পশু-পাখিকে গালি দেওয়া যাবে না
পশু-পাখি ও বৃক্ষ-তরুলতা সবই মহান আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি। তারা প্রতিনিয়ত মানুষকে সেবা দিয়ে চলেছে। মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এগুলো দ্বারাই পূরণ হয়। কাজেই এ সবের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। গালিও দেওয়া যাবে না।
হাদীসে মোরগের আওয়াজ শুনলে তাকে গালমন্দ করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ মোরগকে আল্লাহ তা‘আলা বিশেষ বৈশিষ্ট্য দান করেছেন। আল্লাহ এ প্রাণীকে দিন-রাতের সময় বিশেষত রাতের সময় জ্ঞান দান করেছেন।
এ হিসেবে মোরগ আজানের জন্য মানুষকে ডাকে। দিনরাত ছোটবড় হলেও মোরগ ঠিকই বুঝতে পারে। খুব সুবিন্যস্ত আকারে ডাকে। এবং ফজরের পূর্বে ও পরে আজানের জন্য ডাকতে থাকে। এমনকি সাহাবা কেরাম রা. সফরের সময় সাথে মোরগ নিয়ে যেতেন যাতে আজানের সময় জানতে পারেন। তবে ঘুমের সময় আওয়াজের কারণে অনেকের বিরক্ত লাগে। এজন্যই যেহেতু আজানের জন্যই ডাকছে।
তাছাড়া মোরগের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, মোরগ ফেরেশতা দেখলে চিৎকার করে। এজন্য হাদীসে তার আওয়াজের কারণে কল্যাণ প্রার্থনা করতে বলেছেন।
এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে, নবী সা. বলেছেন, তোমরা মোরগকে গালি দিও না যেহেতু সে আজানের জন্য ডাক দেয়। অন্য আরেকভাবে এসেছে, যেহেতু সে মানুষকে আজানের দিকে আহ্বান করে। আবু দাউদ, হাদীস নং ৫১০১ নাসায়ী , হাদীস নং ৫৯৪
আরেক হাদীসে এসেছে, নবী সা. বলেছেন, তোমরা যদি মোরগের চিৎকার শুনতে পাও তাহলে তার কল্যাণ চাও কেননা সে ফেরেশতা দেখার কারণে (আওয়াজ করে) আর যদি গাধার আওয়াজ শুনো তাহলে শয়তানের কাছ থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাও কেননা গাধা শয়তান দেখে আওয়াজ করে। বুখারি হাদীস নং ৩৩০৩, মুসলিম , হাদীস নং ২৭২৯
মোরগের আওয়াজ শুনলে হাদীসে তার কল্যাণ চাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তার কারণ হলো ফেরেশতারা যেন মুমিনের দোআর প্রেক্ষিতে আমীন বলে , তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাদের ইখলাসের সাক্ষী দেয়।
তাই পশু -পাখিকে গালি দেওয়া যাবে না।