ইসলাম

জাহান্নামকে ভয় করার বর্ণনা

আল্লাহ্ তা’আলা এরশাদ ফরমান :

يَأْيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنْفُسَكُمْ وَ أَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَ الْحِجَارَهُ عَلَيْهَا مَلبِكَةُ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا يَعْصُونَ اللهَ مَا اَمَرَهُمْ وَ يَفْعَلُوْنَ مَا يُؤْمَرُوْنَ –

‘হে মু’মিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই আগুন থেকে রক্ষা কর, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর। যেখানে নিয়োজিত রয়েছে পাষাণহৃদয় এবং কঠোর স্বভাবের ফেরেশতাগণ। তারা আল্লাহ্ তা’আলা যা আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং যা করতে আদেশ করা হয়, করে।’ –সূরা তাহরীম-৬

ফায়দা : আলোচ্য আয়াতে গোটা মুসলিম জাতিকে আদেশ করা হয়েছে যে, জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেকে বাঁচাও এবং নিজের পরিবার-পরিজনকেও বাঁচাও। অতঃপর আল্লাহ্ তা’আলা জাহান্নামের আগুনের প্রখরতা ও ভয়াবহতার উল্লেখ করেছেন। এরপর এটাও উল্লেখ করেছেন, যে ব্যক্তি জাহান্নামী হয়ে যাবে, সে আপন শক্তি-সামর্থ্য, ক্ষমতা-দক্ষতা, চাটুকারিতা বা ঘুষ ইত্যাদি দিয়েও জাহান্নামে নিয়োজিত ফেরেশতাদের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। কারণ, সেখানে এত কঠিন হৃদয়ের ফেরেশতা দায়িত্ব পালনে নিযুক্ত রয়েছে, যারা আল্লাহ্ তা’আলার আদেশ পালনে অটল ও অবিচল। কখনো তারা আল্লাহ্ তা’আলার আদেশ লঙ্ঘন করে না তাদের নাম হল যাবানিয়াহ।

আলোচ্য আয়াতে (আহলীকুম) শব্দে আপন পরিবার-পরিজনের সকল সদস্য অন্তর্ভুক্ত। স্ত্রী-পুত্র, সন্তান-সন্ততি, গোলাম-বাদী এবং চাকর-জাহান্নামের বর্ণনা চাকরানী সকলকেই জাহান্নামের থেকে ভীতি প্রদর্শন করা আবশ্যক । উল্লেখ্য, যাদের বাসা-বাড়ীতে বাঁধা কাজের লোক রয়েছে, তাদেরকেও জাহান্নাম থেকে বাচানোর ফিকির মালিককে করতে হবে ।

পরিবারকে কিভাবে বাঁচাবেন ?

এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত আছে, যখন আলোচ্য আয়াত নাযিল হল, তখন হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! নিজেকে নিজে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর অর্থ তো বুঝে আসল যে, আমরা গোনাহ থেকে বাঁচব, আল্লাহ্ তা’আলার বিধি-নিষেধ ও হুকুম-আহকামসমূহ যথাযথ পালন করতে সচেষ্ট থাকব। কিন্তু পরিবার-পরিজনকে আমরা কিভাবে জাহান্নাম থেকে বাঁচাব? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে এরশাদ করলেন ঃ এর পন্থা হল, আল্লাহ্ তা’আলা তোমাকে যেসব কাজ-কর্ম থেকে বিরত থাকতে আদেশ করেছেন, তা থেকে তুমি তাদের সকলকে বিরত রাখ। আর যেসব কাজ-কর্মের হুকুম করেছেন, তুমিও আপন পরিবারকে তা পালন করতে আদেশ কর। এতটুকু করলেই তুমি তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারবে। রুহুল মা’আনী

জাহান্নামের ভয়ে এক পাহাড়

হযরত আবদুল আযীয ইবনে আবী রাওয়াদ (রহঃ) বলেন, হযরত ঈসা (আঃ) এমন এক পাহাড়ের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, যা আসমান ও যমীনের মধ্যখানে ঝুলন্ত ছিল। তিনি তার ভেতরে প্রবেশ করলেন ও কেঁদে দিলেন এবং সেখান থেকে অবাক চিত্তে বের হয়ে আসলেন। তথায় অবস্থিত লোকজনকে তিনি এ পাহাড়ের ঝুলন্ত থাকার কারণ জিজ্ঞেস করলেন। উত্তরে তারা বলল, আমরাও এ সম্পর্কে অবগত নই; আমাদের পূর্বপুরুষগণও একে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন । তখন হযরত ঈসা (আঃ) আল্লাহ্ তা’আলার নিকট আবেদন পেশ করলেন, হে আল্লাহ্! আপনি এ পাহাড়কে অনুমতি প্রদান করুন, যাতে সে তার অবস্থা আমাকে অবগত করায়। সুতরাং তিনি পাহাড়কে অনুমতি দিলেন । পাহাড় বলল, আল্লাহ্ তা’আলা যখন জাহান্নামের বিবরণ দিতে গিয়ে বলেছেন যে, তার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, তখন আমার মাঝে এ ভয়- ভীতি চলে আসল, না জানি আমাকেও জাহান্নামের ইন্ধন বানানো হয় কিনা ? আমি আল্লাহ্ তা’আলার নিকট প্রার্থনা করছি, যাতে তিনি আমাকে জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তা প্রদান করেন। অতঃপর হযরত ঈসা (আঃ) তার জন্য দো’আ করলেন। ফলে আল্লাহ্ তা’আলা পাহাড়কে জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তা প্রদান করলেন। তখন হযরত ঈসা (আঃ) পাহাড়কে লক্ষ্য করে বললেন, এখন কি তুমি সন্তুষ্ট? অতঃপর পাহাড়কে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে যমীনে রেখে দেয়া হল।—দুররে মানসূর

জনৈক সাহাবীর বেহুঁশ হয়ে যাওয়া

হযরত আবদুল আযীয ইবনে আবী রাওয়াদ (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা’আলা উক্ত আয়াত নাযিল করার পর, একদা হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাগণের সম্মুখে তা তেলাওয়াত করলেন। আয়াতটি শোনামাত্রই এক যুবক সাহাবী বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেল। হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বুকে হাত রেখে দেখলেন, তার হৃদয় ধড়ফড় করছে। তখন তিনি তাকে বললেন, হে যুবক! বলো لا اله الا الله যুবক কালিমা পড়ে নিল। হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শুনিয়ে দিলেন

জাহান্নামের ভয়ভীতি সম্পর্কে কোরআনের আয়াতসমূহ

১। আল্লাহ্ তা’আলা এরশাদ ফরমান- فَاتَّقُوا النَّارَ الَّتى وَقُوْدُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِينَ

‘তোমরা ভয় কর (জাহান্নামের) ঐ আগুনকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ এবং পাথর । যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফের সম্প্রদায়ের জন্য । — সূরা বাকারা-২৪

২। وَاتَّقُوا النَّارَ الَّتِي أُعِدَّتْ لِلْكَافِرِيْنَ ‘তোমরা ঐ আগুন (জাহান্নাম) থেকে আত্মরক্ষা কর, যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফের সম্প্রদায়ের জন্য।’ –সূরা আলে ইমরান-১৩১

৩। فَأَنْذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَقَّى

আমি তোমাদেরকে প্রজ্বলিত লেলিহান আগুন সম্পর্কে সতর্ক করেছি। —সূরা আল-লাইল-১৪

৪।

لَهُمْ مِنْ فَوْقِهِمْ ظُلَلٌ مِنَ النَّارِ وَمِنْ تَحْتِهِمْ ظُلَلُ طَ ذَلِكَ يُخَوَفُ اللَّهُ بِهِ عِبَادَهُ طَ يُعِبَادِ فَاتَّقُوْنِ

‘তাদের জন্য উপর দিক থেকে এবং নীচের দিক থেকে আগুনের মেঘমালা থাকবে। এ শাস্তি দ্বারা আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করে দেন যে, হে আমার বান্দাগণ! আমাকে ভয় কর।’ –সূরা যুমার-১৬

وَ مَا هِيَ إِلَّا ذِكْرَى لِلْبَشَرِ . كَلَّا وَالْقَمَرِ. وَالَّيْلِ إِذْ أَدْبَرَ . وَالصُّبْحِ إِذَا أَسْفَرَ * إِنَّهَا لَإِحْدَى الْكُبَرِ * نَذِيرًا لِلْبَشَرِ * لِمَنْ شَاءَ مِنْكُمْ أَنْ يَتَقَدَّمَ أَوْ يَتَأَخَّرَ .

‘এটা মানুষের জন্য সাবধানবাণী বৈ অন্য কিছু নয়। কখনই নয়, শপথ চন্দ্রের। শপথ রাত্রির, যখন তার অবসান ঘটে। শপথ প্রভাতকালের, যখন তা আলোকোদ্ভাসিত হয়। নিশ্চয়ই জাহান্নাম গুরুতর বিপদসমূহের অন্যতম। তা মানুষের জন্য সতর্ককারী। তোমাদের মধ্যে যে সামনে অগ্রসর হতে চায় অথবা পিছিয়ে পড়তে চায় তার জন্য । —সূরা মুদ্দাসসির ঃ ৩১-৩৭

অন্যান্য উক্তি ও হাদীসসমূহ

হযরত হাসান বসরী (রহঃ) আল্লাহ্ তা’আলার বাণী نذير للبشر এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ্র শপথ! আল্লাহ্ তা’আলা স্বীয় বান্দাকে জাহান্নাম থেকে যত বেশি ভীতি প্রদর্শন করেছেন, অন্য কোন কিছু থেকে এত বেশি ভীতি প্রদর্শন করেন নি।

সারা দুনিয়া বিস্বাদ হয়ে যাবে

হাদীস ঃ হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান, ‘হে মুসলিম সম্প্রদায়! তোমরা এমন বিষয়ে আগ্রহী হও, যে বিষয়ে আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদেরকে আগ্রহ প্রদান করেছেন। তোমরা জাহান্নামকে ভয় কর। কারণ, যদি জান্নাতের একটি টুকরা তোমাদের এ পৃথিবীতে চলে আসে, তা হলে গোটা দুনিয়া তোমাদের জন্য ও আরামদায়ক ও মজাদার হয়ে যাবে। আর যদি জাহান্নামের একটি টুকরা এ দুনিয়াতে চলে আসে, তাহলে সারা দুনিয়া তোমাদের নিকট বিস্বাদ হয়ে যাবে। —বায়হাকী

হাদীস : হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি এরশাদ ফরমান :

إِنَّمَا مَثَلِي وَ مَثَلُ أُمَّتِي كَمَثَلِ رَجُلٍ اِسْتَوْقَدَ نَارًا فَجَعَلَتِ الدَّوَابُّ وَالْفَرَاشُ يَقَعْنَ فِيْهَا فَأَنَا أُخِذُ بِحَجْزِكُمْ عَنِ النَّارِ وَأَنْتُمْ تَقْتَحِمُوْنَ فِيْهَا –

‘নিঃসন্দেহে আমার ও আমার উম্মতের দৃষ্টান্ত এমন ব্যক্তির ন্যায় যে আগুন জ্বালাল, চতুর্পাশ থেকে পতঙ্গসমূহ উড়ে এসে তাতে পড়তে লাগল। অনুরূপ আমিও তোমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচানোর জন্য তোমাদের আঁচল ধরে রেখেছি। এরপরও তোমরা তাতে ঝাপ দিয়ে যাচ্ছ। — বুখারী ও মুসলিম

হাদীস ঃ হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, যখন وانذر عشيرتك الاقربين (আপনি আপনার নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজনদেরকে সতর্ক করুন) এ আয়াত যখন নাযিল হল, তখন হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোরাইশদেরকে এক স্থানে একত্রিত করলেন। যখন তাহারা একত্রিত হল, তখন তিনি ব্যাপকভাবে এবং বিশেষভাবে বিভিন্ন গোত্রের লোকদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে কা’ব গোত্রের লোকেরা! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে আব্দে শাম্‌স গোত্রের সদস্যরা! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে আবদুল মুত্তালিব গোত্রের লোকেরা! নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। হে মুহাম্মদের কন্যা ফাতেমা! তুমি নিজেকে জাহান্নামের আযাব থেকে বাঁচাও। নিঃসন্দেহে আমি আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য কোন বস্তুর মালিক নই। —মুসলিম শরীফ

হাদীস : হযরত কুলাইৰ ইবনে হুযন (রাযিঃ) বলেন, আমি হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : ‘তোমরা পূর্ণাঙ্গ প্রচেষ্টার সাথে জান্নাতকে তালাশ কর এবং পূর্ণ প্রচেষ্টার সাথে জাহান্নাম থেকে পলায়ন কর। জান্নাতের প্রত্যাশী এবং জাহান্নাম থেকে পলায়নকারী কারো জন্যই ঘুমানো উচিৎ নয়। কারণ, আখেরাতের সুখ-শান্তি পরিবেষ্টিত রয়েছে অপছন্দনীয় বিষয়াদির বেষ্টনীতে, আর দুনিয়া পরিবেষ্টিত রয়েছে ভোগ-বিলাস ও আরাম আয়েশের বেষ্টনীতে। সুতরাং এ দুনিয়া যেন তোমাদেরকে আখেরাত থেকে বেপরোয়া না করে দেয়।’ –তাবরানী

হাদীস : হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান : مَا رَأَيْتُ مِثْلَ النَّارِ نَامَ هَارِبُهَا وَ لَا مِثْلَ الْجَنَّةِ نَامَ طَالِبُهَا

‘যে জাহান্নাম থেকে বাঁচতে চায় এমন কোন ব্যক্তিকে আমি ঘুমাতে দেখিনি। অনুরূপ যে জান্নাত প্রত্যাশী এমন লোককেও আমি কখনো ঘুমাতে দেখিনি।’ –তিরমিযী, তাবরানী

হযরত হারম ইবনে হাইয়্যাল (রহঃ) কখনো কখনো রাতে নগরীতে বেরিয়ে পড়তেন এবং উচ্চস্বরে বলে বেড়াতেন, আমি অবাক হই যে, জান্নাতের প্রত্যাশী কিভাবে ঘুমিয়ে পড়ে এবং আমি অবাক হই যে, জাহান্নাম থেকে পলায়নকারী কিভাবে ঘুমিয়ে পড়ে। অতঃপর তিনি এ আয়াত তেলাওয়াত করেন :

أَفَأَمِنَ أَهْلُ الْقُرى أنْ يَأْتِيَهُمْ بَأْسُنَا بَيَاتًا وَهُمْ نَابِمُوْنَ .

‘এখনও কি এই জনপদের অধিবাসীরা এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত যে, আমার আযাব তাদের উপর রাতের বেলায় এসে পড়বে অথচ তখন তারা থাকবে ঘুমে অচেতন।’ –সূরা আ’রাফ-৯৭

হযরত আবুল জাওয়া (রহঃ) বলেন, জনসাধারণের কিছু বিষয় যদি আমার হাতে সোপর্দ করে দেয়া হয়, তা হলে আমি একটি মীনার নির্মাণ করব এবং সেখানে কিছু লোক নিয়োগ করব, যারা উঁচু আওয়াজে এ ঘোষণা করতে থাকবে, ‘হে লোক সকল! তোমরা জাহান্নাম থেকে বাচ, তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচ’।

হযরত মালেক ইবনে দ্বীনার (রহঃ) বলেন, আমি যদি কয়েকজন

সাহায্যকারী প্রাপ্ত হতাম, তা হলে বসরার মিনারায় এ ঘোষণা করিয়ে দিতাম যে, ‘হে লোক সকল! তোমরা জাহান্নাম থেকে নিজেদের রক্ষা কর! জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেদের রক্ষা কর!’ অতঃপর তিনি বলেন, আমি যদি কিছু সহায়ক প্রাপ্ত হই, তাহলে তাদেরকে পৃথিবীর বিভিন্ন মিনারে পাঠিয়ে দেব এবং তারা এ ঘোষণা করবে যে, ‘হে লোকসকল! তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে আত্মরক্ষা কর।’ –কিতাবুয যুহুদ

তথ্যসূত্র:

বই :জাহান্নামের বর্ণনা মূল :আল্লামা মুফতী মোহাম্মদ এমদাদুল্লাহ আনওয়ার অনুবাদ :মাওলানা নাজমুল হুদা মিরপুরী

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *