ইবাদত

আত্মীয়-স্বজনের অধিকার

আনুগত্য, খেদমত, সদ্ব্যবহার এবং আদব তা’জীমের ক্ষেত্রে দাদা-দাদী এবং নানা-নানীর হক পিতা-মাতার তুল্য । চাচা এবং ফুফুর হক পিতার তুল্য । ছোট ভাইয়ের কাছে বড় ভাই পিতৃতুল্য। হাদীছের বর্ণনা ও ইংঙ্গিত অনুসারে এরূপই প্রমাণিত হয়। এছাড়া ভাতিজা, ভাতিজী, ভাগিনা, ভাগ্নী প্ৰমুখ আত্মীয়-স্বজন, যাদের সাথে জন্মগতভাবেই আৱীয়তা হয় সাধারণভাবে তাদের সকলের হক বা অধিকার নিম্নরূপঃ ১. তাদেরকে ভালবাসা । ২. তাদের সাথে সদ্ব্যবহার করা । ৩. তাদের মধ্যে কারও ভরণ-পোষণের কষ্ট থাকলে সঙ্গতি অনুসারে তাদের আর্থিক ও বৈষয়িক সাহায্য করা। ৪. মাঝে-মধ্যে তাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করা। ৫. তাদের দ্বারা কোন কষ্ট পেলে তা সহ্য করা। ৬. তাদের সাথে আত্মীয়তা ও সম্পর্ক ছেদন না করা । ৭. সালাম, কালাম ও হাদীয়া আদান-প্রদান অব্যাহত রাখা। উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত বিষয়গুলো আমল করাকে বলা হয় ‘ছেলায়ে-রেী’ অর্থাৎ, আত্মীয়তার সুসম্পর্ক বজায় রাখা। এই ছেলায়ে-রেী ওয়াজিব।

শ্বশুর-শাশুড়ী, শালা, ভগ্নীপতি, জামাই, পুত্রবধূ, স্ত্রীর আগের ঘরের সন্তান, স্বামীর অন্য পক্ষের সন্তান ইত্যাদি যাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে আত্মীয়তা হয়, তাদের হকও সাধারণ মুসলমানের চেয়ে বেশী । অর্থাৎ, সাহায্য সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাধারণ মুসলমান ও এতীম-মিসকীনের চেয়ে তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। অনেক আলেমের মতে রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়দের ন্যায় বৈবাহিক সম্পর্কের আত্মীয়দের সাথেও ছেলায়ে-রেমী তথা আত্মীয়তার সু সম্পর্ক রক্ষা করা ওয়াজিব। এ ক্ষেত্রে উভয় শ্রেণীরই হুকুম এক পর্যায়ের। ভিয়েনা জেনি ও। ওর আসা নষ্ট এবং মা-বাপ ও সন্তানের হক গ্রন্থাদি থেকে গৃহীত।)

তথ্য সূত্রঃ

কিতাবঃ আহকামে যিন্দেগী

লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মাদ হেমায়েত উদ্দিন শায়খুল হাদিস, জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, তাঁতিবাজার, ঢাকা – ১১০০। মুহাদ্দিছ, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া, ৩৩২, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা ১২৩৬

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *