সবচেয়ে বড় কৃপণ সে, যে সালাম দিতে কৃপণতা করে’
কারো সঙ্গে দেখা হলে আগে সালাম দেওয়া সুন্নত। সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। আর কেউ যদি সালাম না দেয় তাহলে হাদিসে তাকে সবচেয়ে বড় কৃপণ বলা হয়েছে। তাই ধন-সম্পদের কৃপণতার চেয়েও বড় কৃপণতা থেকে বাঁচতে হলে বেশি বেশি সালাম দিতে হবে।
উল্লেখ্য, মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা সৎ কাজের অন্তর্ভুক্ত। পরস্পর সাক্ষাতে সালাম দিলে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করাও সহজ হয়। এছাড়া সালাম দিলে পরস্পর সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বাড়ে। অহংকার মুক্ত থাকা যায় ও বিনয় প্রকাশ পায়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় চোর সে, যে নামাজ চুরি করে এবং সবচেয়ে বড় কৃপণ সে, যে সালাম দিতে কৃপণতা করে’। (সহিহুল জামে ৯৬৬)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, إِنَّ أَعْجَزَ النَّاسِ مَنْ عَجَزَ فِي الدُّعَاءِ، وَأَبْخَلَ النَّاسِ مَنْ بَخِلَ بِالسَّلَامِ
অর্থ: ‘সবচেয়ে বড় অক্ষম সে, যে দোয়া করতে অক্ষমতা প্রকাশ করে এবং সবচেয়ে বড় কৃপণ সে, যে সালাম দিতে কৃপণতা করে’। (সহিহুল জামে’ ৯৬৬)
মানুষকে আনন্দিত করার একটি বিশেষ উপায় হলো ছোট-বড়-নির্বিশেষে সবার সঙ্গে সর্বদা হাসিমুখে কথা বলা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রতিটি ভালো কাজ সদকাস্বরূপ। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা এবং তোমার বালতির পানি দিয়ে তোমার ভাইয়ের পাত্র ভর্তি করে দেয়াও নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত’। (তিরমিজি ১৯৭০)
আরেক হাদিসে এসেছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সদকাস্বরূপ’। (তিরমিজি ১৯৫৬)
ছোট-বড়, পরিচিত-অপরিচিত-নির্বিশেষে সব মুসলিমকে সালাম দেওয়া ইসলামি শিষ্টাচারের অন্তর্ভুক্ত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ; তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যে পর্যন্ত না তোমরা ঈমানদার হবে। আর ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদের এমন একটি কাজের কথা বলে দেব না, যা করলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? সে কাজটি হলো তোমরা একে অপরের মাঝে সালামের প্রসার ঘটাও’। (মুসলিম ৫৪)