ইবাদত

নামায শেষে কুর’আনের শেষ তিনটি সূরা পাঠ করা ৷

কুর’আনের শেষ তিনটি সূরা হলো: সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস ৷ ক. সূরা ইখলাস : قل هُوَ اللهُ اَحَدٌ. اَللهُ الصَّد . لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَم يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ. “তুমি বল, আল্লাহ এক, আল্লাহ এমন এক সত্তা, যার নিকট সব কিছুই মুখাপেক্ষী, তিনি জন্ম দেননি এবং জন্ম নেননি। আর তাঁর সমকক্ষও কেউ নেই ৷”আল কুর’আন ১১২:১-৪।

খ. সূরা ফালাক قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ، وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا ووَقَبَ ، وَمِنْ شَرِ النفاثات فِى الْعُقَدِ وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حسد “বল, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে। অন্ধকার রাতের অনিষ্ট থেকে যখন তা সমাগত হয়। গ্রন্থিতে ফুৎকার দিয়ে যাদুকারিণীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।” আল কুর’আন ১১৩:১-৫।

গ. সূরা নাস

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ مَلِكِ النَّاسِ ـ إلهِ النَّاسِ – مِنْ شَر الوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ – الَّذِي يُوَسْوِسُ فِى صُدُورِ النَّاسِ – مِنَ الجنَّةِ وَالنَّاسِ .

“বল, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার, মানুষের অধিপতির, মানুষের মা’বূদের, তার অনিষ্ট থেকে যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে, সে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনদের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে ।”আল কুর’আন ১১৪:১-৬।

প্রত্যেকটি সূরা ফযর এবং মাগরিবের পর তিনবার পাঠ করা এবং অন্যান্য সালাতের পর একবার করে পাঠ করা সুন্নাত ।

এ প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে: عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خُبَيْبِ ، عَنْ أَبِيهِ: قَالَ …. مَا أَقُولُ؟ قَالَ: قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ، وَالمُعَوِذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي وَتُصْبِحُ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ.

“হযরত মুয়ায বিন আব্দুল্লাহ বিন খুবাইব রা. তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন,…(আমরা রাসূলুল্লাহ সা. কে জিজ্ঞাসা করলাম) আমরা কী পড়ব? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, তোমরা সকাল-সন্ধ্যায় ‘কুল হু আল্লাহু আহাদ’ এবং সূরা নাস ও সূরা ফালাক পাঠ করো, কেননা যে এগুলো সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার পড়বে তার প্রত্যেক বিপর্যয় থেকে সফলতার জন্য এটুকুই যথেষ্ট হবে । ”আবু দাউদ, হাদীস নং: ৫০৮২ এবং আত তিরমিযী, হাদীস নং: ৩৫৭৫ ।

তথ্যসূত্র :

বই: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ১০০০ সুন্নাত

লেখক: শাইখ খালীল আল হোসেনান

অনুবাদক: মাওলানা ডক্টর শাহ্‌ মুহাম্মাদ আবদুর রাহীম

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *