংসা পরিহার করে মনকে ক্ষমা লাভে স্বচ্ছ রাখা।

 

(৬) রোজা সম্পর্কিত মাসআলা মাসায়েলগুলো যথাযথ ভাবে শিক্ষা করা।

ইসলামে যে বিষয়গুলো ফরজ সেগুলো শিক্ষা করাও ফরজ। যে বিষয়গুলো ওয়াজিব সেগুলো শিক্ষা করাও ওয়াজিব। যে বিষয়গুলো সুন্নাত সেগুলো শিক্ষা করাও সুন্নত।

অতএব রমজানের রোজা কি কি কারণে ভেঙে যেতে পারে? কি কি কারনে অপছন্দনীয় হতে পারে? কি কি কারনে অগ্রহণযোগ্য হতে পারে? কিভাবে রমজানের রোজা যথাযথভাবে আদায় করা যেতে পারে সে বিষয়ক জ্ঞান আমাদেরকে অর্জন করতে হবে।

(৭) গত রমজানের ভুলগুলো চিহ্নিত করা।

যে সকল রমজান আমাদের কেটে গেছে, অতিবাহিত হয়ে গেছে, যেমন গত বছরের রমজান, তার পূর্বের বছরের রমজান, তার পূর্বের রমজান। কোন্ কোন্ কারনে, কোন্ সমস্যার কারণে সেই রমজানগুলো আমরা যথাযথভাবে আদায় করতে পারিনি,ইবাদত বন্দেগী করতে পারিনি সেই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এই রমজানে সেই সমস্যাগুলো থেকে আমাদেরকে দূরে থাকতে হবে।

কেন আমার তারাবি পড়া হয়নি? কেন রমজানে আমি কুরআনুল কারিমের সম্পূর্ণ তিলাওয়াত শেষ করতে পারিনি? কেন অর্থ সহকারে পবিত্র কুরআন বুঝতে পারিনি? কেন দান সদকা করতে পারিনি ইত্যাদি ইত্যাদি সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে।

(৮) রমজান মাসের ২৪ ঘণ্টার একটি রুটিন তৈরি করা।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবার সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টার একটি রুটিন তৈরি করা। যে কতটুকু সময় আমি ঘুমের মধ্যে কাটাবো, কতটুকু সময় কাজকর্ম, ডিউটি , এবং মা-বোনেরা রান্নাবান্নার ক্ষেত্রে কাটাবো, কতটুকু সময় নফল ইবাদত, এবং কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যে কাটাবো।

মোটকথা ২৪ ঘন্টার একটি রুটিন তৈরি করা এবং সেই রুটিন অনুযায়ী পুরো রমজান মাসে নিজেকে পরিচালনা করা।

(৯) রমজানের চাঁদ নিজের চোখে দেখার চেষ্টা করা।

এখন তো আমরা সকলে হেলাল কমিটির দিকে চেয়ে থাকি। টেলিভিশন রেডিও তে আমরা কান পেতে থাকি কখন তারা ঘোষণা দিচ্ছে? কখন কোথায় ঘোষণা দিচ্ছে চাঁদ উঠেছে? এতে করে যেটা হচ্ছে, চাঁদ দেখার যে একটি সুন্নত রয়েছে সেটি আমাদের থেকে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

এটি কাম্য নয়। দায়িত্বশীলগণ অবশ্যই দেখবেন, সেটা ঠিক আছে কিন্তু আমাদেরকেও চাঁদ দেখার জন্য চেষ্টা করতে হবে। অতএব রমজানের প্রস্তুতি হবে শাবানের শেষের তারিখ গুলোতে ২৯-৩০ তারিখ চাঁদ দেখার চেষ্টা করা। পশ্চিমাকাশে একটু অনুসন্ধান করা।

তাই রমজানের চাঁদ নিজ চোখে দেখার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।

(১০) এখন থেকে আল্লাহর দরবারে বেশী বেশী তাওফীক প্রাপ্তির দোয়া করা।

যে, হে আল্লাহ, আমি যতই চেষ্টা করি, তোমার তাওফীক না হলে কোন ভাল কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আল্লাহ রমজানে কত মানুষ সৌভাগ্যবানদের কাতারে দাঁড়াবেন।আমাকেও তুমি তাদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত করো। আল্লাহ রমজানে কত মানুষ ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে যাবে, আল্লাহ কত মানুষ জান্নাতি হয়ে যাবে,

মালিক! আমিও যেন তাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারি। সেই সৌভাগ্যবানদের সাথে আমিও যেন দাঁড়াতে পারি। আল্লাহ তুমি একটু আমাকে তৌফিক দান করো। আল্লাহ তুমি আমাকে সহজ করে দিও। এজন্য এখন থেকে আল্লাহর কাছে অনুনয় বিনয়ের মাধ্যমে তাওফীক চাইতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

লেখকঃ মুফতি রাশেদুল ইসলাম
ইফতা: জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম ঢাকা মিরপুর -১ (মসজিদুল আকবর কমপ্লেক্স)

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *