যাকাতের নিয়ত সংক্রান্ত ৫ টি মাসআলা
০১. মাসআলা : যাকাত আদায়ের জন্য কাউকে উকিল (প্রতিনিধি) বানালে, তাকে টাকা হস্তান্তরের সময় যাকাতের নিয়ত করে নেয়াই যথেষ্ট । উকিল বানানোর সময় যাকাতের নিয়ত না করে থাকলে টাকা হস্তান্তরের সময় নিয়ত করে নেওয়া সহীহ আছে। (আল জাওহারাতুন্নায়্যিরাহ) ০২. মাসআলা : কোন অভাবগ্রস্তকে যাকাতের নিয়ত না করেই কিছু টাকা দিয়ে পরবর্তীতে তাতে যাকাতের নিয়ত করলে অভাবগ্রস্ত বা ফকিরের হাতে উক্ত টাকা অবশিষ্ট থাকলেই তার পরবর্তী নিয়ত শুদ্ধ হবে। কিন্তু ফকির তা খরচ করে ফেললে তার উক্ত নিয়ত শুদ্ধ হবে না। (যাকাতের নিয়ত করে নিলেও যাকাত আদায় হবে না) (রদ্দুল মুহতার : ১/১৪) ০৩. মাসআলা : সম্পদ থেকে যাকাতের অর্থ পৃথক করার সময় যাকাতের নিয়ত করে নেওয়াই যথেষ্ট।কেননা দরিদ্র ও অসহায়দেরকে দেওয়ার সময় ভিন্নভাবে নিয়ত করার মধ্যে কিছুটা জটিলতা রয়েছে। এজন্য যাকাতের উদ্দেশ্যে টাকা পৃথক করার সময় নিয়ত করে নিলেই যথেষ্ট। অবশ্য দরিদ্রদের হাতে না পৌঁছিয়ে শুধু নিয়ত করে নিলেই দায়িত্বমুক্ত হবে না; বরং গরীব- দুঃখীদের মাঝে বন্টন করেই দায়িত্বমুক্ত হতে হবে। (ফিকহুয যাকাত : ১/৩৩১) ০৪. মাসআলা : যাকাতের নিয়ত ছাড়া দান করলে তা যাকাতের মধ্যে গণ্য হবে না এবং যাকাত ও আদায় হবে না । (দুররুল মুখতার:১/৩৩১) অবশ্য কেউ সম্পূর্ণ সম্পদ নিয়তছাড়া দান করলে তার যাকাত আদায় হয়ে যাবে। কেননা তার সম্পদ শেষ হয়ে গেছে।(মাসায়েলে রাফআত কাসেমী ) ০৫. মাসআলা : নেসাবের মালিক পূর্ব থেকেই যাকাত দেয়ার অনুমতি দিয়ে রাখলে পরিবারের সদস্যগণ যাকাতের নিয়তে কাউকে কিছু দিলে যাকাত আদায় হবে ।
অনুমতি না থাকাবস্থায় যাকে দেয়া হয়েছে, তার হাতে উক্ত টাকা বর্তমান থাকা অবস্থায় মালিক অনুমতি দিলে যাকাতের নিয়ত শুদ্ধ হবে এবং যাকাতও আদায় হবে। আর খরচ হয়ে গেলে যাকাত আদায় হবে না। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম: ৬/১০১)
তথ্যসূত্রঃ
যাকাত আদায় করি, দোযখ থেকে বাচি।
লেখকঃমাওলানা মুমিনুল হক জাদীদ, ফেনী