ফরজ,ওয়াজিব ও সুন্নাত গোসলের বিবরণ
যে সকল কারণে গোসল ফরজ হয়
পাঁচ কারণে গোসল ফরজ হয়।
(ক) কামভাব সহকারে বীর্যপাত
(খ) সহবাস: যদিও বীর্যপাত না হয়
(গ) স্বপ্নদোষ: যদি বীর্যপাত হয়
(ঘ) হায়েযের পর
(ঙ) নেফাসের পর।
যে সকল কারণে গোসল ওয়াজিব হয়
তিন কারণে গোসল ওয়াজিব হয়। যেমন-
১. যদি কেউ নতুন মুসলমান হয় এবং কাফির অবস্থায় গোসল ফরজ হয়ে থাকে, অথচ গোসল করেনি অথবা শরীয়ত অনুসারে গোসল না করে থাকে, তবে তার উপর গোসল ওয়াজিব হয় ।
২. যদি কেউ পনের বছরের পূর্বে বালেগ হয় অর্থাৎ স্বপ্নদোষ হয় তার প্রথম স্বপ্নদোষের জন্য গোসল ওয়াজিব হয়। কিন্তু এউপর যে স্বপ্নদোষ হয় তাতে গোসল করা ফরজ হয় ৷
৩. মৃত মুসলমানকে গোসল দেয়া জীবিত মুসলামনেদের উপর ফরজে কিফায়া।
সুন্নাত গোসলের বিবরণ
চার ধরনের সুন্নাত গোসল রয়েছে:
(ক) জুমু’আর নামাযের জন্য গোসল
(খ) ঈদের নামাযের জন্য গোসল
(গ) হজ্জ ও ওমরার ইহরাম বাঁধার জন্য গোসল এবং
(ঘ) আরাফাতের ময়দানে হজ্জ করার জন্য গোসল করা সুন্নাত।
তথ্যসূত্র :
বই: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ১০০০ সুন্নাত
লেখক: শাইখ খালীল আল হোসেনান
অনুবাদক: মাওলানা ডক্টর শাহ্ মুহাম্মাদ আবদুর রাহীম