এক মশক পানির দাম পাঁচ দিরহাম
ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে জাফর বলেন, আমি ইমাম আবু হানীফা রহ. এর কাছ থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আমি একবার মরুভূমিতে গরমের মাঝে প্রচণ্ড পিপাসায় কাতর হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর পথে এক লোককে দেখতে পেলাম। তার নিকট এক মশক পানি ছিলো।
আমি তার নিকট একটু পানি চাইলাম। সে বললো, পাঁচ দিরহাম দিলে পানি দেওয়া যেতে পারে।
ইমাম আবু হানীফা রহ. বলেন, আমি পাঁচ দেরহাম দিয়ে তার নিকট থেকে পানির মশকটি কিনে নিলাম। পানির পিপাসা মিটিয়ে আমি আমার নিকট থাকা ছাতু বের করলাম। নিজে খেলাম এবং লোকটিকে বললাম, জনাব! ছাতুগুলো খুবই ভালো, খেতে চাইলে খেতে পারেন।
লোকটি রাজি হলো। আমি তার সামনে ছাতু এগিয়ে দিলাম। ছাতুগুলো যাইতুন তেল মিশ্রিত ছিলো। লোকটি অত্যন্ত আগ্রহের সাথে পেট ভরে খেলো। ফলে তার প্রচণ্ড পিপাসা লাগলো । এবার লোকটি অত্যন্ত মিনতির সাথে আমার নিকট এক পেয়ালা পানি চাইলো ।
আমি বললাম, পাঁচ দিরহাম দিলে এক পেয়ালা পানি দেয়া যেতে পারে। পাঁচ দিরহামের কমে হবে না। ছাতু এবং যাইতুনের তেল খাওয়ার দরুন তার প্রচণ্ড পিপাসা পেয়ে ছিলো। তাই সেও আমার মতো পানির তীব্র মুখাপেক্ষী হয়ে গেলো। শেষপর্যন্ত সে এক পেয়ালা পানির বিনিময়ে পাঁচ দিরহাম দিতে সম্মত হলো ৷
আমি তাকে পাঁচ দিরহামের বিনিময়ে এক পেয়ালা পানি দিলাম।
এভাবে আমি পাঁচ দিরহামও ফিরে পেলাম এবং পানির মশকটিও আমার নিকট রয়ে গেলো।
তথ্যসূত্র:
বই : ইমাম আযম আবু হানীফা রহ. এর ঈমানদীপ্ত গল্প
লেখক : মুফতি মাহফুজ মোসলেহ