একবার পাঠ করার দু’আ
এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে: مُعَاوِيَةَ: أَنَّ النَّبِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ مَكْتُوبَةٍ:
“হযরত মুয়াবিয়া রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর বলতেন:
لاَ إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ ، وَلَهُ الحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِ شَيْءٍ قَدِيرُ، اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الجَدِ مِنْكَ الجَدُّ.
আল্লাহ ছাড়া ইবাদাতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। হে আল্লাহ! তুমি যা প্রদান কর তা বাধা দেয়ার কেউ নেই, আর তুমি যা দেবে না তা দেয়ার মতো কেউই নেই। তোমার গযব হতে কোনো বিত্তশালী বা পদমর্যাদার অধিকারীকে তার ধন-সম্পদ বা পদমর্যাদা রক্ষা করতে পারবে না’।(‘আল বুখারী, হাদীস নং: ৮৪৪, মুসলিম, হাদীস নং: ৫৯৩)
একবার পাঠ করার অন্য আরেকটি দু’আ
এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে: “হযরত ইবনে যুবায়ের রা. প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর বলতেন: كَانَ ابْنُ الزُّبَيْرِ، يَقُولُ: فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ حِينَ يُسَلِّمُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللهِ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَلَا نَعْبُدُ إِلَّا إِيَّاهُ. لَهُ النِّعْمَةُ وَلَهُ الْفَضْلُ ، وَلَهُ الثَّنَامُ الْحَسَنُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ.
‘আল্লাহ ছাড়া ইবাদাতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসা মাত্রই তাঁর। তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। কোনো পাপ কাজ ও রোগ-শোক, বিপদ-আপদ হতে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই। আর সৎকাজ করারও ক্ষমতা নেই আল্লাহ ছাড়া। আল্লাহ ছাড়া ইবাদাতের যোগ্য কোনো মাবুদ নেই, আমরা একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করি, নিয়ামতসমূহ তাঁরই, অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, আমরা তাঁর দেয়া জীবন বিধান একমাত্র তার জন্য একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফিরদের নিকট তা অপ্রীতিকর’ ।”(মুসলিম, হাদীস নং: ৫৯৪ )
একবার পাঠ করার অন্য আরেকটি দু’আ এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে: عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ بِيَدِهِ، وَقَالَ: يا مُعَاذُ لَا تَدَعَنَّ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ تَقُولُ:
“হযরত মুয়ায বিন জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সা. আমার হাত ধরলেন এবং বললেন, প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর এই দু’আ পড়া ত্যাগ করবে না: اَللّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ.
‘হে আল্লাহ! তোমার স্মরণ, শুকরিয়া এবং উত্তম ইবাদাত করার ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য কর। (আবু দাউদ, হাদীস নং: ১৫২২, আন নাসায়ী, হাদীস নং: ১৩০২।)
একবার পাঠ করার অন্য আরেকটি দু’আ
এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে: عن سَعْدٌ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَتَعَوَّذُ مِنْهُنَّ دُبُرَ الصَّلاةِ:
“হযরত সাআদ রা. হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সা. প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর বলতেন: اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ العُمُرِ.وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ.
“হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট কাপুরুষতা, আমার জীবনের খারাপ অবস্থায় ফেরত যাওয়া, দুনিয়ার ফিতনা এবং কবরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’ ৷”(আল বুখারী, হাদীস নংঃ ২৮২২।)
একবার পাঠ করার অন্য আরেকটি দু’আ
এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে: عَنِ الْبَرَاءِ ، قَالَ: كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،أَحْبَبْنَا أَنْ نَكُونَ عَنْ يَمِينِهِ، يُقْبِلُ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ، قَالَ: فَسَمِعْتُهُ
“হযরত বারা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সা. এর পেছনে নামায পড়তাম, তখন আমরা তার ডান দিকে থাকতে পছন্দ করতাম, তিনি আমাদের দিকে মুখ করে বসতেন, অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ সা.-কে বলতে শুনলাম: رَبِّ قِنِي عَذَا بَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ أَوْ تَجْمَعُ عِبَادَكَ.
হে আমার রব! ঐ দিনের আযাব থেকে আমাকে রক্ষা করুন, যেই দিন আপনি আপনার বান্দাদের সবাইকে একত্রিত করবেন’।মুসলিম, হাদীস নং: ৭০৯।
তথ্যসূত্র :
বই: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ১০০০ সুন্নাত
লেখক: শাইখ খালীল আল হোসেনান
অনুবাদক: মাওলানা ডক্টর শাহ্ মুহাম্মাদ আবদুর রাহীম