ছোটদের সালাম দেওয়াও নবিজির (সা.) সুন্নত

ইসলামে সালাম অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ আমল। রাসুল (সা.) বেশি বেশি সালাম দিতে উৎসাহিত করে বলেছেন সালাম মুসলমানদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা বাড়ায়। নবিজি (সা.) বলেন, সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা মুমিন না হলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না আর পরস্পরে সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা না রেখে তোমরা মুমিন হতে পারবে না। আমি তোমাদের এমন কাজের কথা বলছি, যা তোমাদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করবে, নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি সালাম দাও। (সহিহ মুসলিম: ২০৩)

আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে জিজ্ঞাসা করল, ইসলামে কোন আমলটি উত্তম? আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, মানুষকে খাবার খাওয়াবে এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেবে। (সহিহ বুখারি: ১২, ২৮; সহিহ মুসলিম: ৩৯)

সালাম দেওয়ার স্বাভাবিক আদব হলো ছোটরা বয়োজ্যেষ্ঠদের আগে সালাম দেবে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ছোট বা কম বয়সী বয়োজ্যেষ্ঠকে, পদব্রজে অতিক্রমকারী বসা ব্যক্তিকে ও কম সংখ্যক লোক বেশি সংখ্যক লোককে সালাম দেবে। (সহিহ বুখারি: ৬২৩১)

তবে ছোটদের সালাম দেওয়াও নবিজির (সা.) সুন্নত। আনাস (রা.) বলেন, একদিন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদল বালকের পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তাদের সালাম দিলেন। (সহিহ বুখারি: ৬২৪৭, সহিহ মুসলিম: ২১৬৮) বর্ণিত রয়েছে হজরত আনাসও (রা.) নবিজির অনুসরণে ছোটদের সালাম দিতেন। তাই ছোটদের যেমন কর্তব্য বড়দের আগে সালাম দেওয়ার চেষ্টা করা, বড়দেরও উচিত ছোটদের সালাম দেওয়া, যেন তারা সালাম দেওয়ার শিক্ষা পায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *