একত্রে খানা খাওয়ার আদব ও ফায়দাসমূহ

একত্রে খানা খাওয়ার আদব

খাওয়ার পর দস্তরখানে খানা রেখে দস্তরখান থেকে উঠবে না।

সকলে খানা খাওয়া থেকে ফারেগ না হওয়া পর্যন্ত নিজে খানা বন্ধ করবে না। কারণ হতে পারে অন্যের পেটে এখনও ক্ষুধা রয়েছে। তাই একজন হাত তুলে নিলে সে-ও খানা থেকে হাত তুলে নিয়ে ক্ষুধার্ত থেকে যাবে। তবে যদি কারো অসুবিধা থাকে, তাহলে সে অপারগতা পেশ করবে।

একত্রে খানা খাওয়ার ফায়দাসমূহ

১. অল্প খানায় অনেক বরকত হয়।

২. খানায় তৃপ্তি লাভ হয়।

৩. একটি মহান সুন্নাত যিন্দা করার সওয়াব হয় ।

8.পরস্পরে ভ্রাতৃত্ব ও মুহাব্বতের সওয়াব হয়।

৫.খানা নষ্ট ও অপচয় হয় না।

৬. পরস্পরে শত্রুতা দূর হয় ও মুহাব্বত বৃদ্ধি পায় ৷

এগুলো হলো বস্তুগত ফায়দা। আর রূহানী ফায়দার তো কোনো সীমা- পরিসীমাই নেই।

খানা বণ্টনের পদ্ধতি

খানা বণ্টনের সুন্নাত তরীকা হলো, সবসময় মজলিসে বসা ব্যক্তিদের মধ্যে যিনি মুরুব্বী তাকে প্রথমে হাত ধোয়াবে বা খানা দিবে। অতঃপর তার ডানে ডানে চলতে থাকবে। চাই ডান দিকে ছোট কিংবা বড় যেমন লোকই থাক না কেন।

তথ্যসূত্রঃ

কিতাবঃ তা’লীমুস সুন্নাহ ও আমালে প্রচলিত ভুল সংশোধন সংকলকঃ অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান চৌধুরী খলীফা – মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক রহঃ

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *