রোযা সংক্রান্ত আধুনিক ২০ টি মাসাআলা
রোযা অবস্থায় ইনজেকশন (Injection)
১. মাসআলা : ইনজেকশন গোশত বা রগ যেখানেই পুশ করা হোক এতে রোযা ভঙ্গ হবে না। কেননা, রোযা ভাঙ্গার যথাযথ কোনো কারণ এতে পাওয়া যায় না। তবে রোযার কারণে শরীরে স্বাভাবিক যে দুর্বলতা আসে তা দূর করার জন্য গ্লোকোজ ইনজেকশন গ্রহণ করা মাকরূহ । (ইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৪৫-১৪৭)
রোযা অবস্থায় ইনসুলিন (Insulin)
২. মাসআলা : ইনসুলিন নিলে রোযা ভঙ্গ হয় না। কারণ, যে পদ্ধতিতে ও যে স্থানে কোনো কিছু প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায় ইনসুলিন সেগুলোর অন্তর্ভূক্ত নয় । (জাওয়াহিরুল ফিক্হ ৪/৭৬-৭৮)
রোযা অবস্থায় স্যালাইন ইফিউশন (Saline infusion)
৩. মাসআলা : স্যালাইন ইফিউশন করলে রোযা নষ্ট হয় না। তবে রোযা রাখার কারণে শরীরে যে স্বাভাবিক দুর্বলতা সৃষ্টি হয় তা দূর করার লক্ষ্যে স্যালাইন নেওয়া মাকরূহ। তাই অসুস্থতা ছাড়া রোযা অবস্থায় স্যালাইন নেওয়া অনুচিত । (ফাতাওয়া কাযীখান ১/২০৫)
রোযা অবস্থায় মাস্ক ব্যবহার (Oxygen mask)
৪. মাসআলা : অক্সিজেন মাস্ক ব্যবহারের সময় যদি অক্সিজেন ছাড়া অন্য কিছু অভ্যন্তরে প্রবেশ না করে তাহলে রোযা ভঙ্গ হবে না। পক্ষান্তরে অক্সিজেনের সাথে যদি অন্য কিছু ঢুকে যায় তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে উসমানী : ২/১৮০)
রোযা অবস্থায় চোখে ঔষধ বা ড্রপ ব্যবহার করা
৫. মাসআলা : রোযা অবস্থায় চোখে ড্রপ, সুরমা ইত্যাদি ব্যবহার করলে রোযা নষ্ট হবে না। যদিও গলায় এগুলোর স্বাদ অনুভূত হয় ।(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী : ১/২০৩)
রোযা অবস্থায় কানে ঔষধ ব্যবহার করা
৬. মাসআলা : কানে ঔষধ, তৈল, পানি ইত্যাদি ব্যবহার করলে রোযা ভঙ্গ হবে না । কারণ কান এবং গলা উভয়ের মাঝে কোনো ছিদ্রপথ নেই। তাই কানে ঔষধ ব্যবহার করলে তা গলায় পৌঁছার সম্ভাবনা নেই । পূর্বকালের ডাক্তারদের ধারণা ছিল কান আর গলার মধ্যে ছিদ্রপথ রয়েছে, তাই সে সময়ের উলামায়ে কিরাম রোযা ভঙ্গের ফতোয়া দিয়েছিলেন। এ যুগের ডাক্তারদের বাস্তবভিত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে কানের পর্দা যদি ফাটা না থাকে তাহলে কোন বস্তু কান দিয়ে গলায় পৌছা সম্ভব নয়। পূর্বযুগের ফুকাহায়ে কেরাম (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম) মাসআলার যে কারণ ও নীতিমালা বর্ণনা করেছেন এবং বর্তমান যুগের ডাক্তারদের গবেষণা, উভয়ের আলোকে একথা বলা যায় যে, কারো কানের পর্দা যদি ঠিক থাকে এবং কানে ঔষধ, পানি অথবা অন্য কোনো তরল বস্তু দেওয়া হয় তাহলে রোযা নষ্ট হবে না । উল্লেখ্য, আগেকার যুগের ফুকাহায়ে কেরাম যখন মাসআলা বর্ণনা করেছেন তখন মাসআলার কারণও বর্ণনা করেছেন। অর্থাৎ কারণ বা ইল্লত পাওয়া গেলে হুকুম প্রযোজ্য হবে, অন্যথায় নয়। এটা আমাদের ফুকাহায়ে কেরামের বিচক্ষণতা ও ইসলামী ফিকহের সমৃদ্ধির প্রমাণ বহন করে এবং একথা প্রমাণ করে যে, কোনো যুগ বা সময়ের সাথে মাসআলার কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ নয়। (আল-বাহরুর রায়েক ২/২৭৮)
রোযা অবস্থায় নাকে ঔষধ বা ড্রপ ব্যবহার করা।
৭.মাসআলা : নাকে ড্রপ, তরল ঔষধ অথবা পানি ইত্যাদি ব্যবহার করে ভিতরের দিকে টানলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। কারণ, এর ফলে ঔষধ ইত্যাদি গলায় চলে যায়। (আল-হিদায়া ফাতহুল কাদীর সংযুক্ত ২/২৬৫-২৬৬)।
রোযা অবস্থায় ইন্হেলার (Inhaler)
৮. মাসআলা : ভেনটোলিন/এজমাসল ইত্যাদি ইনহেলার (Ventolin/Azmasol inhaler) ব্যবহার করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। কারণ, ভেনটোলিন/এজমাসল ইনহেলার (Ventolin / Azmasol inhaler) ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঔষধ গ্যাসীয় অবস্থায় মুখ দিয়ে টেনে ভিতরে নেওয়া হয়, যা মুখের ভিতরের (oropharyx) অংশ অতিক্রম করে অভ্যান্তরে প্রবেশ করে। আর এটা জানা থাকা যে, এভাবে অভ্যন্তরে কোনো কিছু প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায়। (ফাতাওয়া শামী : ২/৩৯৫)
রোযা অবস্থায় এন্ডোসকপি (Endoscopy)
৯. মাসআলা : এন্ডোসকপি (Endoscopy) একটি পরীক্ষা পদ্ধতি, যেখানে লাইট ও ক্যামেরা যুক্ত একটি রাবার জাতীয় দণ্ড (Scope) মূখের ভিতর দিয়ে পাকস্থলী (Stomach) ও ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথমাংশে (Duodenum পরীক্ষা) প্রবেশ করানো হয় এবং মনিটরের মাধ্যমে সেসব স্থান দেখা হয় । এন্ডোসকপির জন্য যে দণ্ডটি (Scope) ভিতরে প্রবেশ করানো হয় তা যদি শুকনো হয় এবং তাতে কোনো মেডিসিন লাগানো না থাকে তাহলে রোযা নষ্ট হবে না । পক্ষান্তরে তাতে যদি কোনো মেডিসিন লাগানো থাকে অথবা প্রবেশকৃত দণ্ডটি (Scope) জীবানুমুক্ত রাখার জন্য অথবা অন্য কোনো কারণে স্যাভলন জাতীয় তরলে ভেজানো থাকে তাহলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। তেমনিভাবে এন্ডোসকপি করার পূর্বে গলায় স্প্রে করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে । (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরি : ১/২০৪)
রোযা অবস্থায় সিস্টোসকপির (Cystoscopy) হুকুম
১০. মাসআলা : সিস্টোসকপির ক্ষেত্রে সিস্টোমকপি (একটি ধাতব বা রাবার জাতীয় দণ্ড) প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করানো হয়, যা মুত্রথলি এবং মুত্রনালী (Ureter) পর্যন্ত যেতে পারে, পেটে যায় না। অতএব, সিস্টোসকপির কারনেও রোযা নষ্ট হবে না।(যাবিতুল মুফাততিরাত : ৩৪)
রোযা অবস্থায় এম. আর
(Menstrual regulation
১১. মাসআলা : মাসিকের রাস্তায় বড় সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে জরায়ু থেকে উপাদান (Content) টেনে বের করে মাসিক নিয়মিত করণকে এম. আর. বলে। এম. আর করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। কারণ, এম. আর যদি বাচ্চার অঙ্গ, নখ ইত্যাদি প্রকাশ পাওয়ার পূর্বে করা হয় তাহলে এম. আর পরবর্তী স্রাবকে হায়েযের স্রাব ধরা হবে এবং উক্ত মহিলা হায়েযগ্রস্ত (ঋতুবর্তী) গণ্য হবে। আর রোযা অবস্থায় হায়েয শুরু হলে রোযা ভেঙ্গে যায়। অতএব, এম. আর. এর উল্লেখিত সূরতে রোযা ভেঙ্গে যাবে। এমনিভাবে যদি বাচ্চার অঙ্গ প্রকাশের পর এম. আর. করা হয় তাহলে মহিলা নেফাস গ্রস্ত হবে। আর রোযা অবস্থায় নেফাস শুরু হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। অতএব, এক্ষেত্রেও এম. আর. করার ফলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। (ফাতাওয়া আলমগীরী : ১/৩৮)
রোযা অবস্থায় ডি. এন্ড সি.
(Dilatation and curettage)
১২. মাসআলা : ডি. এন্ড সি. হলো জরায়ুর মুখ প্রসারিত করে জরায়ু থেকে গর্ভ বা অন্য উপাদান বের করে আনা (Vagina দিয়ে) যে কারণে এম. আর. করলে রোযা ভেঙ্গে যায়, একই কারণে ডি. এন্ড সি. করলেও রোযা ভেঙ্গে যাবে। উল্লেখ্য, যদি কোনো মহিলার ইফতারের পূর্বে এম. আর. অথবা ডি এন্ড সি. করা হয়; কিন্তু স্রাব শুরু হয় ইফতারের ওয়াক্ত আসার পর তাহলে তার এই দিনের রোযা সহীহ হবে। (ফাতাওয়া আলমগীরী ১/৩৮)
রোযা অবস্থায় প্রক্টোসকপি (Proctoscopy)
১৩. মাসআলা : এই পদ্ধতিতে Proctoscopy এর সাহায্যে (যা পায়খানার রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করানো হয়) মলাশয় ও তৎসংলগ্ন স্থান দেখা হয়। উল্লেখ্য, এটি প্রবেশ করানোর পূর্বে পায়খানার রাস্তার ভেতরেও মেশিনের গায়ে Jasocaine jelly (এক ধরনের পিচ্ছিল পদার্থ) লাগানো হয়। প্রক্টোসকপি করলেও রোযা ভেঙ্গে যাবে। কারণ, এর দ্বারা পায়খানার রাস্তা দিয়ে তরল বা অর্ধতরল পদার্থ ভিতরে প্রবেশ করে। (আল-বাহরুর রায়েক : ২/২৭৯)
রোযা অবস্থায় দাঁত ফেলা
১৪. মাসআলা : দাঁত ফেলা/উঠানো রোযা ভঙ্গের কোন কারণ নয়। তাই রোযা অবস্থায় দাঁত ফেলার কারনে রোযা নষ্ট হবে না। তবে লক্ষণীয় যে, দাঁত ফেলার সময় সাধারণত মাড়ি থেকে যথেষ্ট পরিমান রক্তক্ষরন হয়, আর সেই রক্ত যদি গলা দিয়ে অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে । তাই রমযানে একান্ত প্রয়োজন না হলে দিনের বেলায় দাঁত না ফেলা ভালো (ফাতাওয়া আলমগীরী ১/২০৩)
রোযা অবস্থায় রক্ত দেয়া ও নেয়া
১৫.মাসআলা : পরীক্ষা করার জন্যে বা এমনিতেই রক্ত দিলে অথবা নিলে কোনো অবস্থাতেই রোযা ভঙ্গ হবে না। কারণ রক্ত দিলে তো কোনো বস্তু দেহের অভ্যন্তরে ঢুকেনি, তাই এতে রোযা ভঙ্গ হওয়ার প্রশ্ন আসে না। আর রক্ত নিলে যদিও তা দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে; কিন্তু তা রোযা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় (পেটে) প্রবেশ করে না। তেমনিভাবে গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়েও প্রবেশ করে না বিধায় এতে রোযা ভঙ্গ হবে না ।
রোযা অবস্থায় ঔষধ সেবন করে ঋতু বন্ধ করে রোযা রাখা
১৬. মাসআলা : মহিলাদের ঋতু আসা একটি স্বাভাবজত বিষয়। সৃষ্টিগতভাবে তাদের সাথে সম্পৃক্ত। তাই ইসলামী শরীয়ত উক্ত দিন গুলোতে মহিলাদেরকে মা‘যুর (অপারগ/অসুস্থ) গণ্য করে তাদের থেকে নামায রোযা ইত্যাদির যিম্মাদারী উঠিয়ে নিয়েছে। সনাতন ও আধুনিক চিকিৎসার দৃষ্টিতেও ঋতু মহিলাদের সুস্থতার প্রমাণ বহন করে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
সুতরাং স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকা চাই। তারপরও যদি কোনো মহিলা ঔষধ সেবন করে ঋতু বন্ধ করে রাখে, তাহলে তার কোনো গুনাহ হবে না এবং তাকে নামায, রোযা ইত্যাদি সবই আদায় করতে হবে। যদিও তা শরীয়তের উদ্দেশ্য নয়, উদ্দেশ্য তো আল্লাহর আইন মানা ।
রোযা অবস্থায় এনজিওগ্রাম
১৭.মাসআলা : এনজিওগ্রাম করলে রোযা ভঙ্গ হবে না। হার্টের রক্তনালি ব্লক হয়ে গেলে উরুর গোড়ার দিকে কেটে একটি বিশেষ ধর্মনির ভেতর দিয়ে (যা হার্ট পর্যন্ত পৌছে) ক্যাথেটার ঢুকিয়ে পরীক্ষা করাকে ‘এনজিওগ্রাম’ বলে। উক্ত ক্যাথেটারে কোনো মেডিসিন লাগানো থাকলেও যেহেতু ক্যাথেটারটি রোযা ভাঙ্গের কোনো গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় ঢুকে না এবং গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়েও ঢুকে না, তাই এতে রোযা ভঙ্গ হবে না ।
রোযা অবস্থায় প্রস্রাবের রাস্তায় ঔষধ ব্যবহার
১৮.মাসআলা : প্রস্রাবের রাস্তায় ঔষধ ইত্যাদি ব্যবহার করলে রোযা ভঙ্গ হবে না। কারণ প্রস্রাবের রাস্তা রোযা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা নয়। তেমনিভাবে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে কোনো বস্তু ভেতরে প্রবেশ করলে তা মূত্রথলিতে পৌছে মাত্র, আর মূত্রথলি রোযা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য খালি জায়গা নয় ।
রোযা অবস্থায় সাপজিটরি- ভোল্টালিন
১৯. মাসআলা : সাপজিটরি- ভোল্টালিন ব্যবহার করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। অতিরিক্ত জ্বর কিংবা খুব বেশি ব্যাথা দেখা দিলে ঔষধটি মলদ্বারে ব্যবহার করা হয়। এতে রোযা ভেঙ্গে যাবে। কারণ যে সমস্ত রাস্তা দিয়ে দেহের অভ্যন্তরে কোনো কিছু প্রবেশ করলে রোযা ভেঙ্গে যায় মলদ্বার তার একটি।
২০.মাসআলা : রোযা অবস্থায় অপারেশন
১.মস্তিষ্ক ও পেট ছাড়া শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে (যেমন : হাত পা ইত্যাদি) অপারেশন করার কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না। (রদ্দুল মুহতার : ২/৩৯৫) ২. এমন অঙ্গের অপারেশনের কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না, যা (সৃষ্টিগতভাবে) পেট অথবা মস্তিষ্কের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়। কেননা, রোযা ভঙ্গ হয় এমন জিনিসের কারণে, যা শরীর সুস্থ রাখার জন্য স্বাভাবিক স্নায়ু বা নালী দিয়ে মস্তিষ্ক অথবা পেট পর্যন্ত পৌঁছে যায় অথবা পৌঁছানোর প্রবল সম্ভাবনা থাকে । (রদ্দুল মুহতার : ২/৪০২)
৩. কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কারণে রোযা ভঙ্গ হবে না। কেননা, কৃত্রিম অঙ্গ তার নিজ স্থানে লেগে যায়। তবে যদি অপারেশনের মাধ্যমে এমন কোনো ঔষধ দেওয়া হয়, যা মস্তিষ্ক বা পেটে চলে যায়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। ফলে সেটার কাযা আদায় করতে হবে। তবে কাফ্ফারা দিতে হবে না । (রদ্দুল মুহতার : ২/৩৯৫) ৪. যদি মস্তিষ্ক অথবা পেট অপারেশন করে সেখান থেকে কোনো কিছু কেটে বের করা হয় এবং নতুন কিছু প্রবেশ করানো না হয়, তাহলে রোযা নষ্ট হবে না। (রদ্দুল মুহতার : ২/৪১৪) ৫. যদি অপারেশনের মাধ্যমে পেট অথবা মগজে কোনো ঔষধ লাগানো হয় বা কোনো কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়, তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। (রদ্দুল মুহতার : ২/802) ৬. মলদ্বার অপারেশনের সময় কোনো অঙ্গ বের করার পর সেটিকে পুনঃস্থাপন করা হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/২০৪) ৭. পেট অপারেশনের সময় কোনো অঙ্গ বের করার পর সেটিকে পুনঃস্থাপন করা হলে রোযা ভেঙ্গে যাবে। (রদ্দুল মুহতার : ২/৩৯৭)
তথ্যসূত্রঃ রোজা রাখি বেহেশত অর্জন করি লেখকঃ মাওলানা মুমিনুল হক জাদীদ ফেনী