খানা খাওয়ার সুন্নাত সমূহ
মুসলিম ব্যক্তি খাদ্য ও পানীয়কে অন্যান্য উপকরণের মতই মনে করে এবং তাকে আসলেই সে (জীবনের) চূড়ান্ত উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য মনে করে না; সুতরাং সে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্যেই খায় ও পান করে, যার দ্বারা সে আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করতে সক্ষম হয়; ঐ ইবাদত তাকে পরকালের সম্মান ও সৌভাগ্য অর্জনের জন্য যোগ্য করে তুলে; সুতরাং সে শুধু খাদ্য ও পানীয়ের মজা উপভোগ করার জন্য পানাহার করে না। তাই সে ক্ষুধার্ত না হলে খায় না এবং পিপাসার্ত না হলে পান করে না। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:
نحن قومٌ لا نأكُلُ حتى نَجُوعَ ، وإذا أكلنَا فلا نَشْبَعَ
“আমরা এমন এক জাতি— ক্ষুধা না লাগলে আমরা খাই না; আর যখন আমরা খাই, তখন পেট ভরে খাই না।”(উদ্ধৃত, আবূ বকর আল-জাযায়েরী, মিনহাজুল মুসলিম, পৃ. ১৬৪; তিনি বলেন: এ হাদিসটি কে বর্ণনা করেছেন তা আমার জানা নেই; সম্ভবত তা সাহাবী গণের আছারসমূহের মধ্য থেকে একটি ‘আছার’ এবং তা হাদিসে নববী নয়; আর আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।)
আর সেখান থেকে মুসলিম ব্যক্তি তার খাবার ও পানীয়ের ব্যাপারে কতগুলো শরী‘য়ত সম্মত বিশেষ আদব রক্ষা করাকে নিজ দায়িত্বরূপে গ্রহণ করে যেমন:
এই ব্লগের সূচীপত্রঃ
✅ খাওয়ার সুন্নাতসমূহ
✅ খাওয়ার পূর্বের আদবসমূহ
✅ খাওয়ার মধ্যকার সময়ের আদবসমূহ
✅ খাওয়ার পরের আদবসমূহ