ইবাদত

গোসল করার সহীহ নিয়ম

গোসল আরবী শব্দ। এর অর্থ: পানি দিয়ে ধৌত করা। মহান আল্লাহর বাণী: وَإِنْ كُنْتُمْ جُنُبًا فَاظَهَرُوا. “যদি তোমরা (গোসল ফরজ হওয়ার মতো) অপবিত্র হও, তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও (গোসল করে নাও)।'(আল কুর’আন, সূরা মায়িদা ৫:৬ )

ফরজ গোসল করতে হলে প্রথমে গোসলের নিয়্যত করে ৩ বার উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করবে। অতঃপর বাম হাতের উপর পানি ঢেলে দেহের নাপাকী ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর বাম হাতকে মাটি অথবা সাবান দ্বারা ধুয়ে নামাযের ওযুর ন্যায় ওযু করবে। ওযুর পর ৩ বার মাথায় পানি ঢেলে ভালো করে চুলগুলো ধুয়ে নেবে, যাতে সমস্ত চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছে যায় ৷ তারপর সারা শরীরে ৩ বার পানি ঢেলে ভালোভাবে পরিষ্কার করবে। এবং গোসলের জায়গা পরিষ্কার না হলে গোসল শেষে উভয় পা ভালোভাবে ধুয়ে নেবে। (সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ হাদীস নং: ৪৩৫-৪৩৬।)

মহিলাদের গোসল পুরুষদের গোসলেন ন্যায়। মহিলার মাথার চুলের বেণী বাধা থাকলে তা খোলা জরুরি নয়, তবে ৩ বার পানি নিয়ে চুলের গোড়া অবশ্যই ধুয়ে নিতে হবে।নখ পালিস থাকলে গোসলের পূর্বেই তা তুলে ফেলতে তে হবে, নতুবা গোসল হবে না। তবে মেহেদী লাগানো অবস্থায় গোসল হয়ে যাবে।

ফরজ গোসল ও সুন্নাত গোসল এক গোসল দ্বারা সম্পন্ন হতে পারে, এজন্য আলাদা আলাদা গোসলের প্রয়োজন নেই। গোসলের পর নামাযের জন্য পৃথক ওযুর প্রয়োজন নেই। গোসলের পর ওযু ভাঙ্গার কোনো কারণ সংঘটিত না হলে গোসলের ওযুতেই নামায পড়া যাবে।১৫

তথ্যসূত্র :

বই: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ১০০০ সুন্নাত

লেখক: শাইখ খালীল আল হোসেনান

অনুবাদক: মাওলানা ডক্টর শাহ্‌ মুহাম্মাদ আবদুর রাহীম

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *