ইবাদত

শোকরের সংজ্ঞা ও স্বরূপ

শোকর’ আরবি শব্দ, অর্থ হলো কৃতজ্ঞতা তথা উপকারীর উপকার স্বীকার করা, ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা, কৃতার্থ হওয়া। ফার্সি, উর্দু, হিন্দি ও বাংলায় শব্দটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়। শাকির বা শাকের অর্থ কৃতজ্ঞ ব্যক্তি।

ইসলামী পরিভাষায় শোকর হলো নেয়ামতের স্বীকৃতি জ্ঞাপন করা। শোকরের বিপরীত হলো কুফর অর্থাৎ অকৃতজ্ঞতা বা কৃতঘ্নতা।যেহেতু শোকরের সঙ্গে নেয়ামত সম্পর্কযুক্ত তাই বলা হয়,শোকরে নেয়ামত বা নেয়ামতের শোকরগুজারি করা। শোকর শব্দটি ‘শোকরানা’ এবং ‘শোকরিয়া’ রূপেও ব্যহার করা হয়। শোকর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার নেয়ামতগুলোর উপকারিতা স্বীকার করার ক্ষমতা জন্মে এবং আল্লাহ তায়ালাকে মেহেরবান জেনে তাঁর প্রতি ভক্তি দৃঢ়তর হয়ে থাকে ও মহব্বত জন্মে।

যে আল্লাহর পথে চলে, তার মনযিলসমূহের মধ্যে একটির নাম শোকর।
এই শোকর তিনটি বিষয়ের সমন্বয়ে গঠিত- ১, এলম। ২, হাল। ৩, আমল। এলম থেকে হাল এবং হাল থেকে আমল সৃষ্টি হয়।

১. এলম হচ্ছে সকল নেয়ামতকে আল্লাহর পক্ষ থেকে জানা।

২. হাল হচ্ছে আল্লাহর নেয়ামতে সন্তুষ্ট হওয়া।

. আমলের অর্থ যা আল্লাহর উদ্দেশ্য ও প্রিয়, তাতে কায়েম থাকা। আমল অন্তর, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং জিহ্বার সাথেও সম্পৃক্ত।

এলম সম্পর্কে বলতে গেলে তিনটি বিষয় জানা দরকার।

১. স্বয়ং নেয়ামতকে জানতে হবে।

২. এই নেয়ামত যে তার জন্যে নেয়ামত, তা জানতে হবে।

৩.নেয়ামতদাতার সত্তা ও সিফাতসমূহ জানা দরকার। এটা আল্লাহ ছাড়া শুধু অন্যের বেলায়। আল্লাহর বেলায় এই এলম দরকার যে, সকল নেয়ামত আল্লাহর পক্ষ থেকেই। তিনিই প্রকৃত নেয়ামতদাতা। মধ্যবর্তী সকলেই তাঁর পক্ষ থেকে কর্মী মাত্র, যারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য।

এখন জানা উচিত যে, এই এলম তখন পূর্ণ হবে, যখন ক্রিয়াকর্মে শিরক না থাকে।

উদাহরণতঃ এক ব্যক্তিকে কোন বাদশাহ কোন নেয়ামত দান করল। এই নেয়ামত পাওয়া অথবা তার হাতে পৌঁছার ব্যাপারে সে যদি বাদশাহের উকিল অথবা উযীরেরও দখল আছে বলে বিশ্বাস করে, তবে সে এই নেয়ামতে বাদশাহের সাথে অপরকেও শরীক করল এবং এই নেয়ামত যে সর্বতোভাবে বাদশাহের তরফ থেকে প্রদত্ত, তা মানল না; বরং কিছু বাদশাহের পক্ষ থেকে এবং কিছু উযীরের পক্ষ থেকে মনে করল । ফলে,তার খুশীও উভয়ের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। অবশ্য যদি সে বিশ্বাস করে, যে নেয়ামত সে পেয়েছে, তা বাদশাহের ফরমানের কারণে, যা তিনি নিজের কলম দ্বারা কাগজে লিখেছেন, তবে এতে শিরক হবে না এবং পূর্ণ শোকরে ত্রুটি থাকবে না। কেননা, সে কলম ও কাগজের তো শোকর করে না ।

এমনিভাবে যদি সে বাদশাহের উযীরকেও মনে করে যে,সে বাদশাহের চাপ ও আদেশের কারণে দেয়— নিজের ক্ষমতা থাকলে কিছুই দিত না, তবে এতে শিরক হবে না। এখানে উযীর কাগজ ও কলমের মতই গণ্য হবে ।

অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি আল্লাহ্ তা’আলাকে জানবে এবং তাঁর কর্মকে চিনবে, সে জানতে পারবে, সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র সবই তাঁর আদেশের অনুসারী। সুতরাং আল্লাহর নেয়ামত যদি কারও কাছে অন্যের মাধ্যমে পৌঁছে, তবে বুঝতে হবে, সে তা পৌঁছাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে বাধ্য ছিল। আল্লাহ তা’আলা তার মনে এই বিশ্বাস সৃষ্টি করেছেন যে, এই নেয়ামতটি অমুকের কাছে পৌছানোর মধ্যেই তার ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ নিহিত। এরপর তার এ কাজটি না করার কোন কারণ থাকে না।

জানা গেল যে, আল্লাহ তা’আলাই প্রকৃত নেয়ামতদাতা। এ বিষয়টি জেনে নেয়ার পর নেয়ামতপ্রাপ্ত ব্যক্তি এককভাবে আল্লাহ্তা ‘আলারই শোকর করতে সক্ষম হবে! বরং শুধু এই জানার কারণেই সে শোকরকারী হয়ে যাবে। সেমতে হযরত মূসা (আঃ) তাঁর মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে আরয করেন—ইলাহী! তুমি আদমকে স্বহস্তে সৃষ্টি করে কত নেয়ামত দান করেছ। সে তোমার শোকর কিভাবে আদায় করল? এরশাদ হল: আদম এসকল নেয়ামতকে আমারই পক্ষ থেকে বিশ্বাস করেছে। এ বিশ্বাসই ছিল তার শোকরগোযারী। অতএব বাহ্যিক নেয়ামতদাতাকে নিয়ে মেতে থাকা মানুষের উচিত নয়; বরং প্রকৃত নেয়ামতদাতারও ধ্যান করা উচিত। নতুবা এলমের ত্রুটির কারণে হালও ত্রুটিযুক্ত হবে এবং হাল ত্রুটিযুক্ত হওয়ার কারণে আমলও ত্রুটিযুক্ত থেকে যাবে।

দ্বিতীয় বিষয় হলো, যা এলম থেকে অর্জিত হয়। এর অর্থ নেয়ামতদাতার প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া এবং তাঁর প্রতি বিনয় ও নম্রতা অবলম্বন করা। এলমের ন্যায় এটাও স্বতন্ত্র শোকর। এই শোকর তখনই হয়, যখন তার শর্ত যথাযথভাবে পালিত হয়। শর্ত এই যে, সন্তুষ্ট কেবল নেয়ামতদাতার প্রতি হতে হবে— নেয়ামত ও নেয়ামত দানের প্রতি নয় ।

সম্ভবত এ বিষয়টি কারও হৃদয়ঙ্গম হবে না। তাই একটি দৃষ্টান্তের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস পাচ্ছি ।

উদাহরণতঃ জনৈক বাদশাহ্ সফরে বের হওয়ার পূর্বক্ষণে এক ব্যক্তিকে একটি ঘোড়া দান করল। সে ব্যক্তি এই ঘোড়া পাওয়ায় তিন প্রকারে সন্তুষ্ট হতে পারে।

প্রথমত, কেবল ঘোড়ার প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া যে, এটা উপকারী সম্পদ, সওয়ারীর যোগ্য, উদ্দেশ্য সাধনে সহায়ক এবং উৎকৃষ্ট বংশোদ্ভূত। এ ধরনের সন্তুষ্ট সেই হবে, যার বাদশাহের প্রতি কোন কৌতূহল নেই কেবল ঘোড়ার প্রতিই কৌতূহল। এমনকি, যদি সে এই ঘোড়া জঙ্গলেও পেত, তবু এতটুকুই সন্তুষ্ট হত।

দ্বিতীয়ত, কেবল বাদশাহের দানের কারণে সন্তুষ্ট হওয়া। কারণ, এতে বুঝা যায়, এই ব্যক্তির প্রতি বাদশাহের সুদৃষ্টি ও অনুগ্রহের মনোভাব রয়েছে। সে যদি এই ঘোড়াটি জঙ্গলে ঘুরাফেরা অবস্থায় পেয়ে যেত, তবে কখনও সন্তুষ্ট হত না। কারণ, এতে বাদশাহের অন্তরে আসন পাওয়ার উদ্দেশ্যটি হাসিল হত না।

তৃতীয়ত, সন্তুষ্টির কারণ এই যে, সে সওয়ার হয়ে সফরের কষ্ট থেকে বেঁচে যাবে এবং বাদশাহের নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে তাঁর খেদমত করবে। এমনকি, বাদশাহের মন্ত্রী হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

উপরোক্ত তিন প্রকারের প্রথমটিতে শোকরের অর্থ পাওয়াই যায় না। কারণ, এতে দৃষ্টি কেবল ঘোড়ার প্রতি এবং সন্তুষ্টিও ঘোড়া পর্যন্তই সীমিত। দাতার প্রতি মোটেই ভ্রূক্ষেপ নেই। এটা সেসব লোকের অবস্থা, যারা কেবল নেয়ামতটি সুস্বাদু ও উদ্দেশ্য সাধনের সহায়ক হওয়ার কারণে সন্তুষ্ট হয়। তারা শোকরের স্তর থেকে বহুদূরে অবস্থান করে।

দ্বিতীয় প্রকার শোকরের অর্থে অন্তর্ভুক্ত; কিন্তু এতে নেয়ামতদাতার সত্তার দিক দিয়ে সন্তুষ্টি নেই; বরং একারণে যে, শাহী কৃপাদৃষ্টি নিশ্চিত হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও নেয়ামত লাভের কারণ হবে। এটা সেই সৎকর্মীদের অবস্থা, যারা শাস্তির ভয়ে ও সওয়াবের আশায় আল্লাহ তা’আলার শোকর ও এবাদত করে।

তৃতীয় প্রকারে পূর্ণাঙ্গ শোকরের অর্থ পাওয়া যায়। এতে নেয়ামতে সন্তুষ্ট হওয়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার নৈকট্য ও দীদার লাভ করে ধন্য হওয়া। এটা অত্যন্ত উচ্চ মর্তবা।

এর পরিচয় এই যে, মানুষ আখেরাত অর্জনে সহায়ক বিষয়াদি ছাড়া অন্য কিছুতে সন্তুষ্ট হবে না এবং যে বিষয় আল্লাহকে ভুলিয়ে দেয় এবং তাঁর পথে অন্তরায় হয়, তাতে দুঃখিত ও বিষণ্ন হবে।

হযরত শিবলী (রহঃ) বলেন : শোকরের উদ্দেশ্য হচ্ছে নেয়ামতদাতা, আল্লাহর দীদার নয়। হযরত ইবরাহীম খাওয়াস (রাঃ) বলেন : সাধারণ মানুষ পানাহার, পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদিতে শোকর আদায় করে; কিন্তু বুযুর্গগণ অন্তরের হালে আল্লাহর শোকর আদায় করেন। এই মর্তবা এমন লোকদের বোধগম্য নয়, যারা আনন্দ ও খুশীকে কেবল উদরপূর্তি, যৌনতৃপ্তি, রঙ-তামাশা, সুর ইত্যাদিতে সীমিত মনে করে। কেউ এই মর্তবা লাভে অক্ষম হলে তার উচিত দ্বিতীয় মর্তবা লাভে সচেষ্ট হওয়া। প্রথম মর্তবা তো গণনার মধ্যেই পড়ে না ।

তৃতীয় বিষয় আমল। অর্থাৎ, নেয়ামতদাতাকে জানার কারণে যে খুশী অর্জিত হয়, তদনুসারে কাজ করা। এই আমল অন্তর, জিহ্বা ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে সম্পৃক্ত। অন্তরের আমল হচ্ছে কল্যাণকামিতা এবং সকল মানুষের জন্যে সৎ কামনা ও সদাচারের মনোভাব পোষণ করা । জিহ্বার আমল হচ্ছে শোকর জ্ঞাপন করে উৎকৃষ্ট প্রশংসাসূচক ভাষায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আমল হচ্ছে অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে আল্লাহর নেয়ামত মনে করে তাঁর আনুগত্যে নিয়োজিত করা এবং এগুলোকে তাঁর নাফরমানীর কাজে সহায়ক না করা ।

উদাহরণতঃ চোখের আমল হল কোন মুসলমানের কোন দোষ দেখলে তা গোপন করা। কানের আমল কোন মুসলমানের কোন দোষ শ্রবণ করলে তা ফাঁস না করা। মুখের আমল, মুখে এমন ভাষা উচ্চারণ করা, যা দ্বারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এমন করলে আল্লাহ তা’আলার এসব নেয়ামতের শোকর আদায় হয় ৷ হাদীসে বর্ণিত আছে, রসূলে করীম (সাঃ) এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেন : আজ কেমন আছ? সে আরয করল : ভাল। আল্লাহ তা’আলার শোকর করছি। রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ তোমার কাছে আমি একথাই আশা করছিলাম। পূর্ববর্তী বুযুর্গগণ পরস্পর যে কুশল বিনিময় করতেন, তার উদ্দেশ্যও এটাই ছিল যে, কোনরূপে মুখ দিয়ে আল্লাহর শোকর উচ্চারিত হোক।

মোটকথা, মুখে শোকর বলাও শোকরগোযারীর অন্তর্ভুক্ত। বর্ণিত আছে, কিছু লোক হযরত উমর ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ)-এর খেদমতে উপস্থিত হয় । তাদের একজন যুবক কিছু আরয করার জন্যে দণ্ডায়মান হলে তিনি বললেন : তোমাদের মধ্যে যে অধিক বয়স্ক প্রথমে সে কথা বলবে। এরপর তার চেয়ে কম বয়স্ক ব্যক্তি বক্তব্য রাখবে। এমনিভাবে পর্যায়ক্রমে কথা বলা উচিত।যুবক আরয করল: আমীরুল মুমিনীন! যদি সবকিছু বয়সের উপরই নির্ভরশীল হত, তবে মুসলমানদের শাসক এমন কোন ব্যক্তি হত, যে আপনার চেয়ে অধিক বয়স্ক। খলীফা বললেন : আচ্ছা, বলতে চাও, বল। যুবক বলল : আমরা আপনার কাছে চাইতে অথবা আপনার ভয়ে ভীত হয়ে এখানে আসিনি। কেননা, আপনার দানশীলতা আমরা ঘরে বসেই পেয়ে গেছি। সুতরাং চাওয়ার প্রয়োজন নেই। আর আপনার ন্যায়পরায়ণতা কে ভয় করারও কোন হেতু নেই। আমরা কেবল আপনার শোকর আদায় করতে এসেছি। মৌখিক শোকর আদায় করেই আমরা চলে যাব।

সারকথা, উপরোক্ত তিনটি বিষয়ই শোকরের মূল। এগুলোর মাধ্যমে শোকরের স্বরূপ উদঘাটিত হয়।

শোকরের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে কেউ কেউ বলেন :

  • নেয়ামতদাতার নেয়ামত বিনীতভাবে স্বীকার করার নাম শোকর। এ সংজ্ঞায় মৌখিক উক্তি এবং অন্তরের কতক অবস্থার প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
  • কেউ কেউ বলেন :শোকর হচ্ছে অনুগ্রহকারীর অনুগ্রহ উল্লেখ করে তার প্রশংসা করা। এতে কেবল মৌখিক আমলের প্রতিই লক্ষ্য রাখা হয়েছে।
  • কারও কারও মতে শোকর হচ্ছে তত্ত্বে মগ্ন হওয়া এবং সদাসর্বদা নেয়ামতদাতার মহত্ত্ব স্মরণ রাখা। এই সংজ্ঞা শোকরের অধিকাংশ বিষয়কে শামিল করে; কিন্তু জিহ্বার আমল শোকরের বাইরে থেকে যায় ।
  • হযরত জুনায়েদ (রহঃ) শোকরের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন :শোকরকারী নিজেকে নেয়ামতের যোগ্য মনে করবে না। এতে কেবল অন্তরের একটি বিশেষ অবস্থা পাওয়া যায়। মনীষীগণের উল্লিখিত উক্তিসমূহ থেকে তাদের অবস্থা সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। প্রত্যেকের অবস্থা ভিন্ন ভিন্ন ছিল বিধায় উক্তিও ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে। বরং এক্ষেত্রে একই বুযুর্গের উক্তি দু’অবস্থার মধ্যে দু’রকম হয়েছে। কেননা, তাদের মধ্যে যখন যে হাল প্রবল হত, সে হাল অনুযায়ীই তারা বক্তব্য রাখতেন। তারা যতটুকু বলা প্রশ্নকারীর জন্যে উপযোগী মনে করতেন, ততটুকুই বলতেন, অপ্রয়োজনীয় কথা বলতেন না। এখানে পাঠকবর্গ যেন মনে না করেন যে, আমরা এসব কথা তাদের প্রতি বিদ্রূপ করে বলছি অথবা আমাদের সুচিন্তিত বক্তব্য তাদের মনঃপূত নয়। বরং কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তিই আমাদের বক্তব্য অস্বীকার করতে পারবে না ।

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *