ইসলাম

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

পূর্ণ নাম : আবু হানীফা আন নু’মান পিতা : সাবিত যাওতী দাদা : যূতা বিন মারযূবান জন্ম : প্রসিদ্ধ মতানুযায়ী ৮০ হিজরী জন্মস্থান : কূফা শহরে মৃত্যু : ১৫ শাবান ১৫০ হিজরী গোসল দেন : কাজী হাসান ইবনে উমারা জানাযার মুসল্লী : ৫০ হাজার । জানাযার দৃশ্য দেখে : ২০ হাজার অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করে কবর : পূর্ব বাগদাদের ‘খিযরান’ নামক স্থানে

জন্মস্থান

তৎকালীন সময়ের প্রসিদ্ধ ইসলামী শহর কূফা নগরী’তে জন্মগ্রহণ করেন। ৭০ জন বদরী সাহাবী এবং ৩৩০ জন বাইয়াতে রিযওয়ানের পবিত্র জামাতের সদস্যসহ প্রায় পনেরশো সাহাবায়ে কিরামের আগমনে কৃষ্ণা শহরে ইলমের যে জোয়ার বয়েছিলো, সেখানে ইমাম আবু হানীফা রহ. জন্মগ্রহণ করেন।

রাসূল সা.এর ভবিষ্যদ্বাণী

রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, যদি ঈমান সুরাইয়া তারকাতেও থাকে তবুও পারস্য বংশীয় এক ব্যক্তি তা অর্জন করবে। কোনো কোনো বর্ণনায় ইলম এর স্থানে ঈমান, আবার কোনো বর্ণণায় দ্বীন এর কথা বলা হয়েছে।বিশিষ্ট মুহাদ্দীসগণ হাদীসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সে ব্যক্তি হিসেবে আবু হানীফা রহ. এর কথা উল্লেখ করেছেন আল্লামা সুয়ূতী রহ. বলেন, কোনো সন্দেহ নেই, এই হাদীসগুলো ইমাম আবু হানীফা রহ. এর আগমনের সুসংবাদ দেয় ৷

ইমাম আযম আবু হানীফা রহ. ছিলেন একজন অনারবী। তাঁর পর দাদা মারযুবান পারস্যের অধিবাসী মূর্তিপূজারী ছিলো। সে হিসেবে ইমাম আবু হানীফা রহ. পারস্যের বংশীয়, যা ঐতিহাসিক সত্য ।

ইসলামের আগমনের পর পারস্য হতে এমন কোনো সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়নি, যিনি কোনোভাবে ইমামে আযম রহ. এর সমকক্ষ হতে পারে। না তাঁর যুগে, না পরবর্তীতে তাঁর ছাত্রদের মাঝে কেউ। তাই সেই ভবিষ্যদ্বাণী ইমাম আযম আবু হানীফা রহ. সম্পর্কেই ছিলো।

এ সংক্রান্ত একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা

সহীহ বুখারীতে আছে, হযরত আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা রাসূলুল্লাহ সা. এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম এমন সময় সূরা জুমুআ নাযিল হয়। রাসূল সা. তিলাওয়াত করে যখন এই পর্যন্ত পৌঁছলেন, وَآخَرِينَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوا بِهِمْ ‘তাদের থেকে পরবর্তীতে যখন কেউ মিলিত হবে।’ উপস্থিত একজন প্রশ্ন করলো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এখনো পর্যন্ত আমাদের সাথে মিলিত হয়নি, পরবর্তীতে মিলিত হবে, তারা কারা? রাসূল সা. কোনো উত্তর দিলেন না। লোকটি এভাবে আরো দুইবার প্রশ্ন করলেন। অতপর রাসূল সা. সালমান ফারসী রা. এর কাঁধে হাত রেখে বললেন, যদি ঈমান সুরাইয়া তারকাতেও থাকে, তবুও এদের মধ্যে (পারস্য বংশীয়) কিছু ব্যক্তি তা অর্জন করবে।

১.বুখারীর শব্দগুলো হলো, باب قوله وآخرين منهم لما يلحقوا بهم وَقَرَأَ عُمَرُ فَامْضُوا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ .

حدثني عبد العزيز بن عبد الله قال حدثني سليمان بن بلال عن ثــور عـن أبي الغيث عن أبي هريرة رضي الله عنه قال كنا جلوسا عند النبي صلى الله عليه وسلم فأنزلت عليه سورة الجمعة وآخرين منهم لما يلحقوا بهـم قـال قلت من هم يا رسول الله فلم يراجعه حتى سأل ثلاثا وفينا سلمان الفارسي وضع رسول الله صلى الله عليه وسلم يده على سلمان ثم قال لو كان الإيمان عند الثريا لناله رجال أو رجل من هؤلاء حدثنا عبد الله بن عبد الوهاب حدثنا عبد العزيز أخبرني ثور عن أبي الغيث عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم لناله رجال من هؤلاء “

এ ছাড়া এ হাদীসটি সহীহ মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী শরীফ ও নাসায়ী শরীফেও বর্ণিত হয়েছে। তিরমিযী শরীফে ‘পারস্যের একজন ব্যক্তি’ এই শব্দ বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী ‘তারীখে ইস্পাহান’ এ এই হাদীসের সব সনদ একসাথে উল্লেখ করেছেন। ইমাম সিরাজী ও তাবারানীও এই হাদীস উল্লেখ করেছেন ।

তথ্যসূত্র:

বই : ইমাম আযম আবু হানীফা রহ. এর ঈমানদীপ্ত গল্প

লেখক : মুফতি মাহফুজ মোসলেহ

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *