ইবাদত

উযূর ফযীলত, ফরয,সুন্নাত ইত্যাদি

উযূর ফযীলত

হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ঈমানদার উযূ করবে, সে যখন মুখ ধৌত করবে তখন পানির ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে বা শেষ ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে চোখের দ্বারা যতো (ছগীরা) গুনাহ হয়েছে সব মাফ হয়ে যাবে। তারপর যখন দু’হাত কনুই পর্যন্ত ধুবে, তখন পানির শেষ ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে হাতের দ্বারা যতো (ছগীরা) গুনাহ হয়েছে সব মাফ হয়ে যাবে। তারপর যখন উভয় পা ধৌত করবে তখন পানির শেষ ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে পায়ের দ্বারা যতো ছগীরা গুনাহ হয়েছে সব মাফ হয়ে যাবে এবং সে গুনাহ থেকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র হয়ে যাবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২৪৪; জামে তিরমিযী, হাদীস নং- ২; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং- ৪; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং- ১০৪০: আবুল ঈমান বায়হাকী, হাদীস নং- ২৪৭৬

হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি উযূ শুরু করার সময় বিসমিল্লাহ পড়বে এবং উবু শেষ করে এই দু’আ পড়বে- أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ اللَّهُم اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ.

তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেয়া হবে। সে ইচ্ছামতো যে কোনো দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২৩৪; জামে তিরমিযী, হাদীস নং- ৫৫

আর যদি এরূপ উযূ করার পর অন্তরের একাগ্রতার সঙ্গে দুই রাকাআত তাহিয়্যাতুল উযূ পড়ে, তাহলে নামায থেকে ফারেগ হওয়ার পর তার সমস্ত সগীরা গুনাহ মাফ করে দেয়া হয় এবং সে নবজাত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। —বেহেশতী জেওর উর্দু ১/৯২

যে উযূ করার সময় দুরূদ শরীফ পাঠ করবে না, তার উযূ কামেল হবে না। -বেহেশতী জেওর উর্দু : ১/৯২

উযূর ফরয ৪টি

১. সমস্ত মুখ ধোয়া। -সূরা মায়িদাহ: ৬

২. উভয় হাত কনুইসহ ধোয়া। -সূরা মায়িদাহ : ৬

৩. মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসাহ করা। -সূরা মায়িদাহ : ৬

৪. উভয় পা টাখনুসহ ধৌত করা। -সূরা মায়িদাহ : ৬

বি. দ্র. উপরোক্ত চারটি কাজের কোনো একটি না করলে বা এর মধ্যে একচুল পরিমাণও শুকনা থাকলে উযূ সহীহ হবে না। -শামী ১/৯১

উযূর সুন্নাতসমূহ

উযূর সুন্নাত ১৮টি। উযূতে এই সুন্নাতগুলো যত্নের সঙ্গে আদায় করলে উযূ পরিপূর্ণ হয়, অন্যথায় উযূ অসম্পূর্ণ থাকে।

১. উযূ দ্বারা পবিত্রতা হাসিল, নামায দুরস্ত হওয়া এবং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের নিয়ত করা। -সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ৬৬৮৯

২. بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ বলে উযূ আরম্ভ করা। -নাসাঈ, হাদীস নং- ৭৮

৩. উভয় হাত পৃথক পৃথক ভাবে কব্জি-সহ তিন বার ধৌত করা। তবে একসঙ্গে ধোয়াও জায়েষ। -ফাতাওয়ায়ে আলমগীরি খণ্ড ১ : পৃষ্ঠা : ৬, শরহুল ইনায়া ১/১৯, বুখারী, হাদীস নং- ১৫৯

৪. মিসওয়াক করা। মিসওয়াক না থাকলে আঙ্গুল দ্বারা উত্তমরূপে দাঁত পরিষ্কার করে নিবে। -মুসনাদে আহমদ হাদীস নং- ৯২২৬, মারাকিল ফালাহ

৫. গড়গড়া করে তিনবার কুলি করা। তবে রোযা রাখা অবস্থায় গড়গড়া করবে না। -সুনানে আবু দাউদ

৬. তিনবার নাকের ভিতর পানি দেয়া। বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল দ্বারা নাকের ভিতরের অংশ পরিষ্কার করা (রোযাদার না হলে নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি টেনে নেয়া এবং ঝেড়ে ফেলা উত্তম)। -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং- ১০৭৭

৭. উযূর অঙ্গসমূহ তিনবার করে ধোয়া। -সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ১৫৯

৮. মুখমণ্ডল ধোয়ার সময় এক হাতে পানি নিয়ে থুতনিতে লাগিয়ে ঘষা তারপর হাতের তালু বাইরের দিকে রেখে গলার দিক থেকে দাঁড়ি খিলাল করা। -সুনানে আবু দাউদ, শরহে বেকায়া

৯. কনুইসহ হাত এবং টাখনুসহ পা ধোয়ার সময় আঙ্গুলসমূহ খিলাল করা। -জামে তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৮

উল্লেখ্য আঙ্গুল সমূহ খিলাল করার তরীকা হলো, এক হাতের আঙ্গুলের পেট অপর হাতের আঙ্গুল সমূহের ফাঁকে রেখে খিলাল করা। আর ডান পায়ের কনিষ্ঠ থেকে বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল দ্বারা খিলাল করা। -মারিফুস সুনান ১/২৪৫

১০. সম্পূর্ণ মাথা একবার মাসাহ করা। —শামী, জামে তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৪

১১. উভয় কানের ভিতর ও বাহির মাসাহ করা ৷ -নাসাঈ, জামে তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৩, আবু দাউদ, হাদীস নং- ১৩৫

১২. উযূর অঙ্গসমূহ উত্তমরূপে মেজে-ঘষে ধৌত করা। —মারাকিল ফালাহ, মুস্তাদরাক, হাদীস নং- ৫৭৬

১৩. প্রত্যেক অঙ্গ পর পর ধোয়া (এক অঙ্গ শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বেই অন্য অঙ্গ ধোয়া)। -মারাকিল ফালাহ ৪০

১৪. উযূর অঙ্গসমূহ ধারাবাহিকভাবে ধোয়া। —হেদায়া ১ম খণ্ড, আবু দাউদ, হাদীস নং- ১৩৭

১৫. ডান দিক থেকে উযূর অঙ্গসমূহ ধোয়া আরম্ভ করা। -সহীহ বুখারী ১৬৮

১৬. মাথা মাসাহ কপাল থেকে এবং হাত-পা ধোয়া আঙ্গুলের দিক থেকে শুরু করা। -মারাকিল ফালাহ : ৭৪

১৭. গর্দানের পেছন অংশ হাতের আঙ্গুলের পীঠ দ্বারা মাসাহ করা (গর্দানের ডান-বাম পাশ ও গলা মাসাহ করা নিষেধ)। -মারাকিল ফালাহ

১৮. উযূর শেষে কালিমায়ে শাহাদাত ও এই দু’আ পড়া— أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ اللَّهُم اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ. سُبْحَانَكَ اللّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ اسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ.

উযূর আদবসমূহ

১. প্রত্যেকটা অঙ্গ ধৌত করার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ পড়া ।

২. ওয়াক্ত আসার আগে উযূ করা। (মাযূরদের মাসআলা ভিন্ন )

৩. উঁচু স্থানে বসে উযূ করা।

৪. পবিত্র স্থানে বসে উযূ করা ৷

৫. কেবলামুখী হয়ে উযূ করা ৷

৬. বিনা ওযরে উযূর সময় অন্যের সাহায্য না নেয়া ৷

৭. উযূতে ব্যবহৃত পানি নাপাক জায়গায় না ফেলানো ৷

৮. ডান হাতে পানি নিয়ে তার সঙ্গে বাম হাত মিলিয়ে কপালের উপরিভাগ থেকে নিচের দিকে ধোয়া আরম্ভ করা।

৯. মুখে পানি আস্তে লাগানো। জোরে পানি মারা মাকরূহ।

১০. দাঁড়ি পাতলা হলে চামড়াতে পানি পৌঁছাতে হবে। আর ঘন দাঁড়ি হলে মুখের বেষ্টনীর ভিতরের দাঁড়ি ধুয়ে ফেলতে হবে, চামড়াতে পানি পৌঁছানোর প্রয়োজন নেই। দাঁড়ির উপর থেকে নযর করলে যদি নিচের চামড়ার রং বুঝা যায় তাহলে দাঁড়ি পাতলা, অন্যথায় ঘন বলে গণ্য হবে।

১১. চেহারার বেষ্টনীর বাইরের ঝুলন্ত দাঁড়ি মাসাহ করা সুন্নাত।

১২. হাতে আংটি থাকলে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে ভিতরে পানি প্রবেশ করানো। আংটি সঙ্কীর্ণ হলেও এরূপ করা আবশ্যক। মহিলাদের নাকের অলঙ্কার, চুড়ি ইত্যাদির বেলায়ও এই বিধান প্রযোজ্য ৷

১৩. মাথা মাসাহের জন্য নতুন পানি নেয়া উত্তম ৷

১৪. উভয় হাত দ্বারা মাথা মাসাহ করা সুন্নাত। এক হাত দ্বারা মাসাহ করা সুন্নাতের খেলাফ।

১৫. উযূর প্রয়োজন মোতাবেক পানি ব্যবহার করা, কম-বেশি ব্যবহার না করা। আজকাল ট্যাপে উযূ করতে গেলে প্রচুর পানির অপচয় হয়।

তাই সম্ভব হলে কোনো পাত্রে পানি নিয়ে উযূ করবে। অন্যথায় ট্যাপের পানি হালকাভাবে ছেড়ে উযূ করবে। নতুবা হাতের অঞ্জলী (তালু) ) ভরে ট্যাপ বন্ধ করে পানি ব্যবহার করবে।

১৬. রোযাদার না হলে উযূর অবশিষ্ট পানি বা তা থেকে কিছু পান করা মুস্তাহাব। এর মধ্যে অনেক রোগের শেফা আছে। এ পানি কেবলামুখী হয়ে এবং দাঁড়িয়ে পান করা উত্তম। তবে বসেও পান করা যায়। কোনো বর্ণনায় এটাও আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উযূর পর লুঙ্গিতে পানি ছিটিয়ে দিতেন । —ফাতহুল কাদীর, তুহফাতুল আহওয়াজী, তুহফাতুল আলমায়ী

১৭. উযূর মধ্যে কালেমায়ে শাহাদাত, দুরূদ শরীফ ও এই দু’আ পড়া- اللهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي وَوَسَعْ لِي فِي دَارِي وَبَارِكْ لِي فِي رِزْقِ -আসালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ লি ইবনিস সুন্নী, হাদীস নং- ২৮

১৮. কাপড় বা রুমাল দ্বারা অযুর অঙ্গগুলো মুছে নেয়া।

১৯. অযুর শেষে তাশাহহুদ এবং দুআয়ে মাছুরা পড়া।

২০. অযুর শেষে সময় থাকলে দু’রাকা’আত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায পড়া।

অযুতে নিষিদ্ধ কাজসমূহ

১. অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা। ফতহুল কাদীর ৩৬

২. অতি অল্প পানি ব্যবহার করা।

৩. অযুর মাঝে দুনিয়াবী কথা বার্তা বলা। -ফতহুল কাদীর ৩৬

৪. অঙ্গগুলোকে ৩ বারের বেশি ধোয়া। -ফতহুল কাদীর ৩৬

৫. ডান হাত দ্বারা নাক পরিষ্কার করা।

৬. সর্বদা পূর্ণ মাথা মাছাহ না করে মাথার কিছু অংশ মাছাহ করা।

৭. চুরি বা ছিনতাইকৃত পানি দ্বারা অযু করা।

৮. বিনা প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য নেয়া। –ত্বহত্বাবী ৪৫

৯. হাত মুখে লেগে থাকা পানি ঝেড়ে ফেলা। -শামী ১৩১

১০. রোদের তাপে গরম হওয়া পানি দ্বারা অযু করা। -শামায়েলে কুবরা ৫/১৫০-১৫১

উযূ আমলী মশকের মাধ্যমে শিখতে হবে

হযরত উসমান রাযি. উযূর বর্ণনা দেয়ার পর বলেন, আমি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ঠিক এমনিভাবে উযূ করতে দেখেছি। -সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম

উযূর ক্ষেত্রে তিনি বলেননি যে, ‘হে লোক সকল! যেভাবে তোমাদের মন চায় সেভাবে তোমরা উযূ করে নাও। বরং উযূর নির্দেশও দিয়েছেন এবং উযু করেও দেখিয়েছেন। একবার তিনি উযূ করে দেখালেন, প্রতিটি অঙ্গ একবার করে ধৌত করলেন এবং বললেন, -এই হলো উযূ। যা ব্যতীত আল্লাহ নামায কবুল করেন না।অঙ্গসমূহ যদি একবার করেও না ধোয়া হয় তাহলে উযূ হবে না। অতঃপর তিনি দ্বিতীয়বার উযূ করলেন। এবার প্রতিটি অঙ্গ দুইবার করে ধৌত করলেন এবং বললেন, এই হলো উযূ, যা উত্তম পদ্ধতির উযূ। এরপর তিনি তৃতীয়বার উযূ করে দেখালেন। এবার অঙ্গসমূহকে তিনবার করে ধৌত করলেন এবং বললেন-এই হলো আমার এবং আমার পূর্ববর্তী নবী আ. গণের উযূ। তাঁরা এভাবেই উযূ করতেন ।

সুতরাং তিনি নির্দেশ দেননি যে, উযূ কর। (অর্থাৎ শুধু নির্দেশ দিয়ে ক্ষান্ত হননি, নমুনা উপস্থাপন করেছেন) অর্থাৎ ইলমের ক্ষেত্রে তোমাদের যেমন ইচ্ছামতো মতামত উপস্থাপনের স্বাধীনতা নেই, আমলের ক্ষেত্রেও তোমাদের স্বাধীনতা নেই যে, যেমন ইচ্ছা নমুনা গ্রহণ করবে। এ ক্ষেত্রেও আল্লাহ তা’আলার রাসূলের আনুগত্য করতে হবে।

শুধু উপরোক্ত বর্ণনা পড়ে সুন্নাত তরীকায় উযূ করা সম্ভব নয়। এজন্য কোনো অভিজ্ঞ আলেম থেকে সব বিষয় চাক্ষুষভাবে দেখে আমলী মশ্ক করে নিতে হবে।

ইসলাহ : বর্তমানে প্রায় সব বাসা বাড়িতে সংযুক্ত বাথরুমে একসঙ্গে উযূ, গোসল ও পেশাব-পায়খানার ব্যবস্থা থাকে।এমন স্থানে উযূর ব্যবহৃত পানি প্রবাহিত করা এবং উযূর মাসনূন দু’আসমূহ মুখে আদায় করা আদবের খেলাফ। কারণ হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘গোসলের স্থানে পেশাব করবে না। কেননা এতে করে মনের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়।’ এমতাবস্থায় শরীয়ত বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কিরামের সঙ্গে পরামর্শ করে এগুলো নির্মাণ করা উচিত। যেখানে মাসআলার খেলাফ সংযুক্ত বাথরুম তৈরি হয়ে গেছে সেখানে পায়খানা থেকে উযূর জায়গাটি পর্দা দিয়ে আলাদা করা এবং উযূর ব্যবহৃত পানি টয়লেটের প্যান ব্যতীত অন্য নালা দিয়ে প্রবাহিত করার ব্যবস্থা করে নেয়া উচিত।

উযূ ভঙ্গের কারণসমূহ

১. পায়খানা-পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া।

২. মুখ ভরে বমি হওয়া।

৩. শরীরের ক্ষতস্থান থেকে রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া।

৪. থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া।

৫. চিৎ, কাৎ বা হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া।

৬. পাগল, মাতাল বা অচেতন হওয়া ৷

৭. নামাযে উচ্চ আওয়াজে হাসা।

উল্লেখ্য উযূর পরিবর্তে যদি তায়াম্মুম করে থাকে, তবে উল্লিখিত বিষয়সমূহ দ্বারা তায়াম্মুমও ভেঙ্গে যাবে। এতদ্ব্যতীত পানি ব্যবহারে সক্ষম হলেও তায়াম্মুম ভেঙ্গে যায়।

তথ্যসূত্রঃ

কিতাবঃ তা’লীমুস সুন্নাহ ও আমালে প্রচলিত ভুল সংশোধন সংকলকঃ অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান চৌধুরী খলীফা – মুহিউস সুন্নাহ শাহ আবরারুল হক রহঃ

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *