জাহান্নামের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত ব্যক্তিবর্গগণের অবস্থা
রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান— وَ الَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ رَأَيْتُمْ مَا رَأَيْتُ لَضَحِكْتُمْ قَلِيلًا وَ لَبَكَيْتُمْ كَثِيرًا ، قَالُوا : وَ مَا رَأَيْت يَا رَسُولَ اللهِ ؟ قَالَ : رَأَيْتُ الْجَنَّةَ وَ النَّارَ –
ঐ সত্তার কসম যার কুদরতি হাতে আমার জীবন, যদি তোমরা ঐ বস্তু প্রত্যক্ষ করতে যা আমি প্রত্যক্ষ করেছি, তাহলে তোমরা কম হাসতে এবং বেশি কাঁদতে। সাহাবাগণ আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কী দেখেছেন? তিনি উত্তরে বললেন, জান্নাত এবং জাহান্নাম। —মুসলিম
হাদীস : হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান— لَمَّا كَسَفَتِ الشَّمْسُ رَأَيْتُ النَّارَ ، فَلَمْ اَز مَنْظَرًا كَالْيَوْمِ قَط أَفْظَعُ مِنْهَا
যখন সূর্য গ্রহণ হল, তখন আমি জাহান্নামকে দেখতে পেলাম। আমি আজকের মত ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর দৃশ্য আর কখনও দেখতে পাইনি।
হাদীস ঃ হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমান- যদি জাহান্নামকে মানুষের সামনে নিয়ে আসা হয়, তাহলে যে কেউ তা প্রত্যক্ষ করবে মারা যাবে।
হাদীস ঃ হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা প্রদান কালে এরশাদ ফরমান—
لا تَنْسَوُ الْعَظِيْمَتَيْنِ الْجَنَّةَ وَالنَّارَ ثُمَّ بَكَى حَتَّى جَرَى وَ بَلَتْ دُمُوعَهُ جَانِي لِحْيَتِهِ ثُمَّ قَالَ وَ الَّذِي نَفَسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ تَعْلَمُوْنَ مَا أَعْلَمُ عَنِ الآخِرَةِ لَمَشَيْتُمْ إِلَى الصَّعْدَاتِ وَ لَحَثَيْتُمْ عَلَى رُؤْسِكُمُ التُّرَابَ –
তোমরা দু’টি বৃহৎ বস্তুকে ভুলে যেও না। (১) জান্নাত (২) জাহান্নাম। অতঃপর তিনি কেঁদে দিলেন। চক্ষুদ্বয় থেকে অশ্রু প্রবাহিত হয়ে গেল। ফলে উভয় পাশের দাড়িগুলো সিক্ত হয়ে গেল । অনন্তর তিনি এরশাদ করলেন, কসম ঐ সত্তার যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, তোমরা যদি আখেরাত সম্পর্কে ততটুকু জানতে, যতটুকু আমি জানি, তাহলে তোমরা ভয়ে পাহাড়ে চলে যেতে এবং নিজের মাথায় নিজেই মাটি ঢালতে থাকতে । –আবু ইয়ালা
আবদুল আলা বলেন, যে সম্প্রদায় কোন মজলিসে বসল অথচ জান্নাত-জাহান্নামের কোন আলোচনা করল না, তখন ফেরেশতা বলতে থাকে, তোমরা দু’টি বৃহৎ বস্তুর আলোচনা বাদ দিয়ে দিলে।
হযরত ইয়াহইয়া ইবনে আবী কাসীর (রহঃ) বলেন, ভীত শন্ত্রস্ত লোকদের অন্তরকে ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়েছে, জান্নাতে বা জাহান্নামে চিরকাল বসবাস করার বিষয়টি।
হযরত ইবনে সাম্মাক (রহঃ) বলেন, আরেফীনদের অন্তরকে টুকরো টুকরো করে দিয়েছে, জান্নাতে বা জাহান্নামে চিরকাল বসবাস করার বিষয়টি।
হযরত আবু মূসা আশয়ারী (রাযিঃ)-এর অবস্থা
হযরত আবু মূসা আশ’আরী (রাযিঃ) একদা বসরা নগরীতে জনসাধারণের সামনে ভাষণ দিলেন। ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি জাহান্নামের কথা উল্লেখ করে কেঁদে দিলেন। তাঁর অশ্রু-ফোঁটা মিম্বরেও পতিত হল। হযরত বকর মুযানী (রহঃ) বলেন, অন্যান্য লোকেরাও সেদিন খুব কেঁদেছিল।
জনৈক ভীত-শস্ত্ৰস্ত বুযুর্গ
হযরত উমর ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) জনৈক লোককে ফ্যাকাশে বর্ণের দেখতে পেলেন, যার রূপ-লাবণ্য চিরতরে বিদায় নিয়েছে। তিনি তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার এ কি অবস্থা? সে উত্তরে বলল, হে আমীরুল মু’মিনীন! ইনশাআল্লাহ্! এটা একটা রোগ, অসুস্থতা । হযরত উমর তাকে আবার একথা জিজ্ঞাসা করলেন, সে এবারও ঐ একই উত্তর দিল। এভাবে তৃতীয় বারও। চতুর্থবার সে বলল, আমার উত্তর দেয়ার পূর্বপর্যন্ত আপনার তৃপ্তি হবে না। তাই শুনুন। আমি দুনিয়ার ফলের স্বাদ আস্বাদন করেছি। তার স্বাদ ও মজা আমার দৃষ্টিতে তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে। আমার নিকট পাথর ও সোনা বরাবর হয়ে গিয়েছে। যখন আমি দেখতে পাই যে, লোকদেরকে জান্নাতে প্রেরণ করা হচ্ছে আর আমাকে প্রেরণ করা হচ্ছে জাহান্নামে, তখন আমি রাতভর জাগ্রত থাকি। দিনে রোজা থাকি। তবে এগুলো আল্লাহ্ তা’আলার ক্ষমা, সওয়াব দান এবং আযাবের মোকাবেলায় একেবারেই নগণ্য।
জাহান্নামীদের দুর্দশা
হাদীস ঃ হযরত আনাস (রাযিঃ) বলেন, নবীয়ে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসারী যুবককে জিজ্ঞাসা করলেন— হে হারেসা! তুমি কিভাবে সকাল করলে? তিনি উত্তরে বললেন, ‘আমি আল্লাহ্ তা’আলার উপর পূর্ণাঙ্গ ঈমানের সাথে সকাল করেছি। হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: اُنْظُرْ مَا تَقُوْلُ ، فَإِنَّ لِكُلِّ قَوْلٍ حَقِيْقَةً দেখ! যা বলছ তা ভেবে বল। কারণ, প্রত্যেক কথার একটি বাস্তবতা থাকে । তখন আনসারী যুবক বলল— يَا رَسُوْلَ اللهِ عَزَفَتُ نَفْسِى عَن الدُّنْيَا ، فَأَسْهَرَتُ لَيْلى وَ أَظْمَاتُ نَهَارِي ، وَ كَانِي بِعَرْشِ رَبِّي بَارِزا ، وَ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى أَهْلِ الْجَنَّةِ يَتَزَاوَرُوْنَ فِيْهَا ، وَ إِلى أَهْلِ النَّارِ يَتَعَاؤُوْنَ فِيْهَا ، قَالَ : أَبْصَرْتَ فَالْزِمْ ، عَبْدُ نَوَّرَ اللهُ الْإِيْمَانَ فِي قَلْبِهِ
ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আমার নফসকে দুনিয়া থেকে বিমুখ করে দিয়েছি। রাতে জাগ্রত থাকি । দিনে রোজা রাখি। মনে হয় যেন আমি আমার পালনকর্তার আরশের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। দেখতে পাচ্ছি যে, জান্নাতীরা পরস্পর সাক্ষাত করছে। আর জাহান্নামীরা একে অপরকে গালিগালাজ করছে। তখন হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ, তুমি আখেরাত জগতের সাক্ষাত করে ফেলেছ। অতএব, এ অবস্থাকে আকড়ে ধরে রাখ। অতঃপর তিনি অন্যান্যদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, দেখে নাও। এ হল আল্লাহ্ তা’আলার বান্দা। আল্লাহ্ তা’আলা তার অন্তরে ঈমানকে আলোকিত করে দিয়েছেন।
হযরত ইয়াহইয়া (আঃ)-এর নিকট ওহী
হাদীস ঃ হযরত আলী ইবনে আবীল হুর (রাযিঃ) বলেন, হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ্ তা’আলা হযরত ইয়াহইয়া ইবনে যাকারিয়া (আঃ)-এর উপর ওহী প্রেরণ করলেন যে, হে ইয়াহইয়া! আমার ইযযতের শপথ! যদি তুমি জান্নাতুল ফেরদাউসের দিকে একবার উকি মেরে দেখ, তাহলে তার আগ্রহের তীব্রতায় তোমার দেহ শীর্ণকায় হয়ে যাবে। তোমার প্রাণবায়ু উড়ে যাবে। আর যদি তুমি একবার জাহান্নামের দিকে উকি দাও, তাহলে তুমি এত বেশি ক্রন্দন করবে যে, অশ্রু প্রবাহিত হওয়ার পর পুঁজ প্রবাহিত হতে থাকবে। এরপর তুমি কাপড় পরিধান বাদ দিয়ে চট পরিধান করতে থাকবে। এরপর চট বাদ দিয়ে লোহা পরিধান করা শুরু করবে।
হযরত উমর ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ)
একদা হযরত উমর ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) চুপ করে বসা ছিলেন। তাঁর শাগরিদগণ হাদীস বর্ণনা করে যাচ্ছিল। এক সময় তারা বলতে লাগল, হে আমীরুল মু’মিনীন! আপনার কী হল, আপনি চুপ করে বসে আছেন কেন? তিনি উত্তরে বললেন, আমি জান্নাতীদের নিয়ে চিন্তিত ছিলাম যে, তারা কিভাবে একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ করবে। অনুরূপ জাহান্নামীদের বিষয়েও চিন্তিত ছিলাম যে, তারা কিভাবে একে অপরকে চিৎকার করে ফরিয়াদ করতে থাকবে। অতঃপর তিনি কেঁদে ফেললেন । —ইবনে আবিদ্দুয়া
আখেরাত দর্শন
হযরত মুগীসুল আসওয়াদ (রহঃ) বলতেন, প্রত্যহ নিজের ফিকিরে কবর যিয়ারত কর। আপন বিবেক-শক্তির মাধ্যমে প্রত্যহ জান্নাতী নেয়ামতের কল্পনা করতে থাক । অন্তর দিয়ে কেয়ামতের দিবসের মুশাহাদা করতে থাক । ব্যাকুলতা ও অস্থিরতার সাথে মুসলিম ও কাফের উভয়ের পরিণাম তথা জান্নাত ও জাহান্নামের প্রতি দৃষ্টি রাখ। আপন দেহ ও মনকে জাহান্নামের আযাব এবং তার শাস্তি সম্পর্কে সদা জাগ্রত ও সচেতন রাখ ।
কীভাবে ক্রন্দন আসবে ?
হযরত সালেহ আল মুররী (রহঃ) বলেন, ক্রন্দনের কয়েকটি উপায় হতে পারে। তন্মধ্যে প্রথম উপায় হল, আপন গোনাহসমূহের মাঝে চিন্তা-ফিকির করা। অন্তর যদি গোনাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হয়ে যায়, তাহলে তো খুব ভাল । আর যদি তা না হয়, তাহলে হাশরের ময়দান ও তার ভয়াবহতার দিকে মনোযোগ দেয়া চাই। যদি তাও না হয়, তাহলে নিজের মনকে প্রস্তাব দাও, সে আগুনের দুই পাটার মধ্যখানে নিষ্পেশিত হতে কতটুকু প্রস্তুত আছে। লোকেরা হযরত সালেহ মুররীর একথাগুলো শুনে চিৎকার করে করে কাঁদতে থাকল এবং সবাই বেহুশ হয়ে গেল। মসজিদের চতুর্কোণ থেকে শুধু ক্রন্দনমাখা চিৎকারের আওয়াজ ভেসে আসতে থাকল।
হযরত মালেক ইবনে দীনার (রহঃ)
হযরত আবু সুলায়মান দারানী (রহঃ) বলেন, হযরত মালেক বিন দীনার (রহঃ) একদা রাতের বেলা স্বীয় শাগরেদদের ঘরে রেখে বারান্দায় চলে গেলেন। সকাল পর্যন্ত সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকলেন। সকালে তিনি ঘরে ঢুকে শাগরেদদেরকে বললেন, আমি সারা রাত বারান্দায় এ কারণে ছিলাম যে, রাতে আমার সামনে জাহান্নামীদের অবস্থা প্রকাশ পেয়ে গিয়েছিল। দেখতে পেলাম যে, সারা রাত তাদেরকে হাতকড়া পরানো এবং শৃংখলাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সকাল পর্যন্ত আমার সামনে এগুলোই প্রকাশ পাচ্ছিল ।
ভীত-সন্ত্রস্ত
হযরত সায়ীদ জারমী (রহঃ) ভীত-সন্ত্রস্ত লোকদের অবস্থা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, যখন তাদের দৃষ্টি কোন এমন আয়াতের উপর পড়ে, যেখানে জাহান্নামের আলোচনা রয়েছে, তখন তারা খুব ঘাবড়িয়ে যান এবং চিৎকার করা শুরু করেন। কেমন যেন জাহান্নামের ভয়াবহ আওয়াজ তাদের কর্ণ স্পর্শ করেছে এবং আখেরাতের দৃশ্য তাদের চোখের সামনে ফুটে উঠেছে ।
হযরত হাসান বসরী (রহঃ) বলেন, আল্লাহ্ তা’আলার কিছু বান্দা এমনও হয়ে থাকেন যে, তারা জান্নাতীদের চিরস্থায়ী বাসস্থান জান্নাত প্রত্যক্ষ করতে পারেন। আবার কিছু এমনও হয়ে থাকেন, যারা জাহান্নাম এবং সেখানকার ভয়াবহ আযাব প্রত্যক্ষ করতে থাকেন। তারা একথাও বলে থাকেন যে, কসম আল্লাহ্, যে ব্যক্তি জাহান্নামের সত্যায়ন করে তার নিকট পৃথিবী প্রশস্ত হওয়ার স্থলে সংকীর্ণ হয়ে যায়। আর মুনাফেকদের অবস্থা তো এমন যে, যদি তাদের পিঠের পেছনে আগুন চলে আসে, তবুও তারা বিশ্বাস করে না। এমনকি যদি তাদেরকে আগুন দিয়ে ঢেকেও দেয়া হয় তবুও নয় ।
হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বেহ (রহঃ) বলেন, বনী ইসরাঈলে এক আবেদ ছিল । সে রৌদ্রে দাঁড়িয়ে নামায পড়ত। এভাবে নামায পড়তে পড়তে তার রং একেবারে কালো ও ছাইবর্ণ হয়ে গিয়েছিল । তার পাশ দিয়ে এক লোক অতিক্রম কালে তাকে বলল, তোমার রং এমন কেন, কেমন যেন তোমাকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে? হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বেহ (রহঃ) বলেন, তার এ অবস্থা ছিল জাহান্নামের স্মরণের কারণে। যদি সে জাহান্নাম দেখে ফেলত, তাহলে না জানি কী অবস্থাটাই না হত ।
জাহান্নাম থেকে বাঁচার এন্তেজাম করা চাই
মুহাদ্দিস ইবনে উয়াইনাহ (রহঃ) বলেন, হযরত ইবরাহীম তাইমী (রহঃ) বলেন, আমি আমার নফসকে জান্নাতের নমুনা দেখালাম যে, আমি তথাকার ফল-ফলাদি ভক্ষণ করছি। তথাকার কুমারি মেয়েদের সাথে আলিঙ্গন করছি। অতঃপর নফসকে জাহান্নামের নমুনা দেখালাম, যাক্কুম ফল খাচ্ছি, সেখানকার রক্ত-পুঁজ পান করছি। তার হাতকড়া ও শৃংখল দ্বারা আমাকে আবদ্ধ করা হচ্ছে। অতঃপর আমি আমার নফসকে বললাম, হে নফস! এখন তুই কি চাস? তখন সে বলল, আমি দুনিয়াতে ফিরে যেতে চাই। যাতে আমি নেক আমল করতে পারি। তখন হযরত ইবরাহীম তাইমী (রহঃ) বললেন, অতঃপর আমি আমার নফসকে বললাম, তোমার এ আশা পূরণ করার জন্যই এখন আমি দুনিয়াতে। সুতরাং মন ভরে আমলে সালেহ তথা নেক কাজ করে নাও।
তথ্যসূত্র:
বই :জাহান্নামের বর্ণনা
মূল :আল্লামা মুফতী মোহাম্মদ এমদাদুল্লাহ আনওয়ার
অনুবাদ :মাওলানা নাজমুল হুদা মিরপুরীজাহান্নামের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত ব্যক্তিবর্গগণের অবস্থা