ইবাদত

পানির বর্ণনা

পবিত্রতা অর্জনের প্রধান অবলম্বন হলো পানি। তাই পানির পবিত্রতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। ইসলাম পানির পবিত্রতার উপর গুরুত্বারোপ করেছে। কুরআনের বাণী, “মহান আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন। (আল কুর’আন, সূরা তাওবা, ৯ : ১০৮)

যেসব পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা বৈধ

যেসব পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যায় সেগুলো হলো: ১ . বৃষ্টির পানি । ২. নদ-নদী ও সমুদ্রের পানি । ৩. কূপের পানি । ৪. পুকুরের পানি। ৫. ঝর্ণার পানি । ৬. উপত্যকার পানি । ৭. প্রবাহিত পানি । যদি এ পানিতে নাপাকী দৃশ্যমান না থাকে । ৮. পবিত্রতা অর্জনের জন্য ভালো পানি পাওয়া না জাওয়া শর্তে সন্দেহযুক্ত পানি। ৯. নাপাকীযুক্ত এমন বড় পুকুরের পানি, যার এক প্রান্তে পড়েছে কিন্তু প্রান্তের পানি পবিত্র রয়েছে । ১০. যেসব প্রাণীর প্রবাহিত রক্ত নেই সেসব প্রাণী পানিতে পড়ে মারা গেলে। ১১. পানির মৌলিক তিনটি গুণের যেকোনো একটি নষ্ট হলে।

যেসব পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন বৈধ নয়

১. ফলমূলের রস । ২. ঘাস-পাতা চিবানো পানি । ৩. তরকারির ঝোল । ৪. স্থির পানিতে নাজাসাত পড়লে ৫. ব্যবহৃত পানি । ৬. এমন পানি যার সাথে কোনো পবিত্র জিনিস মিশ্রিত হয়ে পানির তরলতা নষ্ট করে দিয়েছে। ৭. এমন পানি যার তিনটি মৌলিক গুণের দুটিই নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

তথ্যসূত্র :

বই: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ১০০০ সুন্নাত

লেখক: শাইখ খালীল আল হোসেনান

অনুবাদক: মাওলানা ডক্টর শাহ্‌ মুহাম্মাদ আবদুর রাহীম

এই ব্লগটি পড়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খুশি
0
আরও উন্নত হতে পারে
0

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *