ইবাদত

যাকাতের ব্যপারে উদাসীনতা

কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার এই যে, আজ ব্যাপকভাবে মুর্খতা ও উদাসীনতার কারণে অনেক মুসলমানতো যাকাতই দেয় না, আবার যারা যাকাত দেয় তাদের অনেকেই যেমন তেমনভাবে দেওয়াটাকেই যথেষ্ট মনে করে। অথচ কুরআনে কারীম আমাদেরকে পকেট হতে পয়সা বের করে শুধু যাকাত প্রদানের নির্দেশ দেয়নি; বরং সেটাকে যথোপযুক্ত ব্যক্তিদের নিকট পৌঁছানো ও আদায় করার নির্দেশ দিয়েছে। কুরআনী নির্দেশ 66,1 এর অর্থ, যাকাত বের করা নয়; বরং যাকাত আদায় করা। আর আদায় করার অর্থই হল হক্বদারকে তার হক্ব পৌঁছে দেয়া, শুধুমাত্র নিজের পক্ষ হতে কাউকে দেয়ার দ্বারাই এ হক্ব আদায় হবে না। যেমন দুনিয়াবী ধন-সম্পদ এর ব্যাপারে প্রত্যেকেই জানেন যে, যে ধন-সম্পদটি কারো দায়িত্বে থাকে সেটাকে শুধু পকেট হতে বের করার মাধ্যমেই তা পৌঁছে তার মালিকানা স্বত্ব পুরোপুরি বুঝিয়ে দেয়া না হয়, ততক্ষন পর্যন্ত ধন-সম্পদ হতে নিস্কৃতি লাভ হয় না। ঠিক তদ্রূপ যতক্ষন পর্যন্ত যাকাত তার যথোপযুক্ত পাওনা দারদের নিকট পৌঁছানো না হবে ততক্ষন পর্যন্ত যাকাত আদায় হবে না । এক্ষেত্রে যাকাত প্রদানকারী সাধারন মুসলমানগণ ব্যাপকভাবে উদাসীনতার শিকার । তারা যাকাতের উপযুক্ত ব্যক্তিদের ব্যাপারে অন্বেষন ও অনুসন্ধান করা ছাড়াই যাকাতের অর্থ যে কাউকে দিয়ে নিজেকে দায়িত্বমুক্ত মনে করে। যার ফলাফল এই দাঁড়ায় যে, অনুপযুক্ত লোকেরা যাকাত- সাদাকা নিয়ে নেয় আর প্রকৃত উপযুক্তরা দারিদ্র্য ও বঞ্ছনার শিকার হন।

তথ্যসূত্রঃ

যাকাত আদায় করি, দোযখ থেকে বাচি।

লেখকঃমাওলানা মুমিনুল হক জাদীদ, ফেনী

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *