প্রভিডেন্ট ফান্ডের শরয়ী বিধান ও যাকাত প্রসঙ্গ
ভবিষ্যৎ তহবিল যা সরকারী বা বেসরকারী কর্মচারীদের মাসিক বেতন থেকে তার ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সরকার বা কোম্পানি কর্তৃক নির্দিষ্ট হারে বেতনের কর্তিত অংশ ও তার উপর বর্ধিত অংশের সমন্বিত তহবিলকে প্রভিডেন্ট ফান্ড বলে। সরকারী ও বেসরকারী দুই ধরনের ফান্ড রয়েছে। তবে সরকারী প্রভিডেন্ট ফান্ডকে সংক্ষেপে এ. চ. ঋও বলে।
প্রভিডেন্ট ফান্ড দুই প্রকারঃ ১. বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড ২. স্বেচ্ছায় প্রণোদিত প্রভিডেন্ট ফান্ড
১. বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ডঃ
যে বেতনাংশ কেটে রাখার ব্যাপারে কর্মচারীর কোনো ইখতিয়ার নেই। সরকার বা কোম্পানি বাধ্যতামূলকভাবে নিজস্ব রুল বা নিয়মনীতি অনুযায়ী কর্মচারীর নামে তহবিলে জমা রাখে। এ ফান্ডের অর্থের তিনটি অংশ রয়েছে। ১. মূল বেতনাংশ । ২. সরকার বা কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রতিমাসে বর্ধিত অংশ। ৩. উপরোক্ত অংশ দুটির উপর বছরান্তে শতকরা হারে বর্ধিত অংশ। শরী’আতে এ তিন প্রকারের টাকার হুকুমএকই। অর্থাৎ এ সকল টাকা মূলত বেতনের অংশ। যদিও সুদ বা অন্য কোন নামে দেয়া হয়, মূলত এগুলো সুদ নয়। তাই কর্মচারীর জন্য তা গ্রহণ করা ও স্বীয় কাজে ব্যবহার করা জায়েয।
২. স্বেচ্ছা প্রণোদিত প্রভিডেন্ট ফান্ডঃ
সরকার বা কোম্পানির পক্ষ থেকে বাধ্যবাধকতা নেই। বরং কর্মচারীর স্বীয় ইখতিয়ারে নির্ধারিত একটি অংশ বেতন থেকে কেটে রাখা হয়। এ ফান্ডের উপর ভিত্তি করে সুদের নামে যা কিছু দেয়া হয়, তা থেকে বিরত থাকা উচিৎ। কেননা এর সাথে সুদের সাদৃশ্যতা রয়েছে। আর যদি কর্মচারী গ্রহণ করে ফেলে, তাহলে সওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করে দিবে। এমনটি মুক্তী শফী রাহ. স্বীয় কিতাবে উল্লেখ করেছেন।
একটি সন্দেহের অবসান
প্রভিডেন্ট ফান্ড মূলত কর্মচারীর পরিশ্রমের বিনিময়ের একটি অংশ যা কর্মচারী এখনও পর্যন্ত উসুল করেনি। অতএব সরকারের যিম্মায় তা কর্মচারীর ঋণ হিসেবে গণ্য হবে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত কর্মচারী নিজে বা তার উকিলের মাধ্যমে তা হস্তগত না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা তার মালিকানাধীন নয়। কেননা শ্রমিক যতক্ষণ পর্যন্ত তার পরিশ্রমের বিনিময় হস্তগত না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা তার মালিকানাধীন হয় না। বরং তা শুধুমাত্র তার একটি হক। এ ব্যাপারে আল্লামা ইবনে নুজাইম আল-মিস্ত্রী রাহ. স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন- “ইজারা চুক্তি হলেই (শ্রমিকের জন্য) পারিশ্রমিক আবশ্যক নয়। বরং চারটি উপায়ের কোনো একটি উপায়ে পারিশ্রমিকের অধিকার সাব্যস্ত হয়।
১. কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই মালিক কর্তৃক শুরুতেই পারিশ্রমিক আদায় করা। ২. চুক্তির সময় অগ্রিম প্রদানের শর্ত করে থাকলে। ৩. চুক্তিকৃত কাজ সমাধা হলে । ৪. চুক্তিকৃত বস্তুকে শ্রমিক কর্তৃক এমন স্থানে হস্তান্তর করা, যেখান থেকে মালিক পণ্যকে কাজে লাগাতে পারে।
ইমাম কুদূরী রাহ.ও স্বীয় কিতাব মুখতাসারুল কুদূরীতে এমনটি উল্লেখ করেছেন। কেননা যদি ঋণ হতো, তাহলে এ কথা বলা যেত না যে, শ্রমিক মজুরী হস্তগত করার পূর্বেই সে তার মালিক হয়ে গেছে এবং শ্রমিকের মজুরী হস্তগত করার পূর্বে তাতে তার হক সাব্যস্ত হয়েছে। তাই এখন সে মালিকের নিকট মজুরী চাইতে পারবে এবং তার জন্য মালিক ও মালিকের পণ্য আটকে রাখার অধিকার থাকবে। আর যদি মালিক তাকে অগ্রিম আদায় করে না দেয়, তবে সে চুক্তি বাতিলও করতে পারবে। আল বাহরুর রায়েক:৭/৫১১,মাকতাবায়ে যাকারিয়া)
সুতরাং উপরোক্ত ভাষ্যের মাধ্যমে এ কথা প্রতীয়মান হয় যে, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা কর্মচারীর মালিকানা নয় এবং এতে তার কোনো হস্তক্ষেপ নেই। অতএব সরকার এ টাকায় যে ধরনের মুআমালা করুক না কেন, তা সরকারের মালিকানা অংশের মধ্যে করেছে। কর্মচারীর এর মধ্যে কোন অংশ নেই। ফলে সরকার যখন নিজে এ টাকা কর্মচারীকে প্রদান করে, তখন তার মধ্যে নিজের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত কিছু সংযোজন করে প্রদান করলে সেটা সুদ হবে না।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিগত দিনের যাকাত
প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা সরকার বা কোম্পানির নিকট অপরিশোধিত ঋণ যার পাওনাদার উক্ত কর্মচারী। ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ রাহ. এর মতে যে কোনো ধরনের ঋণের উপর যাকাত ওয়াজিব । তাই এ ফান্ডের টাকার উপরও যাকাত ওয়াজিব। অতএব, যখন এ ফান্ডের কর্তিত বেতনাংশ আদায় হবে, তখন বিগত বছরের যাকাত আদায় করতে হবে। তবে ইমাম আবু হানীফা রাহ. এর মতে ঋণ তিন প্রকার। যথা:
- দাইনে কবী (শক্তিশালী ঋণ) অর্থাৎ এমন ঋণ, যা ব্যবসার মালের বিনিময়ে কারো যিম্মায় আবশ্যক হয়। যেমন: রাশেদ খালেদের নিকট ব্যবসার কিছু মাল বিক্রি করেছে। অতএব, খালেদের জন্য এর মূল্য আদায় করা ওয়াজিব। তাই যখন চল্লিশ দিরহাম (এক দিরহাম=৩৪ রতি, অতএব ৩৪ ৪০=১৩৬০ রতি) পরিমাণ প্রাপকের হস্তগত হবে, তখন এ ধরনের ঋণের উপর যাকাত আদায় করা ওয়াজিব।
- দাইনে যায়ীফ (দুর্বল ঋণ) অর্থাৎ যা কোনো ব্যক্তি কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়া পাওনাদার হয়। যেমন: উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি। কিংবা কোন কিছুর বিনিময়ে অর্জিত হলেও কোনো মালের বিনিময়ে নয়। যেমন দেন- মোহরের পাওনা টাকা, এ ধরনের ঋণে যাকাত ওয়াজিব হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত হস্তগত হওয়ার পর এক বছর অতিবাহিত না হয়।
- দাইনে মুতাওয়াসিত (মধ্যম ঋণ) অর্থাৎ যা ব্যবসায়িক মাল ছাড়া অন্য মালের বিনিময়ে আবশ্যক হয়। যেমন তারেক স্বীয় পরিধেয় কাপড় ওমরের নিকট বিক্রি করেছে। অতএব, উক্ত কাপড়ের বিনিময়ে প্রাপ্য মূল্য হলো মধ্যম ঋণ। এধরনের পাওনা টাকায় বিশুদ্ধ বর্ণনানুসারে ইমাম আবু হানিফা রাহ. এর নিকট বিগত দিনের যাকাত ওয়াজিব হবে না। বরং হস্তগত হওয়ার পর এর উপর এক বছর অতিবাহিত হলে যাকাত ওয়াজিব হবে। আর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা যেহেতু উপরোক্ত তিন প্রকারের মধ্যে দাইনে যায়ীফের অন্তর্ভুক্ত হওয়াটাই রাজেহ ও অধিক যুক্তিযুক্ত, তাই এ ফান্ডের টাকার উপর বিগত দিনের যাকাত ওয়াজিব হবে না। ফাওয়া এর উপরই। তবে সাহেবাইনের (আবু ইউসূফ ও মুহাম্মদ রাহ.) মতের উপর আমল করা উত্তম।
বাধ্যতামূলক ফান্ডে স্বেচ্ছায় অতিরিক্ত টাকা রাখা
প্রভিডেন্ট ফান্ডের যে দুই প্রকারের পরিচয় সম্পর্কে কিছুক্ষণ পূর্বে আলোকপাত করা হয়েছে, সে দুই প্রকার ফান্ডের প্রথম প্রকার (বাধ্যতামূলক ফান্ডের) ক্ষেত্রে বিগত দিনের যাকাত ওয়াজিব হবে না । তবে দ্বিতীয় প্রকার (স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ফান্ডের) ক্ষেত্রে বিগত দিনের যাকাত ওয়াজিব হবে এবং সরকার বা কোম্পানির পক্ষ থেকে মাসিক বর্ধিত অংশ ও বাৎসরিক সুদের নামে যা প্রদান করা হয়, তা বাধ্যতামূলক ফান্ডের কর্মচারী গ্রহণ করতে পারবে। ইখতিয়ারী ফান্ডের কর্মচারী সুদের সাথে সাদৃশ্য থাকার কারণে গ্রহণ না করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে বাধ্যতামূলক ফান্ডের কর্মচারীদের মধ্যে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় আরো কিছু টাকা বাড়িয়ে রাখার ব্যাপারে কোম্পানিকে আবেদন করে থাকে। যেমন ধরুন, কোম্পানি ৯% কেটে রাখে, কিন্তু সে আরো ৪১% কেটে রাখার ব্যাপারে আবেদন করে। সে হিসেবে প্রতিমাসে ৫০% কাটা হয়। ফলে অতিরিক্ত ৪১% ও নির্ধারিত ৯% এর সাথে যোগ হয়ে একসাথে সম্পূর্ণ টাকা পাবে। এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে হুকুম ভিন্ন হবে। অর্থাৎ অতিরিক্ত ৪১% এর মধ্যে যাকাতের বিধান চালু হবে, যদিও হস্তগত না হয়। যেমন কেউ স্বেচ্ছায় কাউকে ঋণ দেয়ার পর তা হস্তগত না হলেও তার উপর যাকাত ওয়াজিব হয়। এমনিভাবে স্বেচ্ছায় কারো নিকট আমানত রাখার পর হস্তগত না হলেও তার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে। যেহেতু তা তারই মালিকানা এবং সে স্বেচ্ছায় আমানত রেখেছে। ঠিক তদ্রূপভাবে এখানেও ৪১%এর উপর যাকাত আসবে এবং এর উপর সুদের নামে যে টাকা দেয়া হবে তা সুদ হিসেবেই বিবেচিত হবে। সুতরাং তা গ্রহণ করা যাবে না ।(ফাতাওয়ায়ে রহীমিয়া,৭/১৫২,মাকতাবায়ে যাকারিয়া)
প্রভিডেন্ট ফান্ডের যাকাত সংক্রান্ত আরো কিছু মাসআলা
পূর্বে প্রভিডেন্ট ফান্ডের শুধুমাত্র বিগত দিনের যাকাত ওয়াজিব হওয়া বা না হওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। তবে যদি এ ফান্ডের টাকা কর্মচারীর হস্তগত হওয়ার পর বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে চুরি বা খরচ হয়, কিংবা কর্মচারী এ টাকাগুলোকে কোনো বীমা কোম্পানি, ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করে ইত্যাদি, সেগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত হুকুম নিম্নে তুলে ধরা হলো ।
- যদি কোনো কর্মচারী নিজের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, বোর্ড বা ব্যবসায়িক কোম্পানিকে উক্ত ফান্ডের টাকা হস্তান্তর করে, তখন ব্যাংক বা কোম্পানি কর্মচারীর উকিল হবে। আর শরী’আতে উকিলের কব্জা মুআক্কিলের কব্জার হুকুমে, তাই হস্তান্তর করার পর বছর পূর্ণ হলে যাকাত দিতে হবে।
- যদি কর্মচারী ফান্ডের টাকা কোনো ব্যবসায়িক কোম্পানিকে এ শর্তে দেয় যে, তারা তা ব্যবসার কাজে লাগাবে এবং সে লাভ ক্ষতির মধ্যে অংশীদার হবে। তাহলে হস্তান্তর করার পর থেকেই এর উপর যাকাতের বিধান চালু হবে এবং প্রত্যেক বছরের যাকাত কর্মচারীর উপর নিয়মানুসারে ওয়াজিব হবে।
- যদি পূর্ব থেকে নেসাবের মালিক না হয়ে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেয়ে নেসাবের মালিক হয়, সেক্ষেত্রে টাকা গ্রহণ করার দিন থেকে নিয়ে চন্দ্র মাস অনুসারে পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হলে যাকাত ওয়াজিব হবে, যদিও বছরের মাঝে নেসাবে কিছু ঘাটতি দেখা দেয়। এবং বছর শেষ হওয়ার পূর্বেই নেসাব পুনরায় পূর্ণ হয়ে যায়। আর যদি বছর শেষ হওয়ার পূর্বে পুনরায় নেসাব পূর্ণ না হয়, তাহলে যাকাত ওয়াজিব হবে না।
- কর্মচারী পূর্ব থেকে নেসাবের মালিক হয়ে থাকলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা নেসাবের চেয়ে কম বা বেশী হাসিল হওয়ার পর তার উপর এক বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়। বরং পূর্ব থেকে যে মাল তার নিকট রয়েছে এর উপর যদি পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হয় (যদিও বছরের মাঝে নেসাবে ঘাটতি দেখা দেয়, কিন্তু বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়) তাহলে প্রভিডেন্ট ফান্ডের উসূলকৃত টাকার উপরও যাকাত ওয়াজিব হবে এই নতুন টাকার উপর এক দিন অতিবাহিত হোক না কেন।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের মিরাছ
প্রভিডেন্ট ফান্ডের যে অংশ কর্মচারীর বেতন থেকে কর্তন করা হয়েছে, কর্মচারীর মৃত্যুর পর সে অংশে এবং মাসিক বর্ধিত ও বাৎসরিক ইন্টারেস্ট হিসেবে যা জমা করা হয়েছে, সবগুলোর মধ্যে ওয়ারিশদের জন্য মিরাছের হুকুম জারী হবে। কেননা এ অংশের অর্থ তার শ্রমের অপরিশোধিত বিনিময়, যা তার মৃত্যুর পর অর্জিত হবে। সুতরাং তার মৃত্যুর পর প্রভিডেন্ট ফান্ডের সম্পূর্ণ টাকা তার ওয়ারিশদের মাঝে শর’য়ী বণ্টননীতি মোতাবেক বন্টিতহবে।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের ব্যাপারে আশরাফ আলী থানভী রাহ. এর সর্বশেষ ফাতওয়া
১৩৬২ হিজরীতে যখন আশরাফ আলী থানভী রাহ. এর থানাভবনে মুফতী শফী রাহ. প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিগত দিনের যাকাতের ব্যাপারে আলোচনা করেন। সে সময় তিনি মৃত্যুশয্যায় ছিলেন, এর ৬ মাস পর তিনি ইন্তেকাল করেন। তখন আশরাফ আলী থানভী রাহ. এ মাসআলাটি গভীরভাবে গবেষণা করার জন্য উপস্থিত ওলামায়ে কেরামকে পরামর্শ দেন। অতঃপর মুফ্তি শফী রাহ. এ ব্যাপারে গবেষণা করে কিছু তথ্য তাঁর সামনে পেশ করেন, যার সারাংশ হলো, বিগত দিনের যাকাত ওয়াজিব হবে না। তার এ তথ্যবহুল লেখা দেখে আশরাফ আলী থানভী রাহ. অত্যন্ত খুশি হন এবং তার গবেষণালব্ধ বিষয়টিকে এমদাদুল ফাতাওয়ার অংশ হিসেবে সাব্যস্ত করেন। পাশাপাশি তিনি স্বীয় মত (বিগত দিনের যাকাত ওয়াজিব হবে) থেকে ফিরে আসেন।