মিথ্যা সম্পর্কে মনীষীদের উক্তি:
আব্দুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: ‘কোনো মানুষ সত্য বলবে এবং সত্য বলার প্রচেষ্টায় থাকবে, অবশেষে তার অন্তরে সুঁই পরিমাণ স্থান থাকবে না মিথ্যার জন্য। আবার, কোনো মানুষ মিথ্যা বলবে এবং মিথ্যা বলতে চেষ্টা করবে, অবশেষে তার অন্তরে সুঁই পরিমাণ স্থানও অবশিষ্ট থাকবে না সত্যের জন্য।’
আরও বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: ‘রসিকতা কিংবা একান্তভাবে— কখনোই মিথ্যা বলবে না।’
অতঃপর তিনি এই আয়াত পাঠ করেন: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্র তাক্ওয়া অবলম্বন কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক।” [সূরা আত-তাওবা: ১১৯]
আবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: ‘তোমরা মিথ্যা থেকে সাবধান থাক! কেননা, মিথ্যা ঈমানের পরিপন্থী।’
সাদ ইবন আবী ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: ‘একজন মুমিন ব্যক্তির মধ্যে মিথ্যা ও বিশ্বাসঘাতকতা ব্যতীত সকল চরিত্রই থাকতে পারে।’
উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন: ‘কখনওই সত্যিকারের ঈমানে পৌঁছতে পারবে না, যতক্ষণ না ঠাট্টাচ্ছলে মিথ্যা বলা ত্যাগ না করতে পার।’ (মুসান্নাফ ইবন আবী শায়বা: ৫/২৩৫, ২৩৬)
যেসব কারণে মিথ্যা বলা যায় :
তিন জায়গায় মিথ্যা বলা বৈধ।
১. যুদ্ধে মিথ্যা বলা বৈধ।
২. দু’গ্রুপের মাঝে সমঝোতা করার জন্য মিথ্যা বলা বৈধ।
৩. স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মিল-মহব্বত সৃষ্টি করার জন্যও মিথ্যা বলা বৈধ।
উম্মে-কুলসুম রা. বলেন, আমি রাসূল সা. কে বলতে শুনেছি : ‘যে ব্যক্তি দু’জনে মাঝে সমঝোতা করার জন্য ভালো কথার আদান-প্রদানকালে মিথ্যা বলে সে মিথ্যুক নয়।’ (বুখারি : ২৫৪৬, মুসলিম : ২৬০৫)
আসমা বিনতে ইয়াজিদ বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, ‘তিন জায়গা ব্যতীত মিথ্যা বলা বৈধ নয়। স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য মিথ্যা বলা, যুদ্ধে মিথ্যা বলা এবং দু’জনের মাঝে সমঝোতা করার জন্য মিথ্যা বলা বৈধ। (তিরমিজি : ১৯৩৯, সহিহ আল-জামে : ৭৭২৩)