জাহান্নামের ক্রোধ ও তার ভয়াবহ শব্দ
আল্লাহ্ তা’আলা এরশাদ ফরমান— إِنَّ الَّذِينَ سَبَقَتْ لَهُمْ مِنَّا الْحُسْنَى أُولبِكَ عَنْهَا مُبْعَدُونَ . لَا يَسْمَعُوْنَ حَسِيْسَهَا * وَهُمْ فِي مَا اشْتَهَتْ اَنْفُسُهُمْ خَلِدُونَ *
যাদের জন্য প্রথম থেকেই আমার পক্ষ থেকে কল্যাণ নির্ধারিত রয়েছে, তাঁরা দোযখ থেকে দূরে থাকবে। তাঁরা তার ক্ষীণতম শব্দও শুনবে না এবং তাঁরা তাদের বাসনা অনুযায়ী চিরকাল সেখানে বসবাস করবে। —সূরা আম্বিয়া ঃ ১০১-১০২ وَأَعْتَدْنَا لِمَنْ كَذَّبَ بِالسَّاعَةِ سَعِيرًا * إِذَا رَأَتْهُمْ مِنْ مَّكَانٍ بَعِيدٍ سَمِعُوْا لَهَا تَغَيُّظًا وَ زَفِيرًا . আর যে কেয়ামতকে অস্বীকার করে আমি তার জন্য আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি। আগুন যখন তাদেরকে দূর থেকে দেখতে পাবে, তখন তারা শুনতে পাবে তার গর্জন ও হুংকার। —সূরা ফুরকান : ১১-১২ وَ لِلَّذِيْنَ كَفَرُوْا بِرَبِّهِمْ عَذَابُ جَهَنَّمَ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ . إِذَا الْقُوْا فِيْهَا سَمِعُوْا لَهَا شَهِيقًا وَ هِيَ تَفُورُ * تَكَادُ تَمَيَّزُ مِنَ الْغَيْظِ
যারা তাদের পালনকর্তাকে অস্বীকার করেছে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি । সেটা কতই না নিকৃষ্ট স্থান। যখন তারা তথায় নিক্ষিপ্ত হবে, তখন তারা তার উৎক্ষিপ্ত গর্জন শুনতে পাবে। জাহান্নাম যেন ক্রোধে ফেটে পড়বে। —সূরা মুলক ঃ ৬-৮
জাহান্নামের দু’টি চোখ
জনৈক সাহাবী বর্ণনা করেন, হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান—যে ব্যক্তি আমার সাথে কোন এমন কথা সম্পৃক্ত করল যা আমি বলিনি, যেন জাহান্নামের দুই চোখের মধ্যখানে আপন ঠিকানা বানিয়ে নেয়। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! জাহান্নামের কি চোখও হবে? হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরে বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই । তোমরা কি আল্লাহ্ তা’আলার এরশাদ শুনতে পাওনি ? إِذَا رَأَتْهُمْ مِنْ مَكَانُ بَعِيدٍ سَمِعُوا لَهَا تَغَيُّظًا وَ زَفِيرًا জাহান্নাম যখন তাদেরকে দূর থেকে দেখতে পাবে, তখন তারা তার উৎক্ষিপ্ত গর্জন ও হুংকার শুনতে পাবে। —সূরা ফুরকান-১২
হাদীস ঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন— إِنَّ الْعَبْدَ لَيَجْرِ إِلَى النَّارِ فَتَشْهَقُ إِلَيْهِ شَهْقَةَ الْبَغْلَةِ إِلَى الشَّفِيرِ ثُمَّ تَزْفَرُ زَفْرَةً لَا يَبْقَى اَحَدٌ إِلَّا خَافَ –
জাহান্নামীকে যখন দোযখের দিকে টেনে হেচড়ে আনা হবে এবং যখন জাহান্নামের একেবারেই কিনারায় আনা হবে, তখন জাহান্নাম ভয়াবহ শব্দে চিৎকার করতে থাকবে এবং এমনভাবে ডাকতে থাকবে, যেমন খচ্চর ডাকতে থাকে। এমন ভয়াবহ প্রকম্পন শুরু হবে, তার এ অবস্থা দেখে কেউ আতঙ্কিত হওয়া থেকে মুক্ত থাকবে না । —ইবনে আবী হাতেম
হযরত কা’ব (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা’আলা এমন কোন মাখলুক সৃষ্টি করেননি, যা সকাল-সন্ধ্যা জাহান্নামের চিৎকার ও হুংকার শুনতে না পায় । তবে শুধু (মানব ও দানব) দুই প্রকার মাখলূক তা শুনতে পায় না। যাদের উপর হিসাব-নিকাশ আবশ্যক। —জওয়াজানী
হযরত মুগীস ইবনে সুমাই (রহঃ) বলেন, জাহান্নাম প্রত্যহ দুইবার হাঁক ছাড়তে থাকে। যা মানব ও দানব ব্যতীত অন্যান্য সকল প্রাণীই শুনতে পায় । —কিতাবুয যুহদ
হযরত যাহ্হাক (রহঃ) বলেন, কেয়ামতের দিবসে জাহান্নাম শুধু একবার হাঁক ছাড়বে। এর ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করে নিকটবর্তী ফেরেশতা সহকারে সকল নবী-রাসূলগণও সেজদায় লুটিয়ে পড়বে ও বলতে থাকবে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও ।
ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বেহ (রহঃ) বলেন, কেয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে যখন পর্বতমালাকে চলমান করা হবে, তখন তারা জাহান্নামের হিংস্র হুংকার ও গর্জন শুনতে পাবে। তখন পর্বতমালাগুলো এমনভাবে বিলাপ করতে থাকবে, যেমন বিপদে আক্রান্ত মেয়েরা বিলাপ করে কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন সামনের পাহাড়গুলো পেছনের পাহাড়ের ভেতরে ঢুকে যাবে এবং একটি অন্যটিকে নিষ্পেষিত করে ফেলবে। —আহমদ
সূরা ফুরকানের পূর্ববর্তী আয়াত—إذَا رَأَتْهُمْ مِّنْ مَّكَانٍ بَعِيدٍ سَمِعُوْا لَهَا تَغَيُّظًاوَ زَفِيرًا -এর ব্যাখ্যায় হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, জাহান্নাম হাশরের ময়দানের শত বৎসরের দূরত্বে অবস্থিত থাকবে। তাকে সত্তর হাজার লাগাম দ্বারা টেনে আনা হবে। এক এক লাগামকে সত্তর হাজার ফেরেশতা ধরে থাকবে। যদি তাকে এভাবেই ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে সে কোন নেককার ও বদকার লোককে ছাড়বে না। এরপর সে এমন ভয়াবহ হাঁক ছাড়বে যে, তা শুনে প্রত্যেক মানব ও দানবের অশ্রুঅনর্গল প্রবাহিত হতে থাকবে এবং তা নিঃশেষ হয়ে যাবে। অতঃপর আরেকবার হাঁক ছাড়বে, ফলে অন্তর আপন অবস্থান থেকে ছিটকে গিয়ে গলার ছিদ্রের কাছে চলে আসবে। এটাই হল নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা। আল্লাহ্ তা’আলার বাণী — (প্রাণসমূহ কণ্ঠাগত হয়ে গিয়েছে। —সূরা আহযাব-১০)।
হযরত উবাদুল্লাহ ইবনে জা’ফর বলেন, জাহান্নাম যখন প্রথম হাঁক ছাড়বে, তখন কাফেরদের অন্তর ফেটে যাবে। এরপর যখন দ্বিতীয়বার হাঁক ছাড়বে, তখন তারা অধঃমুখী হয়ে ভূপৃষ্ঠে লুটিয়ে পড়বে। —আবদুল্লাহ ইবনে আহমদ
হযরত কা’ব (রাযিঃ) কর্তৃক হযরত উমর (রাযিঃ)-কে জাহান্নাম সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন
হযরত উমর (রাযিঃ) একদা হযরত কা’ব (রাযিঃ)-কে বললেন, আমাকে ভয় দেখাও। তখন তিনি বললেন, ঐ সত্তার কসম, যার কুদরতী হাতে আমার জীবন। নিঃসন্দেহে কেয়ামতের দিবসে জাহান্নামকে কাছে আনা হবে। যখনই সে কাছে আসবে ও একটি হাঁক ছাড়বে, তখন প্রত্যেক নবী-রাসূল এবং শহীদগণও ভয়ে ও আতঙ্কে হাঁটু গেড়ে বসে যাবেন। তারা বলতে থাকবেন, হে আল্লাহ্! আজ একমাত্র আপনাকেই আমার নফসের জিম্মাদার বানাচ্ছি। হে খাত্তাবের পুত্র! যদি তোমার নিকট সত্তর জন নবীর আমল সমপরিমাণ আমলও থাকে, তবুও এ কথা মনে করবে যে, তোমার নাজাত হবে না। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, কসম আল্লাহ্! অবশ্যই সেদিন খুব কঠিন অবস্থা হবে । –আবু নুয়াইম
অন্য এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত আছে যে, হযরত উমর (রাযিঃ) হযরত কা’ব (রাযিঃ)-কে বললেন, আমাকে কিছু ভীতি প্রদর্শন করুন। তখন হযরত কা’ব (রাযিঃ) বললেন, কসম আল্লাহ্! জাহান্নাম কেয়ামতের দিবসে এমন ভয়াবহ আওয়াজে গর্জিয়ে উঠবে যে, নিকটবর্তী ফেরেশতারাও তার আতঙ্কে হাঁটু গেড়ে বসে যাবে। তারা বলতে থাকবে, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও। এমনকি বিশিষ্ট নবী-রাসূলগণ যথা হযরত ইবরাহীম (আঃ) হযরত ইসহাক (আঃ) এবং শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামেরও ঐ একই অবস্থা হবে। এ সব কথা শুনিয়ে হযরত কা’ব (রাযিঃ) স্বজাতীয় লোকদের এত বেশি কাঁদালেন যে, কাঁদতে কাঁদতে তাদের হিচকিও বন্ধ হয়ে গেল । —আবু নুয়াইম
তৃতীয় এক রেওয়ায়েতে ঘটনাটি এভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত কা’ব (রাযিঃ) বলেন, একদা আমি হযরত উমর (রাযিঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, হে কা’ব আমাকে কিছু ভীতি প্রদর্শন করান। আমি তাকে বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন, জাহান্নাম কেয়ামতের দিবসে এমন এক চিৎকার দিবে যে, সকল নিকটবর্তী ফেরেশতাগণ এবং বিশিষ্ট নবী-রাসূলগণও ভয় ও আতঙ্কে সেজদায় পড়ে যাবেন। এমন কি হযরত ইবরাহীম (আঃ) হাটু গেড়ে বসে যাবেন এবং বলবেন, হে আল্লাহ্! আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও । আজ আমার মুক্তি ছাড়া আর কিছুই চাই না। আমার একথা শুনে হযরত উমর (রাযিঃ) অনেকক্ষণ পর্যন্ত মাথা ঝুকিয়ে বসে থাকলেন। আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন! একথা কি আপনি কুরআনে পাকে দেখতে পাননি? হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, কোথায়? আমি বললাম, আল্লাহ্ তা’আলা এরশাদ ফরমান- يَوْمَ تَأْتِي كُلُّ نَفْسٍ تُجدِلُ عَنْ نَّفْسِهَا وَ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَّا عَمِلَتْ وَهُمْ لا يُظْلَمُونَ . যেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি আত্মসমর্থনে সওয়াল-জওয়াব করতে আসবে, প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের কৃতকর্মের পূর্ণ ফল পাবে এবং তাদের উপর যুলুম করা হবে না । –সূরা নহল-১১১
যারা জাহান্নামকে ভয় করে
হযরত হাসান বসরী (রহঃ) জাহান্নামে ভীত-সন্ত্রস্ত ব্যক্তিদের অবস্থা উল্লেখ করে বলেন, তারা যখন জান্নাত সম্বলিত আয়াত অতিক্রম করে, তখন তারা তার আগ্রহে কাঁদতে থাকেন। আর যখন জাহান্নাম সম্বলিত আয়াত অতিক্রম করেন, তখন তারা চিৎকার দিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন। কেমন যেন জাহান্নামের হাঁক তাদের কর্ণকুহরে বারংবার আঘাত হানে ।
হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এবং হযরত রবী ইবনে খাইছাম
আবু ওয়ায়েল (রাযিঃ) বলেন, আমরা একদা হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) এর সাথে ভ্রমণে যাচ্ছিলাম। আমাদের সাথে হযরত রবী ইবনে খাইছাম (রাযিঃ)ও ছিলেন। পথ চলতে চলতে আমরা ফুরাত নদীর তীরে অবস্থিত একটি তন্দুরের নিকট পৌছলাম। হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) যখন তার দাউদাউ করা আগুন প্রত্যক্ষ করলেন, তখন নিম্নোক্ত আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন—
إِذَا رَأَتْهُمْ مِّنْ مَّكَانٍ بَعِيدٍ سَمِعُوا لَهَ تَغَيُّظًا وَ زَفِيرًا وَإِذَا الْقُوْا مِنْهَا مَكَانًا ضَيّقًا مُقَرَّنِينَ دَعَوْا هُنَالِكَ ثُبُورًا – জাহান্নামের আগুন যখন তাদেরকে দূর থেকে দেখবে, তখন তারা শুনতে পাবে তার গর্জন ও হুংকার। যখন শিকলে বাঁধা অবস্থায় জাহান্নামের কোন সংকীর্ণ স্থানে তাদেরকে নিক্ষেপ করা হবে, তখন সেখানে তারা মৃত্যুকে ডাকতে থাকবে। —সূরা ফুরকান : ১২-১৩
এ আয়াত শুনে হযরত রবী ইবনে খাইছাম (রাযিঃ) চিৎকার করে কাঁদতে থাকলেন এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন। আমরা তাকে ধরাধরি করে তার বাড়ীতে নিয়ে গেলাম । হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) তার চেতনা ফেরার অপেক্ষা করতে থাকলেন। যোহরের সময় হয়ে গেল, তিনি যোহরের নামায পড়ালেন। তখনও তার হুঁশ ফিরল না। অতঃপর আসর পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন, তখনও হুশ ফিরল না। এরপর মাগরিব পর্যন্ত অপেক্ষা করলেন, মাগরিবের সময় তার হুশ ফিরল।এরপর হযরত উমর (রাযিঃ) সেখান থেকে বিদায় নিলে। —ইবনে আবিদ্দুয়া
মুসলিম ইবনে আসেম (রহঃ) বলেন : আমি, আবদুল আযীয ইবনে সুলায়মান, কিলাব ইবনে জরী এবং সালমান আল আ’রাজ কোন এক তীরে রাত্রি যাপন করলাম । হঠাৎ করে কিলাব (রহঃ) কাঁদতে শুরু করলেন । আমি ভয় পেয়ে গেলাম যে, না জানি মারা যান কি না। তার কাঁদা দেখে আবদুল আযীযও কাঁদতে শুরু করলেন। এরপর সুলায়মানও। সবশেষে আমিও তাদের কান্না দেখে কাঁদতে থাকলাম। কিন্তু আল্লাহর কসম! আমি এ কান্নার কারণ সম্পর্কে মোটেও অবগত ছিলাম না। আমি আবদুল আযীয (রহঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, হে মুহাম্মাদের পিতা! অদ্যরাত তোমাকে কোন জিনিস কাঁদতে বাধ্য করল? তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম! আমি যখন সমুদ্রের তরঙ্গমালা দেখতে পেলাম যে, সমুদ্রে উথাল-পাতাল ঢেউ খেলছে, তখন আমার জাহান্নামের লেলিহান অগ্নিশিখা এবং তার উৎক্ষেপণ ও ভয়াবহ দৃশ্যের কথা মনে পড়ে গেল । এরপর আমি কিলাবকে তার কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলাম । তিনি বললেন, এই দলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ নেই। তাই আমি তার কাঁদা দেখে কাঁদতে থাকলাম যে, তিনি কাঁদতে কাঁদতে নিজেকে কোন অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। তার উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করুন । আমীন
তথ্যসূত্র:
বই :জাহান্নামের বর্ণনা মূল :আল্লামা মুফতী মোহাম্মদ এমদাদুল্লাহ আনওয়ার অনুবাদ :মাওলানা নাজমুল হুদা মিরপুরী