জাহান্নামের প্রসিদ্ধ নাম সমূহ
(১) النار (নার) তথা আগুন :
আল্লাহ তা’আলা বলেন, وَمَنْ يَعْصِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَيَتَعَدَّ حُدُوْدَهُ يُدْخِلْهُ نَارًا خَالِدًا فِيهَا وَلَهُ عَذَابٌ مُهِينٌ –
‘যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যতা করবে এবং তাঁর নির্ধারিত সীমা লংঘন করবে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন; সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং তার জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি ‘ (সূরা নিসা ৪/১৪)।
(২) جهنم (জাহান্নাম) তথা দোযখ :
আল্লাহ তা’আলা বলেন, إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِينَ وَالْكَافِرِيْنَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيْعًا –
‘আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামে মুনাফিক ও কাফিরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (সূরা নিসা ৪/১৪০)।
(৩) جحيم (জাহীম) তথা প্রজ্বলিত আগুন :
আল্লাহ তা’আলা বলেন, وَالَّذِيْنَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ
‘যারা কুফরী করে এবং আমার আয়াত সমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তারা প্রজ্বলিত অগ্নির অধিবাসী’ (সূরা মায়েদা ৫/১০)।
(৪) سعير (সা’ঈর) তথা জ্বলন্ত অগ্নি :
আল্লাহ তা’আলা বলেন, إِنَّ اللَّهَ لَعَنَ الْكَافِرِيْنَ وَأَعَدَّ لَهُمْ سَعِيرًا –
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা কাফিরদের উপর অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন জ্বলন্ত অগ্নি’ (সূরা আহাযাব ৩৩/৬৪)।
(৫) سَقَرَ (সাকার) তথা যন্ত্রণাদায়ক আগুন :
আল্লাহ তা’আলা বলেন, سَأُصْلِيْهِ سَقَرَ – وَمَا أَدْرَاكَ مَا سَقَرُ لاَ تُبْقِي وَلَا تَذَرُ – لَوَّاحَةٌ لِّلْبَشَرِ
‘আমি তাকে নিক্ষেপ করব সাকার-এ, তুমি কি জান সাকার কি? উহা তাদেরকে জীবিত অবস্থায় রাখবে না ও মৃত অবস্থায় ছেড়ে দেবে না। ইহা তো গাত্রচর্ম দগ্ধ করবে’ (সূরা মুদ্দাছছির ৭৪/২৬-২৯)।
তিনি অন্যত্র বলেন, يَوْمَ يُسْحَبُوْنَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ ذُوقُوا مَسَّ سَقَرَ –
‘যেদিন তাদেরকে উপুড় করে মুখের উপর ভর করে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের দিকে, সে দিন বলা হবে, জাহান্নামের যন্ত্রণা আস্বাদন কর’ (সূরা কামার ৫৪/৪৮)।
(৬) الْحُطَمَةُ (হুত্বামাহ) তথা প্রজ্বলিত হুতাশন :
আল্লাহ তা’আলা বলেন, كَلَّا لَيُنْبَذَنَّ فِي الْحُطَمَةِ وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْحُطَمَةُ – نَارُ اللَّهِ الْمُوْقَدَة –
‘কখনও না, সে অবশ্যই নিক্ষিপ্ত হবে হুতামায়; তুমি কি জান হুতামা কি? ইহা আল্লাহর প্রজ্বলিত হুতাশন’ (সূরা হুমাযাহ ১০৪/৪-৬)।
(৭) لَظَى (লাযা) তথা লেলিহান অগ্নি :
আল্লাহ তা’আলা বলেন, كَلَّا إِنَّهَا لَظَى – نَزَّاعَةً لِلشَّوَى تَدْعُوْ مَنْ أَدْبَرَ وَتَوَلَّى –
‘না, কখনই নয়, ইহা তো লেলিহান অগ্নি, যা শরীর হতে চামড়া খসিয়ে দিবে। জাহান্নাম সেই ব্যক্তিকে ডাকবে, যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল’ (সূরা মা’আরিজ ৭০/১৫-১৭)।
(৮) دَارَ الْبَوَارِ (দারুল বাওয়ার) তথা ধ্বংসের ঘর :
আল্লাহ তা’আলা বলেন, أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِيْنَ بَدَّلُوا نِعْمَتَ اللهِ كُفْرًا وَأَحَلُّوْا قَوْمَهُمْ دَارَ الْبَوَارِ جَهَنَّمَ يَصْلَوْنَهَا وَبِئْسَ الْقَرَارُ
‘তুমি কি উহাদেরকে লক্ষ্য কর না? যারা আল্লাহ্র অনুগ্রহের বদলে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং তাদের সম্প্রদায়কে নামিয়ে আনে ধ্বংসের ক্ষেত্রে। জাহান্নামে, যার মধ্যে তারা প্রবেশ করবে, কত নিকৃষ্ট এই আবাসস্থল’ (সূরা ইবরাহীম ১৪/২৮-২৯)।
তথ্যসূত্র:
জাহান্নামের ভয়াভহ আযাব
শরীফুল ইসলাম বিন জয়নাল আবেদীন