ইবাদত

পানি পান করার সুন্নাতসমূহ

১. পানির পেয়ালা ডান হাতে ধরা। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২০২০

২. বসে পান করা, বসতে অসুবিধা না হলে দাঁড়িয়ে পান না করা। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২০২৪

৩. বিসমিল্লাহ বলে পান করা এবং পান করে আলহামদুলিল্লাহ বলা। -তাবরানী আওসাত, হাদীস নং- ৬৪৫২

৪. সোনা/রুপার পাত্র ব্যবহার না করা।ৎ

৫. পানির পাত্রে ফুঁক না দেয়া।

৬. কমপক্ষে তিন শ্বাসে পান করা। শ্বাস ছাড়ার সময় পেয়ালা থেকে মুখ সরিয়ে নিবে। -বুখারী, হাদীস নং- ৫৬৩১

৭.পাত্রের ভাঙ্গা দিক দিয়ে পান না করা। -আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭২২

৮. পাত্র যদি এমন হয়, যার ভিতর নযরে আসে না, সেটার মুখে মুখ লাগিয়ে পান না করা। কারণ তাতে কোনো বিষাক্ত প্রাণি বা ক্ষতিকর কোনো বস্তু থাকতে পারে। -সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৫৬২৬

৯. পানি পান করার পর এই দু’আ পড়া- الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي سَقَانَا عَنْ بًا فُرَانًا بِرَحْمَتِهِ وَلَمْ يَجْعَلُهُ مِلْحًا أُجَاجًا بِذُنُوبِنَا

অর্থ : “সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে সুস্বাদু সুমিষ্ট পানি পান করিয়েছেন, এবং আমাদের গুনাহ’র কারণে পানিকে লবণাক্ত করেননি।”

১০. পানীয় দ্রব্য পান করে কাউকে দিতে হলে ডান দিকের ব্যক্তিকে আগে দেয়া এবং এই ধারাবাহিকতা অনুযায়ী শেষ করা। -বুখারী, হা.নং- ৫৬১৯

১১. দুধ পান করার পূর্বে এই দু’আ পড়া- اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ অর্থ : “হে আল্লাহ! আপনি আমাদের এই পানীয়তে বরকত দিন এবং আমাদেরকে-এর চেয়ে উত্তম বানান।” -জামে তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৪৫৫; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭৩২; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ৩৩২২; শুআবুল ঈমান বায়হাকী, হাদীস নং- ৫৫৫৬

দুধ ব্যতীত অন্য কোনো পানীয় দ্রব্য হলে এই দু’আ পড়বে- اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا خَيْرًا مِنْهُ.

১২. যে ব্যক্তি পান করাবে সে সবার শেষে পান করবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬৮১

১৩. যমযমের পানি কিবলামুখী হয়ে এ দু’আ পড়ে পান করা- اللهُمَّ إِنِّي أَسْتَلكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا وَاسِعَاوَشِفَاءٌ مِّنْ كُلِّ دَاءٍ অর্থ : “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে উপকারী ইলম, প্রশস্ত রিযিক ও সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি প্রার্থনা করছি।” -মুসতাদরাকে হাকেম, ১/৪৭৩ হাদীস নং- ১৭৩৯

১৪. উযূর অবশিষ্ট পানি হাতে নিয়ে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পান করা সুন্নাত। এতে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ হয় । -শামী ১/১২৯, বুখারী, হাদীস নং- ৫৬২৬

১৫. মশক, কলসির মুখ, বদনার নল দিয়ে পানি পান করতে হাদীসে নিষেধ আছে। -সহীহ বুখারী

১৬. কাঁধভাঙ্গা বর্তন দিয়ে পানি পান করবে না। -সুনানে আবু দাউদ

তথ্যসূত্রঃ

কিতাবঃ তা’লীমুস সুন্নাহ ও আমালে প্রচলিত ভুল সংশোধন সংকলকঃ অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান চৌধুরী খলীফা – মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক রহঃ

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *