পানি দ্বারা ইসতিনজা করা
ইসলামি শরীআতে পবিত্রতা অর্জনের পূর্বশর্ত হচ্ছে প্রস্রাব-পায়খানা করার পর পানি দ্বারা ইসতিব্জা করা, তবে পানি পাওয়া না গেলে ঢিলা করে এবং তায়াম্মুম করে পবিত্রতা অর্জন করা যায়। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সা.-এর হাদীস, عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْخُلُ الْخَلَاء, فَأَحْمِلُ أَنَا وَغُلَامٌ نَحْوِي إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ وَعَنَزَةٍ, فَيَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ
হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. হতে বর্ণিত, নবী করীম সা. পায়খানা ফিরতে যেতেন আমি ও আমার ন্যায় একটি ছেলে চামড়ার তৈরি পাত্র ও বর্ষী (লোহার ফলাদার লাঠি বিশেষ) নিয়ে যেতাম। তিনি উক্ত পানি দ্বারা ইসতিজা (শৌচ) করতেন । (বুখারী ১৫০, মুসলিম ২৭১। উক্ত সময়ে আরবে সাধারণভাবে পানির স্বল্পতা হেতু পাথরের টুকরো দ্বারা পায়খানার পর পবিত্রতা অর্জন করা হতো। সদা মাটিকে খুঁড়ে দিয়ে পেশাব করতেন।)
অন্য আরেকটি হাদীস থেকে জানা যায়, عَنْ اِبْنِ عَبَّاسِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَكَم سَأَلَ أَهْل قباء. فَقَالُوا: إِنَّا نَتَبَعُ الْحِجَارَةَ الْمَاءَ رَوَاهُ الْبَزَارُبِسَنَدِ ضَعيف. وَأَصْلَهُ فِي أَبي دَاوُدَ وَالتَّرْمِذِي وَصَحَحَهُ ابْنُ خُزَيمَةٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ الله عَنْهُ بدُونَ ذِكْرِ الْحِجَارَةِ.
“হযরত ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সা. প্রশ্ন করেছিলেন, ‘আল্লাহ আপনাদের সুখ্যাতি করেন কেন? ‘তারা বললো, আমরা শৌচ করার সময় পাথর ব্যবহার করার পর পানিও ব্যবহার করে থাকি। (মুসনাদে বাযযার, (দুর্বল সনদে)। এর মূল বক্তব্য আবু দাউদ, হাদীস নং : ৪৪ ও তিরমিযী, হাদীস নং : ৩১০০ রয়েছে। এবং ইবনে খুযায়ম আবু হুরায়রা (রা) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসকে সহীহ বলেছেন। কিন্তু তাতে পাথরের উল্লেখ নেই, কেবল পানির কথা আছে)।)
তথ্যসূত্র :
বই: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ১০০০ সুন্নাত
লেখক: শাইখ খালীল আল হোসেনান
অনুবাদক: মাওলানা ডক্টর শাহ্ মুহাম্মাদ আবদুর রাহীম