বন্যার পানিতে ভেসে আসা ঘেরের মাছ ধরার হুকুম কী?
প্রশ্ন
মুফতী সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন হলো, আমাদের বড় মাছের ঘের আছে। মাছ আটকে রাখার জন্য চতুর্দিকে জাল ঘেড়াও করা।
কিন্তু বন্যার পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাবার কারণে জালের সীমানার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে। ফলে ঘেরের মাছ আশে পাশের ক্ষেত খামার ও ডোবায় চলে গেছে অনেক।
আশেপাশের লোকজন সেসব ক্ষেত খামার ও ডোবা থেকে জাল দিয়ে তা শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে।
আমার প্রশ্ন হলো, আমাদের মালিকানাধীন লালনপালন করা মাছ এভাবে অন্যদের শিকার করে নিয়ে খাওয়া কতটুকু শরীয়তসম্মত? দয়া করে জানাবেন।
প্রশ্নকর্তা- আব্দুল আলীম
সুনামগঞ্জ।
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
বৃষ্টি বা বন্যার কারণে যেসব মাছ ঘেরের সীমানার বাহিরে ক্ষেত খামারে ও নালা ডুবায় চলে গেছে। বা অন্যত্র চলে গেছে। যা মালিকপক্ষ নতুন করে শিকার করা ছাড়া ফিরিয়ে আনতে সক্ষম নয়। সেসব মাছ মালিকের মালিকানা থেকে মুক্ত হয়ে যায়।
সুতরাং এসব মাছ যে কারো জন্য শিকার করা ও খাওয়া জায়েজ আছে। এতে বাধা দেবার শরয়ী কোন ইখতিয়ার বাকি থাকে না।
عن أبى هريرة رضى الله عنه عنن النبى صلى الله عليه وسلم قال: الصيد لمن أخذ لا لمن أثاره (نصب الراية للزيلعى، قيبل كتاب الرهن-4\319)
قال فى الأصل: ومن اصطاد سمكة من نهر جار لرجل لا يقدر على اخذ صيده فهو للذى أخذه (الفتاوى الهندية-5\420)
إذا دخل السمك فى حظيرة، فإما أن يعدها لذلك أولا، ففى الأول يملكه وليس لأحد أخذه، ثم إن امكن أخذه بلا حيلة جاز بيعه، لأنه مملوك مقدور التسليم، وإلا لم يجز، لعدم القدرة على التسليم، وفى الثانى لا يملكه، فلا يجوز بيعه لعدم الملك، إلا أن يسد الحظيرة إذا دخل، فحينئذ يملكه، ثم أن أمكن أخذه بلا حيلة جاز بيعه وإلا فلا، وإن لم يعدها لذلك لكنه أخذه وأرسله فيها ملكه (رد المحتار، كتاب البيوع، باب البيع الفاسد، سعيد-5\61)
والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা।
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।
পরিচালক: শুকুন্দী ঝালখালী তা’লীমুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা, মনোহরদী, নরসিংদী।
ইমেইল– [email protected]