বৈজ্ঞানিক ও ডাক্তারদের দৃষ্টিতে নামাযের উপকারীতা
একজন ফিজিশিয়ানের কান্ড
১। একজন প্রখ্যাত ডাক্তার স্বীয় স্নায়বিক দুর্বলতা, জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা এবং অন্যান্য মাংশপেশির ব্যাধির জন্য নিজ চিকিৎসা নামায দ্বারা করেছেন। তিনি নামাযের দ্বারা একাধারে নিয়মতান্ত্রিক চিকিৎসার ফলে সুস্থ হয়ে উঠেন এবং যাবতীয় ঔষধ ব্যবহার বাদ দিয়ে শুধু নামাযের চিকিৎসাধীনই রয়ে গেলেন। অতঃপর তিনি প্রত্যেক রোগীকে নিয়মিত নামায আদায় এবং নামাযের প্রতিটি রুকন শান্ত ও পরিমিতভাবে এবং সম্পূর্ণ শরীয়ত নির্দেশিত নিয়মানুসারে পরিপূর্ণরূপে আদায় করার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করতেন। এভাবে তার সকল রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভে ধন্য হতে লাগল। (সুন্নাতে নববী আওর জাদীদ সাইন্স : খন্ড-১ পৃষ্ঠা- ৪২)
প্রফেসর ডা. বার্থম জোযিফ এর অভিজ্ঞতা
২। তিনি একজন আমেরিকান প্রখ্যাত ডাক্তার। এক সাক্ষাৎকারে নামায ও ইসলাম সম্পর্কে তার জীবনের অভিজ্ঞতা প্রকাশিত হয়। তার অভিজ্ঞতা হলো নামায এক পরিপূর্ণ, ভারসাম্যপূর্ণ উপযুক্ত শরীর চর্চা। যাতে হ্রাস-বৃদ্ধির বা অসমতার কোন প্রশ্নই উঠেনা। মনে হচ্ছে যেন সৃষ্টিকর্তা বর্তমান যান্ত্রিক ও মনস্তাত্বিক যুগের কথা অনুধাবন করেই এর আবিষ্কার করেছেন।
তাতে রয়েছে হস্ত উত্তোলন, পূণরায় তা বেঁধে ফেলা, দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখা, পূণরায় হাত ছেড়ে দেয়া, ঝুকে পড়া, আবার মস্তক অবনত করে মস্তিষ্কের দিকে রক্ত প্রবাহের সুযোগ সৃষ্টি করা, কিছুক্ষণ পরপর হাটু পেতে বসা, এসব হলো একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যায়াম পদ্ধতি । (সুন্নাতে রাসূল আওর জাদীদ সাইন্স : খন্ড-১ পৃষ্ঠা-৪৫)
নামায ও দৈহিক সুস্থতা
৩। নামায হলো এক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, সাথে সাথে উত্তম শরীর চর্চাও, অলসতা, বিষণ্নতা ও বে-আমলীর এই যুগ সন্ধিক্ষণে শুধু নামাযই এমন এক ব্যায়াম, যদি নামায সঠিক পদ্ধতিতে আদায় করা হয় তাহলে ইবাদত আদায়ের সাথে সাথে দুনিয়াবী সকল ব্যথার উপশম সম্ভব। নামাযের ব্যায়াম যেমনিভাবে বাহ্যিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সৌন্দর্য বৃদ্ধির কারণ, তেমনী অভ্যন্তরীন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেমন হৃৎপিন্ড, যকৃত, মুত্রাশয়, ফুসফুস, মস্তিস্ক, নাড়িভুড়ি, পাকস্থলি, মেরুদন্ড, গর্দান, সীনা ও সর্বপ্রকার Glands লালা গ্রন্থি বর্ধিত করে শরীরকে সুঠাম ও সৌন্দর্য করে তুলো। আর এই ব্যায়ামগুলো এমন, যার দ্বারা হায়াত বৃদ্ধি পায়; পায় এক অসাধারণ শক্তি। এমনকি এর দ্বারা চেহারার সৌন্দর্য ফুটে উঠে
বি: দ্র:– উক্ত উপকারীতাগুলো স্বাভাবিকভাবেই অর্জিত হয়ে থাকে। তাই এগুলোকে উদ্দেশ্য মনে করা যাবেনা। (নামায বিশ্বকোষ : পৃষ্ঠা- ২৭৬)
তথ্যসূত্র :
বই: নামায পড়ি বেহেশতের পথে চলি
লিখক: মাওলানা মুমিনুল হক জাদিদ
মুহতামিম: ফেনী জামিয়া ইসলামিয়া