ইবাদত

খানা খাওয়ার সুন্নাত ১৭টি

১. খানার শুরুতে ও শেষে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া। -আবু দাউদ, হাদীস নং- ৬৭৬১

২ . দস্তরখানা বিছানো। -বুখারী, হাদীস নং- ৫৩৮৬

৩. بسم الله وعلى بركه الله “আল্লাহর নামে ও তাঁর বরকতে শুরু করলাম” বলে খানা শুরু করা। ভুলে গেলে শেষ লোকমার আগে যখনই মনে হয়— بسم الله اوله واخره বলা। “আল্লাহর নামেই খানা শুরু করলাম ও শেষ করলাম।” -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭৬৯ ; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং- ২৫১০৬

৪. ডান হাতে খাওয়া। -বুখারী, হাদীস নং- ৫৩৭৬, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২০২০

৫. তিন আঙ্গুল দ্বারা খাওয়া। প্রয়োজনে তিনের অধিক ব্যবহার করা যায় । -সহীহ মুসলিম, হক্কানিয়া ২/৩৯০

৬. খানা এক ধরনের হলে এবং এক প্লেটে একাধিক ব্যক্তি খেতে বসলে নিজের সম্মুখ থেকে খাওয়া। -বুখারী, হাদীস নং- ৫৩৭৬

৭. খানার বর্তন, পেয়ালা ইত্যাদি সাফ করে খাওয়া এবং আঙ্গুল ভালো করে চেটে খাওয়া। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২০৩৩

৮. খাদ্যদ্রব্য পড়ে গেলে তা উঠিয়ে খাওয়া। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২০৩৩

৯. হেলান দিয়ে না খাওয়া। -বুখারী, হাদীস নং- ৫৩৯৮

১০. খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে কোনোরূপ দোষ-ত্রুটি না লাগানো। -বুখারী, হাদীস নং- ৫৪০৯

১১. খানার শেষে এই দু’আ পড়া- الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلْنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ

অর্থ : “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য, যিনি আমাদেরকে পানাহার করিয়েছেন এবং আমাদেরকে মুসলমানের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।’ -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৮৫২; জামে তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৪৫৭

১২. আগে দস্তরখানা উঠানো, তারপর নিজে উঠা। ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ৩২৯৫

ইসলাহ : অনেক জায়গায় দেখা যায়, লোকজন বসার আগেই দস্তরখান বিছিয়ে রাখা হয়, এটা ঠিক নয়।

১৩. দস্তরখানা উঠানোর দু’আ- الْحَمْدُ لِلَّهِ حَمْرًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ غَيْرَ مَكْفِي وَلَا مُوَدَّعٍ وَلَا مُسْتَغْنِّى عَنْهُ رَبَّنَا

অর্থ : “আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা; এমন প্রশংসা যা অশেষ, পবিত্র ও বরকতময়। হে আমার প্রভু! এই খাবারকে অপর্যাপ্ত মনে করে বা চিরদিনের জন্য বিদায় দিয়ে বা এর প্রতি বিমুখ হয়ে উঠলাম না ।” –সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ৩২৮৪; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং- ৫২১৭; সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৫৪৫৮

১৪. খানার পর উভয় হাত ধৌত করা। -তিরমিজী, হাদীস নং- ১৮৪৬

১৫. খানার শুরুতে ও শেষে কুলি করা। -বুখারী, হাদীস নং- ৫৪৫৫

১৬. দাঁত খিলাল করা। – জামেউল ফাতওয়া

১৭. কারো নিকট ইফতার করলে কিংবা দাওয়াত খেলে খানা শেষ করার পর এই দু’আ পড়া- اللهم اطعم من اطعمني واسقي من سقاني অর্থ : “হে আল্লাহ! যে আমাকে খানা খাইয়েছে তুমি তাকে খাওয়াও এবং যে আমাকে পান করিয়েছে তুমি তাকে পান করাও।” -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২০৫৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং- ২৩৮০৯

অতঃপর মেযবানকে শুনিয়ে এই দু’আ পড়া- أكل طعامَكُمُ الْاَبْرَارُ وَصَلَتْ عَلَيْكُمُ الْمَلَائِكَةُ وَافْطَرَ عِنْدَكُمُ الصَّائِمُونَ অর্থ : “নেককারগণ তোমাদের খানা খান। ফেরেশতারা তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং তোমাদের কাছে রোযাদাররা ইফতার করুন।” -মুসনাদে আহমাদ (৩/১৩৮), হাদীস নং ১২৪০৬; সুনানে আবু দাউদ (২/৩৯৫), হাদীস নং ৩৮৫৬; মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং ১৯৪২৫; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস নং ৮৩৯৪

তথ্যসূত্রঃ

কিতাবঃ তা’লীমুস সুন্নাহ ও আমালে প্রচলিত ভুল সংশোধন সংকলকঃ অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান চৌধুরী খলীফা – মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক রহঃ

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *